হেলাল হাফিজ

বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি

হেলাল হাফিজ (১৯৪৮-) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্পপ্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার কবিতা সংকলন যে জলে আগুন জ্বলে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর ৩৩টিরও বেশি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। ২৬ বছর পর ২০১২ সালে আসে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কবিতা একাত্তর। তার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’;- এ কবিতার দুটি পঙ্‌ক্তি ‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’’ বাংলাদেশের কবিতামোদী ও সাধারণ পাঠকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়ে থাকে। তিনি সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কাজ করেছেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।

হেলাল হাফিজ
  • নিউট্রন বোমা বোঝ
    মানুষ বোঝ না!
  • আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে,
    দেখি দেখি, বাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো;
    ইস্! করছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি,
    ক্ষমার রুমালে মুছে সজীব ক্ষতেই
    এন্টিসেপটিক দুটো চুমু দিয়ে দেই।
  • তোমার বুকের ওড়না, আমার প্রেমের জায়নামাজ।
  • যুক্তি যখন আবেগের কাছে অকাতরে পর্যুদস্ত হতে থাকে, কবি কিংবা যে
    কোনো আধুনিক মানুষের কাছে সেইটা বোধ করি
    সবচেয়ে বেশি সংকোচ আর সঙ্কটের সময়।
  • বৃক্ষ হারালে তার সবুজ পিরান, মৃত্তিকার ফুরালে সুঘ্রাণ,
    কষ্টের ইস্কুল হলে পুষ্পিত বাগান, আমি আহত হবো না
কবিতার কসম খেলাম কবিতা থেকে।
  • এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
    এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় কবিতা থেকে।
  • আমি আর কতোটুকু পারি?
    কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়,
    আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়।
    ওইটুকু নিয়ে তুমি বড় হও,
    বড় হতে হতে কিছু নত হও
    নত হতে হতে হবে পৃথক পাহাড়,
    মাটি ও মানুষ পাবে, পেয়ে যাবে ধ্রুপদী আকাশ।
    আমি আর কতোটুকু পারি?
    এর বেশি পারেনি মানুষ।
পৃথক পাহাড় কবিতা থেকে।
  • আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে
    কিছু থাকে,
    হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই,
    মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না

কিচ্ছু থাকে না,
খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই

মানবানল কবিতা থেকে
  • কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
    আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের
    কবিতা
একটি পতাকা পেলে কবিতা থেকে

হেলাল হাফিজকে নিয়ে উক্তি

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা