জওহরলাল নেহেরু

প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী

পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু (হিন্দি: जवाहरलाल नेहरू জাভ়াহার্‌লাল্‌ নেহ্‌রু; আ-ধ্ব-ব: [dʒəvaːhərlaːl nehruː]) (১৪ নভেম্বর, ১৮৮৯—২৭ মে, ১৯৬৪) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, আদর্শবাদী, পণ্ডিত এবং কূটনীতিবিদ নেহেরু ছিলেন একজন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। লেখক হিসেবেও নেহেরু ছিলেন বিশিষ্ট। ইংরেজিতে লেখা তার তিনটি বিখ্যাত বই- 'একটি আত্মজীবনী', 'বিশ্ব ইতিহাসের কিছু চিত্র', এবং 'ভারত আবিষ্কার' চিরায়ত সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে।

উক্তি সম্পাদনা

  • সংস্কৃতি মন এবং আত্মাকে প্রশস্ত করে।
    • জওহরলাল নেহেরু। দিগওয়াদিহ-র ভাষণ, ২২ এপ্রিল ১৯৫০। The Quintessence of Nehru (1961), পৃষ্ঠা ১২০। [১]
  • একটি দেশ ভালো হয়, যদি সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো হয়।
    • জওহরলাল নেহেরু [২]
  • সময় কে কখনও কত বছর অতিক্রম করল তা দ্বারা পরিমাপ করা যায় না। সময়কে পরিমাপ করা হয় কাজ, অনুভূতি, এবং কী অর্জন করলে - এর মাধ্যমে।
    • জওহরলাল নেহেরু
  • অজ্ঞতা সবসময় পরিবর্তনের ভয় পায়।
    • জওহরলাল নেহেরু
  • জীবন হল কার্ড খেলার মতো। যেখানে হাত আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে আপনি জীবনে এগিয়ে যাবেন, পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করবেন।
    • জওহরলাল নেহেরু [৩]
  • মানুষের জীবনে ব্যর্থতা তখনই আসে, যখন মানুষ আদর্শ, উদ্দেশ্য ও নীতিগুলি ভুলে যায়।
    • জওহরলাল নেহেরু[৪]
  • সহানুভূতিই মানুষের জীবনের একমাত্র বিকল্প কাঠামো।
    • জওহরলাল নেহেরু [৫]

জওহরলাল নেহেরু সম্পর্কে উক্তি সম্পাদনা

  • নেহেরু প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি অ্যাগনস্টিক, তিনি ঈশ্বর-উদাসীন।
  • যে-দেশে শতকরা নব্বই ভাগ লোক কুসংস্কার-তাড়িত, সামান্য বাইরের প্ররোচনাতেই ধর্মের নামে হাতিয়ার তুলে নেয়, কথায় কথায় রক্তের স্রোত বয়ে যায়, যারা ধর্মের কিছুই বোঝে না অথচ তারাই মারে অথবা মরে, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রইলেন এমন একজন যিনি ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মচর্যাকে অরুচিকর বিবেচনায় আত্মশ্লাঘা বোধ করেন।
  • নেহরুর বন্ধুত্ব, ভাবনা ও বুদ্ধিমত্তায় মা আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এগুলো মা বেশ উপভোগ করতেন।
    • লর্ড মাউন্টব্যাটেনের মেয়ে পামেলা হিকস নি মাউন্টব্যাটেন [৮]
  • মা ও নেহরুর সম্পর্কটা শারীরিক সম্পর্কের দিকে গড়িয়েছিল কি না, তা জানার অনেক আগ্রহ ছিল। কিন্তু চিঠিগুলো পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। তাঁরা দুজন কখনো সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একা হতে পারেননি। কারণ সব সময় পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য মানুষ তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকতেন। এ কারণেই তাঁরা শারীরিক সংসর্গের সুযোগ পাননি।
    • লর্ড মাউন্টব্যাটেনের মেয়ে পামেলা হিকস নি মাউন্টব্যাটেন [৯]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা