আসাদুল্লাহ আল-গালিব

বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ এবং গবেষক আলেম

ড. আসাদুল্লাহ আল-গালিব (জন্মঃ ১৫ জানুয়ারী, ১৯৪৮) হলেন বাংলাদেশের একজন ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক। জাতীয়ভিত্তিক ধর্মীয় সংগঠন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা করেন ও সেই সাথে আমীর হিসাবে আছেন। তিনি মাসিক আত-তাহরীক নামক একটি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এবং তিনি কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার পরিচালক। ১৯৮০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাংগুয়েজে খণ্ডকালীন লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। অত:পর একই বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‌'আরবী ও ইসলামী শিক্ষা' বিভাগের লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। অতঃপর ২০১৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে তিনি অনেক গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন।

যদি নবী জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন, তাহলে কোনো নবীই থাকতে পারতেন না। ‌~ আসাদুল্লাহ আল-গালিব

উক্তি সম্পাদনা

বক্তব্য থেকে সম্পাদনা

  • ইসলাম কোনো সেক্যুলার মতাদর্শ নয়, না দর্শনশাস্ত্রের কোনো অধ্যায়, আর না এটি কোনো ব্যক্তি বা পাদ্রীকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে বলে। এটি সরাসরি লওহে মাহফুজ থেকে আগত দ্বীন।
    • ২০১০ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়াম, ঢাকা-র একটি বক্তব্য থেকে।[উদ্ধৃতি আবশ্যক]
  • যদি নবী জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন, তাহলে কোনো নবীই থাকতে পারতেন না।
  • এখন সংখ্যা বেড়েছে মুসলমানের, কিন্তু বাড়েনি ঈমান ও তাওয়াক্কুল।[উদ্ধৃতি আবশ্যক]
  • আখেরাতে জবাবদিহিতার অনুভূতি যার যত তীব্র, তার নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ব তত উন্নত। তাইতো দেখি গুহায় আটকে পড়া ও সাক্ষাত মৃত্যুমুখে পতিত তিনজন ঈমানদার যুবকের মুক্তিলাভের অবিশ্বাস্য ঘটনা (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৯৩৮)। যা যেকোন মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেয় এবং অদৃশ্য আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি মাথা নুইয়ে পড়ে। হিজরতের রাতে ছওর গিরিগুহায় শত্রুর সাক্ষাত হামলা থেকে রাসূল (ছাঃ) ও আবুবকরের অকল্পনীয় মুক্তি যেকোন বিশ্বাসী হৃদয়ে দৃঢ়তা আনয়ন করে। ধনলোভী ক্বারূণ, অত্যাচারী নমরূদ ও ফেরাঊন ইতিহাসের ঘৃণিত জীব। অথচ সর্বস্বহারা ইব্রাহীম ও মূসা মানবজাতির গর্ব ও সর্বমহলে প্রশংসিত ও নন্দিত। মুতার যুদ্ধে ২ লক্ষ ৪০ হাযার খৃষ্টান সেনার বিরুদ্ধে মাত্র তিন হাযার মুসলিম সেনার অবিস্মরণীয় বিজয় সাধিত হওয়ার পিছনে ছিল একই কারণ। সেদিন তরুণ সেনাপতি আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা (রাঃ) দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছিলেন, আমাদের সামনে খোলা রয়েছে মাত্র দু’টি পথ- হয় বিজয়, নয় শাহাদাত। ব্যস এতেই আল্লাহর সরাসরি মদদ নেমে এসেছিল সেদিন। সেনাপতি সহ মাত্র ১২ জন শহীদের বিনিময়ে বিশাল খৃষ্টান বাহিনী অগণিত হতাহতের মধ্য দিয়ে মর্মান্তিক পরাজয় বরণ করে। যার বাস্তব ফল আজকের মুসলিম মধ্যপ্রাচ্য। এখন সংখ্যা বেড়েছে মুসলমানের। কিন্তু বাড়েনি ঈমান ও তাওয়াক্কুল। আর তাইতো দেখি সর্বত্র ধর্ষক, মদ্যপ, ভদ্রবেশী রিলিফ চোর, ব্যাংক লুটেরা ও চোর-বাটপারদের দৌরাত্ম্য।
  • যারা এ পথে চলে তারা কখনো ক্লান্তি জানেনা। কারণ এ পথ একই সাথে পথ ও গন্তব্য।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা