মাটি

জৈব পদার্থ, খনিজ প্রভৃতির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মিশ্রণ

মাটি বা মৃত্তিকা হলো ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের খনিজ এবং জৈব উপাদান দিয়ে তৈরি নরম আবরণ। ভূপৃষ্ঠে আলগা সূক্ষ্ম দানার শিলাচূর্ণে তৈরি যে অঞ্চল তা যদি ঘাস এবং অন্য গাছপালা জন্মাবার মতো উর্বর হয় তবে তাকে মাটি বলে। মাটির স্তর কয়েক সেন্টিমিটির থেকে বেশ কয়েক মিটার পুরু হতে পারে। যেসব মাটি বিশেষ বিশেষ জলবায়ু এবং গাছপালার প্রভাবে উৎপন্ন হয়, তাকে আঞ্চলিক মাটি বলে। মরু অঞ্চলের মাটি এবং অত্যাধিক শুষ্কতা বা বিশেষ ধরনের অধিশিলা দিয়ে তৈরি মাটিকে অনাঞ্চলিক মাটি বলে। মাটি প্রধানত খনিজ পদার্থ, জৈব পদার্থ, বায়ু এবং জল এই চারটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত হয়।

  • বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল—
    পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান॥
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গীতবিতান- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ (১৪০০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৫৫
  • মাটির কাছে সহিষ্ণুতা
    পেলাম আমি শিক্ষা,
    আপন কাজে কঠোর হতে
    পাষাণ দিল দীক্ষা।
    • সুনির্মল বসু, সবার আমি ছাত্র, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা- সুনির্মল বসু, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৩
  • অঙ্কুরের এক অংশ নীচের দিকে গিয়া দৃঢ়রূপে মাটি ধরিয়া রহিল, আর এক অংশ মাটি ভেদ করিয়া উপরে উঠিল। তোমরা কি অঙ্কুর উঠিতে দেখিয়াছ?
    • জগদীশচন্দ্র বসু, উদ্ভিদের জন্ম ও মৃত্যু, অব্যক্ত - জগদীশচন্দ্র বসু, তৃতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ (১৩২৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৫
  • বড় গরম! ভারি গরম! ঠাণ্ডা সরবৎ আনো!
    হাত পা কেমন করছে ছন্‌ছন্! জোরে পাখা টানো!
    খালে বিলে নাই রে জল, সব শুকিয়ে গেল
    তাতে মাটি ফাটে কাঠ, গ্রীষ্ম ঐ রে এল!
    • উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, গ্রীষ্মের গান, উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, শান্তা শ্রীমানি সম্পাদিত, প্রকাশক- বসাক বুক স্টোর প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, প্রকাশসাল ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭৯৩
  • এই মাটি, এই মাটি, এই মাটি তোর আপন রে!
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চণ্ডালিকা, গীতবিতান- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ (১৪০০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭২৩
  • কুমোর বললে, ‘ঘটি তো নেই। মাটি আন, গড়ে দি।’ শুনে কাক মোষের কাছে তার শিং চাইতে গেল, সেই শিং দিয়ে মাটি খুঁড়বে।
    • উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, চড়াই আর কাকের কথা, টুনটুনির বই- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, প্রকাশক- দেব সাহিত্য কুটীর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৭১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫২
  • মেটে সরা কহে, “ভায়া, গর্ব্ব কর দূর,—
    হাত থেকে প’ড়ে গেলে দু’জনাই চুর!
    আরো এক কথা ভাই, জেনে রেখো খাঁটি,—
    আমি মাটি,—তোমারও বুনিয়াদ মাটি!”
    • রজনীকান্ত সেন, কাচের শিশি ও মেটে সরা, অমৃত - রজনীকান্ত সেন, প্রকাশসাল- ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৪
  • ও আমার দেশের মাটি, তোমার ’পরে ঠেকাই মাথা।
    তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা॥
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বদেশ, গীতবিতান- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ (১৪০০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৪৪
  • বর্ষায় মাটি পেলব কোমল মায়ের মমতাসম,
    গ্রীষ্মে কঠিন বজ্রের মতো নিষ্ঠুর রুঢ় ষম।
    আমার দেশের মাটি ও মানুষে মিল,
    তাদের মনের দুয়ারে নেই তো খিল!
    • লেখক অজ্ঞাত, মাটি ও মানুষ, ইস্তাহার, প্রকাশক-বিশ্বজ্ঞান প্রকাশনী, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৬১
  • যখন থেকে ফোর্ড কোম্পানী মাটি কাটার কল তৈরী করেছে, সে সময় থেকে পার্বত্য গ্রামেও সোজা পথ, সমান লেভেলে বাড়ি গড়ে উঠেছে। আমেরিকার গ্রামে নতুনের গন্ধ পাওয়া যায়। ইউরোপের গ্রামে পুরাতনের প্রাধান্য বর্তমান।
    • রামনাথ বিশ্বাস, আজকের আমেরিকা - রামনাথ বিশ্বাস, তৃতীয়- সংস্করণ, প্রকাশক- পর্যটক প্রকাশনা ভবন, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৩৯
  • মাটির বুকের মাঝে বন্দী যে জল মিলিয়ে থাকে
    মাটি পায় না, পায় না, মাটি পায় না তাকে।
    কবে কাটিয়ে বাঁধন পালিয়ে যখন যায় সে দূরে
    আকাশপুরে গো,
    তখন কাজল মেঘের সজল ছায়া শূন্যে আঁকে,
    সুদূর শূন্যে আঁকে—
    মাটি পায় না, পায় না, মাটি পায় না তাকে।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিচিত্র, গীতবিতান- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ (১৪০০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৮৬
  • মাটি খুঁড়ে-খুঁড়ে
    মাটি, তারপর?
    মাটি থেকে মাটি থেকে মাটি তুলে নিই
    কোনখানে জল?
    • তপোধীর ভট্টাচার্য, জল, কবিতাসংগ্রহ ১ - তপোধীর ভট্টাচার্য, প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- এবং মুশায়েরা, কলকাতা, প্রকাশসাল-২০০৪ খ্রিস্টাব্দ (১৪১১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩০
  • কাল সন্ধ্যা হইতে টিপ্ টিপ্ করিয়া কেবলই বর্ষণ হইয়াছে; সে বৃষ্টিতে রাস্তার মাটিকে কাদা করিয়া তুলিয়াছে কিন্তু কাদাকে ধুইয়া ভাসাইয়া লইয়া যাইবার মত বল প্রকাশ করে নাই।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গোরা, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, গোরা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা