আবুল ফজল (সাহিত্যিক)
প্রখ্যাত সাহিত্যিক, চিন্তাশীল ও সমাজমনস্ক প্রবন্ধকার
আবুল ফজল' (১ জুলাই ১৯০৩-৪ মে ১৯৮৩) বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রাষ্ট্রপতির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি মূলত একজন চিন্তাশীল ও সমাজমনস্ক প্রবন্ধকার।
উক্তি
সম্পাদনা- রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু প্রশাসন চালানোই নয়, জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলাও রাষ্ট্রের এক বৃহত্তর দায়িত্ব। যে রাষ্ট্র হাতপাতা আর চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দেয়, সে রাষ্ট্র কিছুতেই আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে পারে না। তাই মানবকল্যাণ অর্থে আমি দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে দান-খয়রাতকে মনে করি না। মনুষ্যত্বের অবমাননা যে ক্রিয়াকর্মের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি তাকে কিছুতেই মানবকল্যাণ নামে অভিহিত করা যায় না।
- মানব কল্যাণ প্রবন্ধ
- আমাদের বিশাল মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় সুপরিকল্পিত পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব। একমাত্র মুক্ত বিচারবুদ্ধির সাহায্যেই বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কারকে ধ্বংসের পরিবর্তে মানব কল্যাণ হয়ে উঠবে মানব মর্যাদার সহায়ক।
- মানবতন্ত্র গ্রন্থ
- 'অনুসন্ধিৎসাই মানুষকে সত্যের পথে টানিয়া লইয়া যায়। বিশ্বাস করিয়া মানুষের সুখ আছে জানি, কিন্তু সত্যের অনুসন্ধানে বা সত্যকে আবিষ্কার করিয়া মানুষের যে সুখ, আত্মপ্রসাদ —তাহার তুলনা নাই। সন্দেহই জ্ঞানের গোঁড়া —এইতো বড় বড় দার্শনিকের কথা। সন্দেহ হইতে মানুষের মনে অনুসন্ধিৎসা জাগে। এই অনুসন্ধিৎসাই মানুষকে জ্ঞানের পথে চালিত করে। আজ মুসলমান ছেলের মনে জীবনের বড় কিছু সম্বন্ধে সন্দেহ জাগিতে পারে না। সন্দেহ জাগিলে তাহার গলা টিপিয়া ধরা হয়।
- 'শিখা'র তৃতীয় সংখ্যায় 'তরুণ আন্দোলনের গতি' শীর্ষক প্রবন্ধ 'তরুণ আন্দোলনের গতি' শীর্ষক প্রবন্ধ
- একুশ মানে মাথা নত না করা।
- ভাষা আন্দোলন নিয়ে তার উক্তি
- মানুষের জীবনে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সাহিত্যের একটি প্রধান ভূমিকা রয়েছে। সে ভূমিকায় আমি কখনো বিস্মৃত হইনি। তাই দেশের মানুষ আর সমাজের বিচিত্র সমস্যা বারবার আমার লেখায় ছায়াপাত করেছে। এমনি সময় আমার লেখাকে কণ্টকিতও করেনি তা নয়। ভয়ে বা প্রলোভনে আমি কখনো লেখাকে সাহিত্য তথা সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হতে দেইনি।
- ১৯৭৪ সালে ৭ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষ সমাবর্তনের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের পরে ভাষণে
আবুল ফজলকে নিয়ে উক্তি
সম্পাদনা- আবুল ফজল ট্র্যাজেডির লেখক নন। সত্যি তাই। তাঁর লেখা আশাবাদী, সাহিত্যিককে তিনি বলেছেন সমাজের বিবেক। এ বিশেষ অর্থেই সাহিত্যিক তিনি। তিনি আমাদের চলমানতারই অংশ, আমাদের আশাবাদের স্থপতিদের একজন। জীবন-পথের এ অক্লান্ত যাত্রীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শ্রদ্ধার যেমন, তেমনি কৃতজ্ঞতারও।
- আবুল ফজলের ওপর শহীদ বুদ্ধিজীবী আনোয়ার পাশার লেখা 'সাহিত্যশিল্পী আবুল ফজল'
- আভিজাত্যাভিমানী অথচ দরিদ্র মুসলমান সমাজের যে নিখুঁত চিত্র ইনি এঁকেছেন, তার তুলনা নেই। বাংলার যে অংশ অজানা ছিল সেই অবহেলিত সমাজের দিকে চোখ ফিরিয়ে দেশের ও সমাজের প্রত্যুপকার সাধন করলেন।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় আবুল ফজল সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।