অশ্লীলতা হল একটি পরিভাষা, যা এমন সব শব্দ, চিত্র ও কার্যক্রমকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যেগুলো সমসাময়িক অধিকাংশ মানুষের যৌন নৈতিকতার দৃষ্টিতে অপরাধ বা দোষ হিসেবে বিবেচিত। উক্ত শব্দটি প্রায়শই আইনগত দৃষ্টিকোণ হতে ব্যবহৃত হয়। এর মূল ইংরেজি শব্দ অবসিনিটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ অবসেনাস থেকে, যার অর্থ "দুষ্ট, ঘৃণিত, রুচিহীন"।

অষ্টাদশ শতাব্দীর বই ফ্যানি হিল বিভিন্ন সময়ে অশ্লীল বিচারের মুখোমুখি হয়েছে (চিত্র: প্লেট একাদশ: স্নানের পার্টি; লা ব্রেকিয়েট)
  • মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।’
    • (সুরা : নুর, আয়াত : ১৯)
  • আপনি বলুন, আমার রব প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা, পাপকাজ, অন্যায় ও অসংগত বিদ্রোহ ও বিরোধিতা এবং আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করা, যার পক্ষে আল্লাহ কোনো দলিল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি, আর আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা, যা সম্বন্ধে তোমাদের কোনো জ্ঞানই নেই, (ইত্যাদি কাজ ও বিষয়) নিষিদ্ধ করেছেন।
    • (সুরা আরাফ, আয়াত : ৩৩)
  • তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না, নিশ্চয়ই তা অশ্লীল ও মন্দ পথ।’
    • (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩২)
  • যারা কোনো পাপ কাজ করে ফেললে কিংবা নিজেদের প্রতি জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং আল্লাহ ছাড়া গুনাহসমূহের ক্ষমাকারী কে-ই বা আছে এবং তারা জেনে শুনে নিজেদের (পাপ) কাজের পুনরাবৃত্তি করে না।
    • (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৫)
  • প্রকাশ্য কিংবা গোপন অশ্লীল আচরণের নিকটে যাবে না।
    • সূরা আল-আ'রাফ,আয়াত ৩৩
  • যারা ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার পছন্দ করে, তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।
    • সুরা: নুর, আয়াত: ১৯

হাদিস

  • রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, মুমিন খোঁটা দানকারী, অভিশাপকারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীলভাষী হয় না।
    • তিরমিজি -১৯৭৭, আহমদ, ইবনে হিব্বান-১৯২, আদাবুল মুফরাদ-৩৩২, ত্বাবারানী-২০৭৩
  • হজরত আব্দুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত তিনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, নিষিদ্ধ কাজে মুমিনদের বাধা প্রদানকারী আল্লাহর চেয়ে অধিক কেউ নেই। এজন্যই প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় অশ্লীলতা নিষিদ্ধ করেছেন।’
    • বোখারি-৪৬৩৪, মুসলিম-৩৩, তিরমিজি-৩৫৩০, আহমদ-৩৬১৬
  • কোনো মুসলমান বা প্রকৃত ইমানদার অশালীন বা অশ্লীলতার চরিত্রে ভূষিত হতে পারে না। কেননা, অশ্লীলতার স্থান ইসলাম ধর্মে নেই বলে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘হজরত জাবির বিন সামুরা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কোনো এক মজলিসে ছিলাম যেখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন। উক্ত মজলিসে আমার পিতা সামুরা (রা.)ও আমার সম্মুখে বসা ছিলেন। অতঃপর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন, নিশ্চয় অশ্লীল কথা ও কাজ এবং অশ্লীলতার অভিনয়, ইসলামে এর কোনো স্থান নেই। নিশ্চয়ই মানুষদের মধ্যে ইসলামের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সে ব্যক্তি যে তাদের মধ্যে চরিত্রের দিক থেকে সবচেয়ে সুন্দর।
    • আহমদ-২০৮৩১, আত তারগীব ওয়াত তারহীব-২৬৫৩

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা