আনিসুল হক (সাহ্যিতিক)

বাংলাদেশী সাহিত্যিক ও সাংবাদিক

আনিসুল হক (জন্ম: মার্চ ৪, ১৯৬৫) একজন বাংলাদেশী কবি, লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সত্য ঘটনা নিয়ে তার লেখা মা বইটি বেশ জনপ্রিয়। বাংলা ভাষার পাশাপাশি বইটি দিল্লী থেকে ইংরেজি ভাষায় এবং ভুবনেশ্বর থেকে ওড়িয়া ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।

  • প্রথম লেখা ছাপার অক্ষরে দেখি রংপুরে। এটি ১৯৮৩ সালের দিকে। আমার বয়স তখন আঠারোর মতো। অনীক রেজা নামে একজন একটা পত্রিকা বের করেছিলেন, নাম ছিল ‘হƒদয়’। সেটায় প্রথম সংখ্যায় একটা গল্প আর একটা কবিতা লিখেছিলাম। দ্বিতীয় সংখ্যায় ছিল একটা গল্প, আর সঙ্গে সৈয়দ শামসুল হকের সাক্ষাৎকার। নিজেও কবিতাপত্র বের করে নিজের কবিতা নিজে প্রকাশ করেছিলাম বলে মনে পড়ে। বুয়েটে এসে ইউকসুর একুশে স্মরণিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। কবি মিনার মনসুর তখন দেশবন্ধু নামের সাপ্তাহিক কাগজ ব্রডশিটে বের করতেন। সেখানেও নিজের কবিতা প্রকাশিত হলো। এরপর দৈনিক ইত্তেফাকে কচিকাঁচার আসরে ছড়া ছাপা হয়েছিল।

প্রথম নিজের লেখা ছাপা হওয়ার যে অনুভূতি, আর আজকে নিজের লেখা ছাপা হওয়ার যে অনুভূতি, তা একই রকম। আমি প্রত্যেকবার নতুন লেখকের মতো উত্তেজিত হই, উত্তেজনায় কাঁপতে থাকি। এটা একেবারে প্রেমের মতো। প্রতিটা প্রেমই প্রথম প্রেম। প্রতিটা কবিতা প্রকাশিত হওয়া মানেই প্রথম কবিতা প্রকাশিত হওয়া।

  • ছবি আঁকা অনেকটাই ধ্যানের মতো। আঁকার সময় এমন নিমগ্নতা এসে যায় জগৎ এমনকি নিজেকেও ভুলে থাকা যায়। বয়সকালের এসব আঁকাকে তিনি বলেছেন ‘ছেলেমানুষি’।
    • আনিসুল হকের আঁকা চিত্রকর্মের একক প্রদর্শনীতে প্রথম আলো
  • পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ যাঁরা, তাঁরা বেশি বেশি বই পড়তেন। তোমরা যদি আলোকিত মানুষ হতে চাও, তাহলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষদের বই বেশি বেশি পড়তে হবে, তাঁদের বই সঙ্গে রাখতে হবে। একদিন তোমাদের আলোতে আলোকিত হবে সমাজ, আলোকিত হবে দেশ। আমরা যদি মানুষে মানুষে জোড়া লাগাতে পারি, দেশটা একদিন জোড়া লেগে যাবে।
    • নারায়ণগঞ্জে বইমেলার উদ্বোধনীতে আনিসুল হক প্রথম আলো
  • ফেসবুকে শার্টের সুন্দর ছবি দেখে অর্ডার দিলাম। এলো ত্যানা। এর আগে দুজনে অন্তত ১০ বার ঠকেছি। আর কোনোদিন দেশে অনলাইনে কেনাকাটা করব না, না, না...।
  • আমি ‘মা’ লিখেছি, ‘গুড্ডু বুড়া’ লিখেছি আবার ‘চিয়ারি বা বুদু ওরাঁও কেন দেশ ত্যাগ করেছিল’ লিখেছি। একেকটা একেক রকম। আমরা যখন লিখতে বসি তখন এক ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই বসি। যখন উপন্যাস লিখতে বসি তখন কবিতা লিখি না। কবিতা লিখতে বসলে কবিতাই লিখি, নাটক নয়। আমার লেখার একটা প্রস্তুতি থাকে।”
  • ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তরুণরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তারুণ্যের চোখে-মুখে স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল বলেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।

এ প্রজন্মের তরুণরা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, তাই বলে দেশের প্রতি তাদের ভালবাসা কোন অংশে কম নয়, দেশকে জানতে বুঝতে শিখেছেন প্রতিনিয়ত। তারাই আগামী দিনের উজ্জ্বল নক্ষত্র, তাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে আগামীর বাংলাদেশ। তরুণদের মাঝে লুকিয়ে আছে অমিত সম্ভাবনা। স্বপ্নবাজ তরুণদের চোখে মুখে সব স্বপ্নের সূচনা ধরা দিয়েছে আলোর ঝলকানি হয়ে। তারা তাদের জ্ঞানকে শানিত করে মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্ফূরণ ঘটিয়ে নতুন আবিস্কারের মাধ্যমে দেশ ও মানবতার কল্যাণ সাধন করছেন। সৃজনশীল কর্মকা-ে তাদের বেশি বেশি অংশগ্রহণের সুযোগ অবারিত করে দিতে হবে, তাহলে তারা যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জন করবে।

আনিসুল হককে নিয়ে উক্তি

সম্পাদনা
  • যাঁরা ছবি আঁকেন, কেবল তাঁরাই শিল্পী নন, সৃজন ও মননশীলতার প্রতিটি ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সবাই শিল্পী। চিত্রশিল্পী হতে হলে এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যক নয়। পৃথিবীর বহু কালজয়ী শিল্পী রয়েছেন, যাঁদের শিল্পকলার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। কবি ও কথাশিল্পী আনিসুল হক একজন সংবেদনশীল মানুষ। তিনি চারুকলার চর্চার ভেতর দিয়ে সেই সংবেদনশীলতার সঙ্গে মানবিকতার সংযোগে একটি উদারসহিষ্ণু মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা