মাদার টেরিজা

আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক
(মাদার তেরেসা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মাদার টেরিজা (জন্ম: অ্যাগনিস গঞ্জা বোজাঝিউ; আলবেনীয়: [aˈɲɛzə ˈɡɔndʒɛ bɔjaˈdʒiu];২৬ আগস্ট, ১৯১০ – ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭), যিনি মাদার টেরিজা বা তেরেসা নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মপ্রচারক। টেরিজার জন্মস্থান অটোমান সাম্রাজ্যের আলবেনিয়া রাজ্যের স্কপিয়ে। আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সেখানেই কাটান। ১৯২৮ সালে তিনি আয়ারল্যান্ড হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচার অভিযানে আসেন। জীবনের বাকি বছরগুলো ভারতে থেকেই মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেন।

মাদার টেরিজা
  • রুটির ক্ষুধার চেয়ে ভালোবাসার ক্ষুধা দূর করা অনেক বেশি কঠিন।
    • টাইম ম্যাগাজিনের তরফে এডওয়ার্ড ডব্লিউ ডেসমন্ডের নেওয়া সাক্ষাৎকার (৪ ডিসেম্বর ১৯৮৯)
  • আমি সবসময় বলেছি আমাদের উচিত একজন হিন্দুকে ভালো হিন্দু হতে, একজন মুসলিমকে ভালো মুসলিম হতে, একজন ক্যাথলিককে ভালো ক্যাথলিক হতে সাহায্য করা।
    • এ সিম্পল পাথ, লুসিন্ডা ভার্দে দ্বারা সংকলিত (ব্যালান্টাইন বুকস, ১৯৯৫), পৃষ্ঠা ৩১ (ইংরাজি)
  • কনভেন্ট ত্যাগ করে দরিদ্রদের মাঝে বাস করা এবং তাদের সহায়তা করা আমার জন্য আবশ্যক ছিল। এটা ছিল এক সরাসরি আদেশ। এই আদেশ পালনে ব্যর্থ হওয়ার অর্থ ছিল বিশ্বাস ভেঙে ফেলা।[উৎস প্রয়োজন]
  • ঈশ্বর চান যে, আমি এক বন্ধনমুক্ত সন্ন্যাসিনীই থাকি, ক্রুশ চিহ্নের দীনতা আমাকে আবৃত করে থাক। আজ একটা ভাল শিক্ষা পেলাম। গরিব লোকদের দারিদ্র্য কত কষ্টকর। যখন বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি, হেঁটে হেঁটে আমার গা-হাত-পা ব্যথা হয়ে যেত। আমি ভেবে দেখলাম, বাসস্থান, খাদ্য, সাহায্য কোথায় পাবে, তার চেষ্টাতেই গরিব মানুষদের দেহ এবং আত্মা কী যন্ত্রণা ভোগ করে। তখন প্রবল হয়ে উঠলো লোভ। লরেটোর প্রাসাদোপম গৃহগুলির কথা মনে উদয় হল। কে যেন আমায় লোভ দেখাতে লাগল, 'একবার মুখ ফুটে চাইলেই, সে-সবই আবার ফিরে পাব।' আমার প্রভু, নিজের ইচ্ছায়, তোমার প্রতি প্রেমে, আমি তাই করতে চাই, যা আমাকে দিয়ে তুমি করাতে চাও। এক বিন্দু অশ্রুও আমার চোখ থেকে আমি পড়তে দিলাম না।[উৎস প্রয়োজন]
  • কোথায় আমার বিশ্বাস? এমনকি হৃদয়ের গভীরে শূন্যতা আর অন্ধকার ছাড়া কিছু নেই। যদি ঈশ্বর তুমি থাকো, আমাকে ক্ষমা করো।[উৎস প্রয়োজন]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা