আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
বাংলাদেশের অগ্রণী লেখক ও ঔপন্যাসিক
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ - ৪ জানুয়ারি ১৯৯৭) ছিলেন বাংলাদেশী ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক, এবং অধ্যাপক। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩) ও আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৬) এবং মরণোত্তর একুশে পদক (১৯৯৯) ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০১৪) লাভ করেন।
উক্তি
সম্পাদনা- আমার সময়ের দেওয়ালের ভেতর আমি শুধু হাঁসফাঁস করি। এভাবে বাঁচা মুশকিল। তাই কোনো বড় কিছু করার জন্যে নয়, এমনি বাঁচার তাগিদে, নিশ্বাস নেওয়ার জন্যে পায়ের পাতায় ভর দিয়ে দেওয়ালের ওপারটা দেখার চেষ্টা করি।
• | ক্লান্ত চোখে ক্লান্ত চোখের পাতা’ |
- যার খায় যার পরে, তারেই ধইরা হোগা মারে?
- আকাশ এখন বেশ স্পষ্ট : গোলাপী রঙের, নীল রঙের; ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু বেশ স্পষ্ট : সবুজ চোখের মাথায় একটি শাদা মণি; টেলিগ্রাফের তারের রেখা বেশ স্পষ্ট : শিশিরে ধুয়ে খুব ধারালো ও নির্লিপ্ত।
- অন্য ঘরে অন্য স্বর
সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু (১৯৯৮)
সম্পাদনাসংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু ১৯৯৮ সালে কলকাতা থেকে মরণোত্তর প্রকাশিত প্রবন্ধ সংকলন।
- আজ মধ্যবিত্তের সংস্কৃতি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সংস্কৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। কিন্তু যে মধ্যবিত্ত আজ তাদের ‘মুক্তির জন্য স্থিরসংকল্প’, তাদের ‘শ্রমজীবী নিম্নবিত্তের সঙ্গে যোগাযোগ’ রাখতে হবে।”
- রাষ্ট্রীয় কাঠামোই এমনভাবে তৈরি হচ্ছে যে, যে-কোনো গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের সময় অযোগ্য ও আত্মসম্মানবোধ্যশূন্য ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় যাতে প্রভুদের যে-কোনো স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রশ্ন করার প্রবণতা না থাকে।”
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কে
সম্পাদনা- এ এক নতুন বাংলা ভাষা, শহরের ধুলো-কাদা-মবিল-আবর্জনা-হঠাৎ ধনীর বর্বর অসভ্যতা আস্তাকুঁড়ের মানুষদের বারুদ হয়ে ওঠার ভাষা। শহরের নিচুতলার সমাজের মানুষের বাংলা ভাষা এমন ইজ্জত পায়নি সাহিত্যে। যেমন দেখার চোখ, তেমনি স্বচ্ছ ও কঠিন রাজনীতিক বিশ্বাস, তেমনি ধারালো হিউমার। ~ মহাশ্বেতা দেবী
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।