আব্দুল জব্বার খান (চলচ্চিত্র পরিচালক)

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার

আব্দুল জব্বার খান (১৯১৬ - ২৮শে ডিসেম্বর ১৯৯৩) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা এবং চিত্রনাট্যকার ও পূর্ব বাংলার বাংলা চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে সমাদৃত। তার চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং পরিচালনায় "মুখ ও মুখোশ" চলচ্চিত্র তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র হিসেবে পরিচিত।

  • " ৫২'এর ভাষা আন্দোলনের পর এক বিশেষ চেতনা ছড়িয়ে পড়েছে-আমরা সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চাই, আমরা স্বনির্ভর হব, আমরা দেশাত্ববোধের পরিচয় দিব যার যার ক্ষেত্রে কাজ করে। আমি রাজনীতি করি না- আমি নাটক লিখছি, নাটক করছি। এ মূহূর্তে সিনেমার ওপর চ্যালেঞ্জ দিয়ে ফেললাম-অনেকটা বোকার মতোই।"
    • পাক্ষিক "তারকালোক" পত্রিকা, সংখ্যা ১-১৪ জানুয়ারি, ১৯৮৭।
  • " জীবনে ভাবিনি কোনদিন ছবি বানাবো। আসামের ধূবড়ীতে বাবার সঙ্গে থাকথাম। সেখানে এক পাটের গুদামে প্রথম ছবি দেখি। নাম'নরমেধ যজ্ঞ'(নির্বাক)। তখন আমি প্রাইমারীর ছাত্র। এরপর নাটকে অভিনয় করলাম, পরিচালনা করলাম, নাটক লিখলামও। বহু সোনার মেডেলও পেলাম অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ। এরপর ১৯৫৩ সালে 'ডাকাত' নাটক লিখি। এই 'ডাকাত'ই পরে 'মুখ ও মুখোশ' হয়ে পর্দায় আসে।"
    • বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস, অনুপম হায়াৎ, ৩ আগস্ট ১৯৮৭।
  • " ১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট তারিখ ঠিক হলো। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের (তখন গর্ভণর) কাছে গেলাম। উনি বললেন,স্টূডিও নেই, কিন্তু ছবি বানালেন কি করে? বাপের বেটার মতো কাজ করেছেন। উনি ছবি উদ্বোধন করলেন। দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করছি- লজ্জা পেতে হয় নাকি। প্রতি মুহূর্তে হাততালি, হাততালি,হাততালি একদম বিরতি পর্যন্ত। 'আজাদ' পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন-'জব্বার সাহেব আনন্দে আমার চোখে পানি পড়ছে। আপনি যে কি দিলেন। কত খুশি আজ সবাই। আজ সবাই সার্থক। চ্যালেঞ্জতো আপনার একার ছিল না। এ চ্যালেঞ্জ ছিল বাঙালী জাতির'। আমার চোখে তখন পানি।"
    • বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস, অনুপম হায়াৎ, ৩ আগস্ট ১৯৮৭।

আব্দুল জব্বার খান (চলচ্চিত্র পরিচালক) সম্পর্কে উক্তি

সম্পাদনা
  • "পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম ছায়াছবি 'মুখ ও মুখোশ'-এর মুক্তি প্রাপ্তকে এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা বলে অভিহিত করা যেতে পারে। 'মুখ ও মুখোশ' পরিচালনা করেছেন আবদুল জব্বার খাঁ। তিনি একাধারে কাহিনীকার, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। অভিনয়াংশে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এছাড়া অন্যান্য যারা অভিনয় করেছেন, তাঁরা ঢাকার সুপরিচিত মঞ্চশিল্পী। কিন্তু কেবল মঞ্চশিল্পীদের দিয়ে ছায়াছবি তৈরিতে প্রযোজকের কোনো সাহসের পরিচায়ক নয়। জব্বার খাঁ একদিক হতে এক দুঃসাহসিক প্রচেষ্টায় জয়ী হয়েছেন।"
    • 'ফিল্মিস্তান' দৈনিক আজাদ, ১০ আগস্ট ১৯৫৬।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা