বীভার

স্তন্যপায়ীর গণ

বীভার উত্তর গোলার্ধের বৃহৎ-আকৃতির, আধা-জলচর প্রাণী। এর দুটি প্রজাতি বিদ্যমান রয়েছে, উত্তর আমেরিকান বীভার এবং ইউরেশিয়ান বীভার। এদের ওজন ৫০ কেজি (১১০ পাউন্ড)পর্যন্ত হতে পারে। নদী, ঝরনা, হ্রদ এবং পুকুরের মতো বেশ কয়েকটি মিঠা জলাধারে বিভার দেখা যায়। এরা তৃণভোজী, সাধারণত গাছের ছাল, জলজ উদ্ভিদ, ঘাস ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

আমেরিকান বীভার

উক্তি সম্পাদনা

  • মৌমাছির চাক, মাকড়সার জাল, পিপড়ার বাসা প্রভৃতি অনেক ব্যাপারের মধ্যে আমরা খুব কৌশলের পরিচয় পাই কিন্তু বীভারের বুদ্ধি কৌশল, আরও অদ্ভুত। ইহারা বড় বড় বাঁধ বাঁধিয়া নদীর স্রোত আটকাইয়া রাখে, জঙ্গলের বড় বড় গাছ কাটিয়া ফেলে এবং সেই গাছের 'লাকড়ি' বানাইয়া নানারকম কাজে লাগায়। খাল কাটিয়া এক জায়গার জল আরেক জায়গায় নিতেও ইহারা কম ওস্তাদ নয়।
    • জানোয়ার এঞ্জিনিয়ার। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১০১। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০
  • জলেব ধারে কাঠকুটা ও মাটির ঢিপি বানাইয়া তাহার মধ্যে বীভারেরা স্ত্রী পুত্র পরিবার লইয়া বাস করে। এই অদ্ভুত বাসায় ঢুকিবার দরজাটি থাকে জলের নীচে, একটা লম্বা প্যাঁচালো সুড়ঙ্গের মুখে। জলে ডুব মারিয়া ঐ সুড়ঙ্গের মুখটি বাহির করিতে না পারিলে বাসায় ঢুকিবার আর কোন উপায় নাই।
    • জানোয়ার এঞ্জিনিয়ার। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১০১। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০
  • বীভারের শরীরের গঠন দেখিলেই বোঝা যায় যে জলে থাকা অভ্যাস তাহার আছে। হাঁসের পায়ের মতো চ্যাটালো পা, নৌকার বৈঠার মতো চওড়া চ্যাপ্টা ল্যাজ, গায়ের নরম লোমের উপরে আবার লম্বা তেলতেলা লোমের ঢাকনি-এ সমস্তই জলজন্তুর উপযোগী ব্যবস্থা। বাসার কাছে জল না হইলে অহাদের চলে না।
    • জানোয়ার এঞ্জিনিয়ার। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১০২। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা