অমিয় চক্রবর্তী
বাঙালি সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ
অমিয় চক্রবর্তী (১০ এপ্রিল ১৯০১ - ১২ জুন ১৯৮৬) ছিলেন বাঙালি সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। তিনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উক্তি
সম্পাদনা- বাঙলার মেয়ে, এসে ছিল তার জীবনের দাবি নিয়ে,
দুদিনের দাবি ফলন্ত মাঠে, চলন্ত সংসারে;
কতটুকু ঘেরে কত দান ফিরে দিতে।
সামান্য কাজে আশ্চর্য খুশি ভরা।
আজ শহরের পথপাশে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েকোথা
সভ্যতা ছোটে তেরোশো পঞ্চাশিকে।- "আধুনিক বাংলা কবিতার পথিকৃৎ অমিয় চক্রবর্তী", আহমাদ ইশতিয়াক, দ্য ডেইলি স্টার, ১০ এপ্রিল ২০২১।
- কতদিন ধ’রে হলোপ্রবল আকুল বাসনায়
ধু ধু করে প্রাণ, সেই দাহে
ইতিহাস দরজা খুলে ধুলো পথ দেখায় মিশরে
পিরামিড ছায়ায় প্রাচীন
যুবে ব’সে আছে নীল নদীর ওপারে কাকে চেয়ে;- নরেশ গুহ (সম্পা.) ১৩৬৬: ১২০
- অতন্দ্রিলা,
ঘুমোওনি জানি
তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে
বলি, শোনো,
সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায়
—সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি—- "রাত্রি", অমিয় চক্রবর্তী
- আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে ঘুরুক দেখুক থাকুক
কেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা—
আলোর গন্ধে ছুঁয়ে তার ঐ ভুবন ভরে রাখুক,
আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে ধুলোর রেণু মাখুক।- "পিঁপড়ে", অমিয় চক্রবর্তী
- বোবা করো,
বধির নিস্তব্ধতা দাও;
যে-সম্পূর্ণ আত্মহীন,
অঙ্গ হোক তার সমাঙ্গীন
সর্বাস্তি প্রকা- শান্তির অবয়বে।
স্বদেশপ্রসঙ্গ
সম্পাদনা- গেল
গুরুচরণ কামার, দোকানটা তার মামার,
হাতুড়ি আর হাপর ধারের (জানা ছিল আমার) দেহটা নিজস্ব
- তদিন বাঁচি ভোরের আকাশে চোখ জাগানো
হাওয়া উঠলে হাওয়া মুখে লাগানো।
কুয়োর ঠাণ্ডা জল, গানের কলি, বইয়ের দৃষ্টি
গ্রীষ্মের দুপুরে বৃষ্টি।
আপনজনকে ভালোবাসা,
বাংলার স্মৃতিদীর্ণ বাড়ি-ফেরার আশা।- "কী কী কেড়ে নিতে পারবে না", অমিয় চক্রবর্তী
- এপারে ওপারে, বন্ধ, হয়তো ওপারে
সব মিলে এক হওয়া মোহনায় দুই নদী মিলে।- "যে দৃষ্টি সকল সুর দেখে", অমিয় চক্রবর্তী
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় অমিয় চক্রবর্তী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।