অহংকার
অহংকার (দাম্ভিকতা বা ঔদ্ধত্যও বলা হয়ে থাকে) বলতে বোঝায় অতিমাত্রায় গর্ব করা বা নিজেকে চরমভাবে অতিরিক্ত গুরুত্ব প্রদান করার আচরণ। আরও সুস্পষ্টভাবে, এটি হল বাস্তবতার সাথে সম্পর্কহীনতা আর নিজের প্রতিদ্ধন্দিতা বা সক্ষমতাকে অতিমূল্যায়ন করা।
উক্তি
সম্পাদনা- আল্লাহ বললেন, তাহলে তুই এখান থেকে নেমে যা। কেননা তোর এই অধিকার নেই যে, এখানে (থেকে) অহংকার করবি। সুতরাং বের হয়ে যা। তুই হীনদের অন্তর্ভুক্ত।
- অহংকারের বশবর্তী হয়ে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কর না, আর পৃথিবীতে গর্বভরে চলাফেরা কর না, নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।
- আমি চাই চরিত্র—জ্ঞান—কার্য্য। এই চরিত্রের ভিতরে সব যায় ভগবদ্ভক্তি, স্বদেশপ্রেম,—ভগবানের জন্য তীব্র ব্যাকুলতা—সবই যায়। বই পড়া বিদ্যা ত অতি তুচ্ছ সামান্য জিনিস—কিন্তু হায়! কত লােকে তাহা লইয়া কত অহংকার করিয়া থাকে!
- সুভাষচন্দ্র বসু, শ্রীমতী মাতাঠাকুরাণীকে লিখিত পত্র, পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২)-সুভাষচন্দ্র বসু, প্রকাশক- এম. সি. সরকার এন্ড সন্স লিমিটেড, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৭
- তুমি আমাদেরি ছেলে। ভিক্ষা লয়ে অবহেলে
অহংকার কর ধেয়ে ধেয়ে!
ছেঁড়া ধুতি আপনার ঢের বেশি দাম তার
ভিক্ষা-করা সাটিনের চেয়ে।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পূজার সাজ, শিশু- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ (১৪২৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২৯
- জাহান্নাম ও জান্নাত পরস্পর তর্ক করছিল। জাহান্নাম বলল, আমাকে দাম্ভিক ও অহংকারী মানুষ দেওয়া হয়েছে, যা তোমাকে দেওয়া হয়নি। জান্নাত বলল, আমার কী দোষ যে দুর্বল, অক্ষম ও গুরুত্বহীন মানুষগুলোই আমার ভেতর প্রবেশ করছে।’
- হাদিস, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন (মুসলিম, হাদিস : ২৮৪৬)
- ‘যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। একজন সাহাবি বলেন, মানুষ তো চায় যে তার কাপড় সুন্দর হোক এবং তার জুতা সুন্দর হোক (এটা কি অহংকার বলে গণ্য হবে?) রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সুন্দর। অতএব তিনি সুন্দর পছন্দ করেন। তবে অহংকার হচ্ছে সত্য প্রত্যাখ্যান ও মানব অবমূল্যায়ন।’
- হাদিস, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন (মুসলিম, হাদিস : ৯১)
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় অহংকার সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে অহংকার শব্দটি খুঁজুন।