অন্নদাশঙ্কর রায়
বাঙালি কবি ও লেখক
অন্নদাশঙ্কর রায় (১৫ মার্চ ১৯০৪ - ২৮ অক্টোবর ২০০২) ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছড়াকার ও লেখক। তাকে উনিশ শতকের বাঙালি রেনেসাঁ ঐতিহ্যের শেষ বুদ্ধিজীবী হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি ভারতের উড়িষ্যা জেলার এক কায়স্থ রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
উক্তি
সম্পাদনা- "তেলের শিশি ভাঙল বলে
খুকুর পরে রাগ করো
তোমরা যে সব বুড়ো খোকা
বাংলা ভেঙে ভাগ করো!
তার বেলা?"- অন্নদাশঙ্কর রায়।'খুকু ও খোকা' ছড়া। "ছড়া-সমগ্র" - অন্নদাশঙ্কর রায়। প্রকাশক- বাণীশিল্প, প্রকাশকাল ১৯৮৫, পৃষ্ঠা- ৩৬
- ভুল হয়ে গেছে বিলকুল।
আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে
ভাগ হয়নি কো নজরুল।- ১৯৪৯ সালে নজরুলকে নিয়ে লেখা কবিতায় অন্নদাশঙ্কর রায়।[১]
- যুদ্ধ একটা উপলক্ষ মাত্র, লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার পরীক্ষা।
- অন্নদাশঙ্কর রায়।[২]
- “জীবনকে কেউ কোনোদিন সরল করতে পারেনি। বড়োজোর আপনার জীবনযাত্রাকে সরলতর করতে গিয়ে সাধুসন্ন্যাসীর মতো হয়েছে। জীবন চিরদিন জটিল ছিল, জটিলই থাকবে চিরদিন।”
- অন্তঃসৌন্দর্য,আর্ট,আর্ট ও বাংলার রেনেসাঁস – অন্নদাশঙ্কর রায়, প্রথম প্রকাশ-১২ নভেম্বর ১৯৬৮
- "যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান"
- প্রখ্যাত উক্তি বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে।[উৎস প্রয়োজন]
- "আঙ্গিকগত বৈচিত্র্য বলতে কত বিচিত্র আঙ্গিকে ছড়া লেখা দেখা যায়। যেমন লিমেরিক। যেমন ক্লোরাহিউ। যেমন রূথলেস্ রাইম। যেমন ব্যালাড, যেমন ছড়া নাটিকা ইত্যাদি।"
- ধীমান দাশগুপ্তের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ছড়ার আঙ্গিকগত বৈচিত্র্যের প্রসঙ্গে।
- "আমার কাছে আদর্শ ছড়া ছিল, 'আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে', 'খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো', হাট্টিমা টিম টিম' এইসব খাঁটি লোকসংস্কৃতি, মুখে মুখে যা ছড়িয়ে পড়ে, পুরুষানুক্রমিক যা সঞ্চারিত হয়। একদিকে এই আর একদিকে হিউমরাস বা ননসেন্স কিছু। এইসব লোকছড়ায় কতদিনের অভিজ্ঞতা, ফোকউইড্রম ধরা থাকে। এ ছাড়া নানান সম্প্রদায়ের ছড়ায় নানা এথনিক ব্যাপারও থাকে। আধুনিক ব্যঙ্গ বা সূক্ষ্ম কল্পনার চেয়ে আমি চেয়েছিলাম ছড়ার মধ্য দিয়ে সাধারণের জন্য বলতে।"
- ঐ।
- "ছড়া লেখার উপকরণ আসে সমসাময়িকঘটনা ও পরিস্থিতি থেকে।"
- অন্নদাশঙ্কর রায়। উড়কি ধানের মুড়কি, ভূমিকা, প্রথমপ্রকাশ-১৯৪২, চতুর্থ সংস্করণ,প্রকাশক- ডি এম লাইব্রেরী
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় অন্নদাশঙ্কর রায় সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।