আলাউদ্দিন আল আজাদ

বাংলাদেশি সাহিত্যিক

আলাউদ্দিন আল আজাদ (৬ মে ১৯৩২ - ৩ জুলাই, ২০০৯) ছিলেন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার, গবেষক ও অধ্যাপক। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৪), ইউনেসকো পুরস্কার (১৯৬৪), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৭১), একুশে পদক (১৯৮৬), দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণপদক (১৯৯৪) সহ বহু সম্মাননা লাভ করেন।

আলাউদ্দিন আল আজাদ
   

নিজ হাতে কিছু দিলে না’ক, তাই
বিনয়েরে দিই নির্বাসনেই
দস্যুর দলে লেখাই আমার নাম
জয় করে নেব তোমারে এবার
হয়েছি রাতের ঘোড়-সওয়ার
পথের পরেই কাটবে সকল মাস।

"মুখবন্ধ", মানচিত্র
   

গ্রাম-নগর ও পথে-প্রান্তরে দিই ডাক
স্বদেশ আমার হুঁশিয়ার
রণদৈত্যর অক্ষৌহিনী তোলে হাঁক;
পৃথিবী আমার হুঁশিয়ার!!

"শান্তিগাথা", মানচিত্র
   

স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার?
ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
চারকোটি পরিবার
খাড়া রয়েছি তো!
যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
পারেনি ভাঙতে

"স্মৃতিস্তম্ভ", বাংলাপিডিয়া
   

ঝোপঝাড় মাঠবন প্রান্তরের
শরীরে জুড়ানো সবুজ কাঁথায় লেখো
পুষ্পের বর্ণলিপিতে লেখো।
লেখো আমি গড়ে তুলি গণতন্ত্র
ধানের গমের গুচ্ছ গণতন্ত্র
ক্ষুধার তৃষ্ণার তৃপ্তি গণতন্ত্র
দিনের রাতের দীপ্তি গণতন্ত্র।

"গণতন্ত্র", সূর্য-জ্বালার সোপান
  • জীবন বারবার নিজেকে আমার কাছে অনাবৃত করেছে, এটাই আশ্চর্য…। সেখানে আসল রূপে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিনেতা, অভিনেত্রী। কোন প্রসাধন নেই, আবরণ নেই। বাইরে যাদের চেনা যায় না, সেখানে তারাই নিজ বেশে প্রতিষ্ঠিত।
    • তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০)
  • সৃজনকৌশল মূলত একপ্রকার অর্জিত বিধিমালা। সৌন্দর্যবিজ্ঞান, যা লেখকসত্তার সংবেদনশীলতার মধ্যে নিজস্ব আকৃতি-সন্ধানী। নিজের ক্ষেত্রে আমি দেখেছি, আঙ্গিক বৈচিত্র্য আমার ইচ্ছাকৃত নির্বাচন নয়; আমার একেক প্রকার মানসিক অভিজ্ঞতা নিজ নিজ প্রকরণ যেন নির্ণয় করে নেয়। এটি অভিজ্ঞতার সক্রিয়তারই একেকটি রূপের রূপায়ন।
    • সাক্ষাৎকার
   

যত্তোসব রাবিশ, শুয়োরের বাচ্চারা বিয়োবার আর জায়গা পায় না…

  • সেখান থেকে আর কোনো নিস্তার নেই, যদি না সমাজতন্ত্র আসে। করুণা নয়, ভিক্ষা নয়, ফিতরা-জাকাত নয়, চাই ফসলের ন্যায্য অধিকার, সম্পদের সুষম বণ্টন, তখনই হবে বন্ধুত্ব-ভ্রাতৃত্ব, সমাজে ফিরে আসবে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি। কেউ কারো চেয়ে ছোট নয়, বড় নয়, মানুষ হবে মানুষের মতো। মানুষ পাবে বাঁচার অধিকার, প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়ার স্বাধীনতা। বদলে যাওয়া সেই সমাজে সব কুসংস্কার-ধর্মান্ধতা বিলীন হবে, মানুষ বাঁচবে মানুষের ভালোবাসায়, ধনী-গরীবের ভেদাভেদ ভুলে গাইবে সাম্যের গান। তাই তো আমি সমাজতন্ত্র চাই।