শিল্পী

যিনি শিল্পকর্ম সৃষ্টি, শিল্পকর্ম অনুশীলন,বা শিল্প প্রদর্শন সম্পর্কিত কার্যকলাপের সাথে জড়িত

শিল্পী হচ্ছে একজন ব্যক্তি যিনি শিল্পকর্ম সৃষ্টি, শিল্পচর্চা,বা শিল্পকর্ম প্রকাশ বা প্রদর্শন সম্পর্কিত কার্যকলাপের সাথে জড়িত। বিভিন্ন ধরনের শিল্পী রয়েছে, এবং প্রত্যেকের কাজেরই নিজস্ব শৈলী বা স্টাইল রয়েছে। শিল্পীদের কিছু সাধারণ প্রকারের মধ্যে রয়েছে চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, ফটোগ্রাফার, সঙ্গীতশিল্পী, লেখক এবং নৃত্যশিল্পী। প্রতিটি শাখার মধ্যে আরও বিশেষীকরণ থাকতে পারে যেমন প্রতিকৃতি চিত্রশিল্পী, ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফার বা জ্যাজ সঙ্গীতশিল্পী।

উক্তি সম্পাদনা

  • এটা মনে রাখা চাই যে আগে শিল্পী ও তাহার সৃষ্টি, পরে শিল্পশাস্ত্র ও শাস্ত্রকার—শাস্ত্রের জন্য শিল্প নয়, শিল্পের জন্য শাস্ত্র। আগে মূর্তি রচিত হয়; পরে মূর্তিলক্ষণ, মূর্তিবিচার, মূর্তিনির্মাণের মান-পরিমাণ নির্দিষ্ট ও শাস্ত্রাকারে নিবদ্ধ হয়।
    • ভারতশিল্পে মূর্তি, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১
  • প্রশিক্ষক হতে চাইনি। প্রশিক্ষণে গড়পড়তা পারফর্মার হওয়া যায়। শিল্পী হতে হলে একটি স্তর অতিক্রম করে যেতে হয়। সেটা সকলে পারে না। আমি তো গলা দিয়ে ছবি আঁকি। সেটা আমি আঙুলে নিলে কেন আমি শিল্পী হতে পারব না? আমার কাজ বিভ্রম তৈরি করা, মায়া তৈরি করা যেমন আমরা গান শোনার সময় অন্য জগতে চলে যাই।
  • যাঁরা ছবি আঁকেন, কেবল তাঁরাই শিল্পী নন, সৃজন ও মননশীলতার প্রতিটি ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সবাই শিল্পী। চিত্রশিল্পী হতে হলে এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যক নয়। পৃথিবীর বহু কালজয়ী শিল্পী রয়েছেন, যাঁদের শিল্পকলার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না।
  • এ-শিল্পী (নদী) যে-ছবি আঁকে তা বড় মনোরম। তীর-ঘেঁসিয়া সব ছোট ছোট পল্লী। তারপর জমি। তাতে অঘ্রাণ মাসে পাকা ধানের মৌসুম। মাঘ মাসে সর্ষেফুলের অজস্র হাসি। তারপর পল্লী। ঘাটের পর ঘাট। সে ঘাটে জীবন্ত ছবি। মা তার নাদুস-নুদুস ছেলেকে ডুবাইয়া চুবাইয়া তোলে। বৌ-ঝিরা সব কলসী লইয়া ডুব দেয়। পরক্ষণে ভাসিয়া উঠে।
    • তিতাস একটি নদীর নাম- অদ্বৈত মল্লবর্মণ, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশক-পুথিঘর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১১

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা