উলভারিন যাকে গ্লাটন, কারকাজৌ এবং কুইকহ্যাচ নামেও ডাকা হয়, হলো মাস্টেলিডে পরিবারের বৃহত্তম স্থল-চর সদস্য। এটি একটি পেশীবহুল মাংসাশী এবং নির্জনতা প্রিয় প্রাণী। উলভারিন তার আকারের অনুপাতে হিংস্রতা এবং শক্তির জন্য বিখ্যাত, নিজের থেকে বহুগুণ বড় শিকারকে হত্যা করার নিদর্শনও মেলে।

গ্লাটন বা উলভারিন

উক্তি সম্পাদনা

  • বৃদ্ধিমান জীবের কথা বলিতে গেলে আর একটি জন্তুর কথা বলিতে হয় তাহার নাম গ্লাটন। চুরি-বিদ্যায় ফাঁকি-বিদ্যায় খাওয়া-বিদ্যায় এবং নানারকম ধূর্ত-বিদ্যায় ইনি একজন অদ্বিতীয় পণ্ডিত।
    • গ্লাটন। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১০৩। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০
  • শীতের দেশে যাহারা নানারকম দামী চামড়া সংগ্রহের জন্য বীভার প্রভৃতি জন্তু মারিয়া ফেরে তাহারা এই গ্লাটনকে যেমন ভয় করে, এমন আর কাহাকেও নয়। এই গ্লাটন যেখানে দেখা দেয় সেখানে শিকারীর ব্যবসা মাটি। কত কৌশলে কত কষ্ট করিয়া শিকারীরা ফাঁদ পাতে আর প্লাটন আসিয়া ফাঁদে পড়া জন্তুগুলিকে খাইয়া সব ফাঁদ নষ্ট করিয়া চলিয়া যায়। সে নিজে কখন ফাঁদে পড়িবে না, কিন্তু ফাঁদ নষ্ট করিতে তাহার মতো ওস্তাদ আর নাই।
    • গ্লাটন। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১০৩। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০
  • গ্লাটনের নামে এই দুটি মস্ত অপবাদ-সে চোর এবং পেটুক। সে যে পেটুক তাহার আর অন্য প্রমাণ দরকার নাই-এইটুকু বলিলেই যথেষ্ট যে ইংরাজিতে 'গ্লাটন' (Glutton) কথাটার অর্থই হয় পেটুক। দেখিতে কতকটা শেয়ালের মতো, চেহারাটাও তাহার চাইতে বড় নয়; কিন্তু সে যে পরিমাণ আহার করে তাহাতে একটা বাঘেরও বেশ পরিতোষ করিয়া নিমন্ত্রণ খাওয়া চলে।
    • গ্লাটন। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১০৪। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা