অভিজিৎ রায়

বাংলাদেশী-মার্কিন লেখক

অভিজিৎ রায় (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ – ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, ব্লগার ও লেখক। তিনি বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং সরকারের সেন্সরশিপ ও ব্লগারদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের সমন্বয়কারী ছিলেন। তিনি পেশায় একজন প্রকৌশলী হলেও, তার স্ব-প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট "মুক্তমনা"-য় লেখালেখির জন্য অধিক পরিচিত লাভ করেন। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

  • আমি নাস্তিক। কিন্তু আমার আশে পাশের বহু কাছের মানুষজন বন্ধু বান্ধবই মুসলিম। তাদের উপর আমার কোন রাগ নেই, নেই কোন ঘৃণা। তাদের আনন্দের দিনে আমিও আনন্দিত হই। তাদের উপর নিপীড়ন হলে আমিও বেদনার্ত হই। প্যালেস্টাইনে বা কাশ্মিরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্য বোধ করি না। অতীতেও দাঁড়িয়েছি, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবো। এটাই আমার মানবতার শিক্ষা।”
    • অভিজিৎ রায় [১]
  • শূন্যতা আমাদের অস্তিত্বের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শূন্যতার মাধ্যমেই আমাদের অস্তিত্ব প্রকাশমান, হয়তো শূন্যতার মাঝেই আমরা সবাই হব বিলীন একদিন। আমাদের অস্তিত্বকে ঠিকমতো বুঝতে হলে শূন্যতাকে বোঝা ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।
    • অভিজিৎ রায়। শূন্য থেকে মহাবিশ্ব: উৎপত্তি ও অস্তিত্বের সাম্প্রতিকতম ধারণা।[২]
  • প্রায়শই ধর্মবাদীরা ধর্মগ্রন্থের একটি নির্দিষ্ট আয়াত বা শ্লোকের মধ্যে আধুনিক বিজ্ঞান খুঁজে পান। ...একমত। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধর্মগ্রন্থে ‘আধুনিক বিজ্ঞানের’ সন্ধান পাওয়া যায়, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলো প্রকাশ পাওয়ার পর, তার আগে নয়। কারণ বিজ্ঞানের দায় পড়ে নি ধর্মগ্রন্থ থেকে দীক্ষা নিয়ে আলোর সন্ধান লাভ করতে।
    • অভিজিৎ রায়, অবিশ্বাসের দর্শন।[৩]
  • যারা ভাবে বিনা রক্তে বিজয় অর্জিত হয়ে যাবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ধর্মান্ধতা, মৌলবাদের মত জিনিস নিয়ে যখন থেকে আমরা লেখা শুরু করেছি, জেনেছি জীবন হাতে নিয়েই লেখালিখি করছি।
    • অভিজিৎ রায় [৪]
  • প্রথম থেকেই আমার লেখার মূল লক্ষ্য ছিলো সমসাময়িক বিজ্ঞান এবং দর্শনের নানা বিষয়। আমি আমার পাঠকদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তারা আমার লেখা পড়েছেন, সমর্থন করেছেন। কেউ কেউ আমার লেখাকে অন্যরকম ভাবেন, কেউবা আবার অসাধারণ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বলে মনে করেন। আমি ঠিক এই বিশেষণগুলো নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। আমার বইএর পাঠ প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে দিয়েছে যে বাংলাদেশের মানুষ বিজ্ঞান এবং দর্শনের ওপর বই পড়তে আগ্রহী। এটাই ছিলো আমার লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য।
    • "শূন্য থেকে মহাবিশ্ব" বইয়ে অভিজিৎ রায় এটি লিখেছেন।[৫]

অভিজিৎ রায় সম্পর্কে উক্তি

সম্পাদনা
  • অভিজিৎ রায় বিজ্ঞানের কঠিন তত্ত্বগুলোকে খুব প্রাঞ্জল ভাষায় লিখেছিলেন যা অতি প্রশংসনীয়। কিন্তু উনি যখন সমকামিতার পক্ষে বই লেখেন এবং সমকামিতাকে ‘প্রোমোট’ করার চেষ্টা করেন, তখন তার প্রতিবাদ জানানো ছাড়া আমাদের কাছে উপায় থাকে না।উনি ইদে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন, এটা একজন নিরীশ্বরবাদীর কাছে খুবই বেদনাদায়ক।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা