আবু উবাইদা বা আবু ওবাইদা ( আরবি : أبو عبيدة ) হলো ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ–গোষ্ঠী হামাসের একজন সামরিক নেতার ছদ্মনাম, যিনি শহীদ ইজ্জুদ্দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র, যা হামাসের সামরিক শাখা।

  • আমাদের জনগণকে লক্ষ্য করে যদি আর একটি হামলাও পরিচালিত হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিটি হামলার জবাব হিসেবে একজন করে বেসামরিক জিম্মির প্রাণ যাবে। সতর্কতা জানানো ছাড়া গাজার প্রত্যেকটি বেসামরিক বাড়িতে চালানো বোমা হামলার জন্য একজন করে ইসরায়েলির বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে তা সম্প্রচার করা হবে।
  • গাজাতে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ইসরাযইল তার সব লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ২০০ দিন এবং গাজায় হামাসের প্রতিরোধ ছিলো ফিলিস্তিনের পাহাড়ের মতোই উঁচু এবং দৃঢ়।
  • শত্রুরা এখন জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি, তারা গাজা উপত্যকার বালুতে আটকা পড়েছে। তারা লজ্জা ও পরাজয় ছাড়া আর কিছু পাবে না।
  • আমাদের ভূমিতে যতোদিন দখলদারদের আগ্রাসন চলবে ততদিন আমরা প্রতিরোধ ও হামলা করবো। ইসরাইল বিশ্বকে বুঝাতে চাচ্ছে তারা প্রতিরোধ বাহিনীকে শেষ করে দিয়েছে, আসলে এটা মিথ্যা। গেলো ২০০ দিনে দিনে গণহত্যা, ধ্বংস এবং হত্যা ছাড়া অন্য কিছু অর্জন করতে পারেনি ইসরাইল।
  • আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একইসাথে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।
  • চুক্তি স্বাক্ষর না করে শক্তি খাটিয়ে জিম্মিদের মুক্ত করতে নেতানিয়াহুর চাপ দেওয়ার পরিণতি হলো, জিম্মিরা কফিনে করে পরিবারের কাছে ফিরবেন।
  • ঘোষণার চেয়ে ইসরায়েলি সামরিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। ইসরায়েলি শত্রুরা উত্তর গাজা থেকে পরাজিত হবে এবং প্রতিরোধ ভাঙতে না পেরে লজ্জার লেজ টেনে ধরবে। গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একমাত্র অর্জন হচ্ছে নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে ধ্বংস, ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা।
  • ইসরায়েলের কারণে যুদ্ধবিরতির পর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরতে দেরি হয়েছে। তাঁদেরকে গুলির লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছাতে দেয়নি ইসরায়েল। তাই পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত জিম্মি মুক্তি স্থগিত থাকবে।
  • দখলদার সরকার অস্ত্র ও যুদ্ধের মাধ্যমে যা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে তা কখনই হুমকি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্জন করা যাবে না।
  • শত্রুদের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং বিশ্বাসঘাতকতা সত্ত্বেও আমরা বিশ্ব এবং মধ্যস্থতাকারীদের সামনে বন্দী বিনিময় চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোনো অজুহাত বাদ দিয়ে এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার মাধ্যমে আমাদের জনগণের রক্তপাত ঠেকাতে এবং চুক্তি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা