আহলে কিতাব (আরবি: أهل الكتاب‎) হচ্ছে সেই সব জাতি যাদের উপর প্রত্যাদেশ সংবলিত ধর্মগ্রন্থ অবতীর্ণ হয়েছিল। এই জাতিগুলো প্রধানত আব্রাহামীয় মতবাদে বিশ্বাসী। মূলত ইহুদিখ্রীস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষদের ইসলামীয় দর্শন অনুযায়ী এই অবিধায় ভুষিত করা হয়। কারণ কুরআন অনুসারে ইহুদিদেরকে তাওরাত ও খ্রিষ্টানদেরকে ইনজিল কিতাব দেওয়া হয়েছিল।

  • The category people of the Book is an arch-communalist notion...
    • Elst K. Ayodhya and After: Issues Before Hindu Society (1991)
মূল ভুক্তি: কুরআন
  • নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, যারা ইয়াহূদী হয়েছে এবং খৃষ্টান ও সাবিঈন- যারাই আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
  • বল, ‘হে আহলে কিতাব! এমন এক কথার দিকে আসো, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই, তা এই যে, আমরা আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারো ‘ইবাদাত করব না এবং কোন কিছুকে তাঁর শরীক করব না এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমাদের মধ্যে কেউ কাউকে রব হিসেবে গ্রহণ করব না। তারপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও, তোমরা এ বিষয়ে সাক্ষী থাক যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী।
  • তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবদের কত লোক এমনও আছে যারা দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত আছে, তারা রাত্রিকালে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে থাকে এবং তারা সাজদাহ করে থাকে।
  • আহলে কিতাবদের মধ্যেকার কিছু লোক নিঃসন্দেহে এমনও আছে, যারা আল্লাহর উপর এবং তোমাদের উপর অবতীর্ণ কিতাবের এবং তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের উপর ঈমান রাখে, তারা আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত, তারা আল্লাহর আয়াতকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রয় করে না, এরাই তারা যাদের জন্য তাদের কর্মফল নির্ধারিত রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকট, আল্লাহ হিসেব গ্রহণে ত্বরিতগতি।
  • ইয়াহূদীদের কতক লোক কথাকে প্রকৃত স্থান থেকে সরিয়ে বিকৃত করে এবং বলে, ‘আমরা শুনলাম ও অমান্য করলাম’ এবং শুনেও না শোনার মত আর নিজেদের জিহবা কুঞ্চিত ক’রে এবং দ্বীনের প্রতি দোষারোপ ক’রে বলে, ‘রাইনা’ (আমাদের রাখাল)। কিন্তু তারা যদি বলত ‘আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, শোন এবং আমাদের প্রতি লক্ষ্য কর, তবে তা তাদের জন্য উত্তম এবং সঙ্গত হত, কিন্তু তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ তাদেরকে লা‘নত করেছেন, তারা স্বল্পসংখ্যক ব্যতীত ঈমান আনবে না।

৫১. এরা সেই লোক, যাদেরকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন এবং যাকে আল্লাহ অভিশাপ দেন, তুমি কক্ষনো তার সাহায্যকারী পাবে না।
৫২. যারা কিতাবের জ্ঞানের একাংশ প্রদত্ত হয়েছে, সেই লোকদের প্রতি তুমি কি লক্ষ্য করনি, তারা অমূলক যাদু, প্রতিমা ও তাগূতের প্রতি বিশ্বাস করে এবং কাফিরদের সম্বন্ধে বলে যে তারা মু’মিনগণের তুলনায় অধিক সঠিক পথে রয়েছে।


  • তাইসির আল কুরআন:
    ১৬০আমি ইয়াহূদীদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ যা তাদের জন্য হালাল ছিল, তা হারাম করে দিয়েছি তাদের বাড়াবাড়ির কারণে আর বহু লোককে আল্লাহর পথে তাদের বাধা দেয়ার কারণে।,
    ১৬১এবং তাদের সুদ গ্রহণের কারণে যদিও তাত্থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল এবং তাদের অন্যায়ভাবে লোকেদের ধন-সম্পদ গ্রাস করার কারণে এবং আমি তাদের মাঝে যারা অবিশ্বাসী তাদের জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
  • তাইসির আল কুরআন:
    5আজ তোমাদের জন্য যাবতীয় ভাল ও পবিত্র বস্তু হালাল করা হল আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের খাদ্য তোমাদের জন্য হালাল, আর তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল, সচ্চরিত্রা মু’মিন নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারী তোমাদের জন্য হালাল করা হল যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর, বিবাহের দূর্গে স্থান দানের উদ্দেশ্যে, ব্যভিচারী হিসেবে নয় এবং গোপন সঙ্গী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। কেউ ঈমান অমান্য করলে, তার কার্যাদি নিষ্ফল হবে। আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

  • তাইসির আল কুরআন:
    12আল্লাহ বানী ইসরাঈলের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলেন, আর তাদের মধ্যে বারজন প্রধান নিযুক্ত করেছিলেন। আর আল্লাহ বলেছিলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, যদি তোমরা নামায কায়িম কর, যাকাত আদায় কর এবং আমার রসূলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর আর তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা কর আর আল্লাহকে ঋণ দান কর উত্তম ঋণ, তাহলে আমি তোমাদের পাপগুলো অবশ্য অবশ্যই দূর করে দেব, আর অবশ্য অবশ্যই তোমাদেরকে জান্নাতে দাখিল করাব যার নিম্নে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। এরপরও তোমাদের মধ্যে যারা কুফুরী করবে তারা সত্য সঠিক পথ হারিয়ে ফেলবে।
    13তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে লা‘নাত করেছি আর তাদের হৃদয়কে আরো শক্ত করে দিয়েছি, তারা শব্দগুলোকে স্বস্থান থেকে বিচ্যুত করেছিল এবং তাদেরকে দেয়া উপদেশের বড় অংশ তারা ভুলে গিয়েছিল। তুমি অল্প সংখ্যক ছাড়া তাদেরকে সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেখতে পাবে। কাজেই তাদেরকে ক্ষমা কর, মার্জনা কর, আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।
    14আর যারা বলে ‘‘আমরা খ্রীস্টান’’ আমি তাদের হতেও অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু তারা তাদের প্রতি উপদেশের একটা বড় অংশ ভুলে গিয়েছিল। কাজেই আমি কিয়ামাত পর্যন্ত তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ জিইয়ে দিয়েছি। তারা যা করছিল অচিরেই আল্লাহ তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন।

  • তাইসির আল কুরআন:
    ১৭তারা কুফরী করেছে যারা বলে মাসীহ্ ইবনে মারইয়ামই আল্লাহ। বল, মাসীহ ইবনে মারইয়াম, আর তার মা এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলকে ধ্বংস করতে চাইলে আল্লাহর বিরুদ্ধে কারো এতটুকু ক্ষমতা আছে কি? আসমানসমূহে আর পৃথিবীতে ও এদের মধ্যে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই মালিকানাধীন। তিনি যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন। আল্লাহ্ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
    ১৮ইয়াহূদী ও নাসারারা বলে, আমরা আল্লাহর পুত্র ও তাঁর প্রিয়পাত্র। বল, তাহলে তোমাদের পাপের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দেন কেন? বরং তিনি যাদের সৃষ্টি করেছেন তোমরা তাদের অন্তর্গত মানুষ, তিনি যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন, যাকে ইচ্ছে শাস্তি দেন, আকাশসমূহ ও পৃথিবী আর এদের মধ্যে যা আছে সবকিছুর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই জন্য, আর প্রত্যাবর্তন তাঁরই পানে।

  • তাইসির আল কুরআন:
    ৪১ হে রসূল! কুফরীর ব্যাপারে তাদের প্রতিযোগিতা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়, যারা মুখে বলে ঈমান এনেছি কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী, তারা মিথ্যা কথা শুনতে বিশেষ পারদর্শী, তারা তোমার কথাগুলো অন্য সম্প্রদায়ের স্বার্থে কান পেতে শোনে যারা তোমার নিকট (কখনো) আসেনি, এরা আল্লাহর কিতাবের শব্দগুলোকে প্রকৃত অর্থ হতে বিকৃত করে। তারা বলে, তোমরা এ রকম নির্দেশপ্রাপ্ত হলে মানবে, আর তা না হলে বর্জন করবে। বস্তুত আল্লাহই যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমার কিছুই করার নেই। ওরা হল সেই লোক, যাদের অন্তরাত্মাকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে আছে মহা শাস্তি।

  • তাইসির আল কুরআন:
    44আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম, তাতে ছিল সঠিক পথের দিশা ও আলো। অনুগত নাবীগণ এর দ্বারা ইয়াহূদীদেরকে ফায়সালা দিত। দরবেশ ও আলিমরাও (তাই করত) কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল আর তারা ছিল এর সাক্ষী। কাজেই মানুষকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর, আর আমার আয়াতকে নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই কাফির।

  • তাইসির আল কুরআন:
    51হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদ ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।

  • তাইসির আল কুরআন:
    53মু’মিনগণ বলবে, এরা কি তারাই যারা আল্লাহর নামে শক্ত কসম খেয়ে বলত যে, তারা অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে আছে। তাদের কৃতকর্ম নিস্ফল হয়ে গেছে, যার ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

  • তাইসির আল কুরআন:
    57হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে যারা তোমাদের দ্বীনকে হাসি-তামাসা ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করে তাদেরকে এবং কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না আর আল্লাহকে ভয় কর যদি তোমরা মু’মিন হও।

  • তাইসির আল কুরআন:
    59বল, ‘ওহে কিতাবধারী সম্প্রদায়! তোমরা এ ছাড়া অন্য কারণে আমাদের প্রতি রাগান্বিত নও যে, আমরা আল্লাহর প্রতি এবং আমাদের প্রতি আর আমাদের পূর্বে যা নাযিল হয়েছিল তার প্রতি ঈমান এনেছি, তোমাদের অধিকাংশই তো হচ্ছে ফাসিক।’

  • তাইসির আল কুরআন:
    63দরবেশ ও পুরোহিতগণ তাদেরকে পাপের কথা বলা হতে এবং হারাম ভক্ষণ থেকে নিষেধ করে না কেন? তারা যা করে তা কতই না নিকৃষ্ট!

  • তাইসির আল কুরআন:
    64ইয়াহূদীরা বলে, আল্লাহর হাত আবদ্ধ, তাদের হাতই আবদ্ধ, তাদের (প্রলাপ) উক্তির কারণে তারা হয়েছে অভিশপ্ত, বরং আল্লাহর উভয় হাত প্রসারিত, যেভাবে ইচ্ছে করেন দান করেন, তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তাদের অনেকের সীমালঙ্ঘন ও কুফরী অবশ্য অবশ্যই বাড়িয়ে দিবে, আর ক্বিয়ামাত অবধি আমি তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দিয়েছি। যখনই তারা যুদ্ধের আগুন প্রজ্জ্বলিত করে, আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন, আর তারা দুনিয়ায় ফাসাদ ছড়িয়ে বেড়ায়, আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।

  • তাইসির আল কুরআন:
    65গ্রন্থধারীরা যদি ঈমান আনতো আর তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি তাদের পাপ অবশ্যই মোচন করে দিতাম আর তাদেরকে নিআমতে ভরা জান্নাতে অবশ্যই দাখিল করতাম।
    66তারা যদি তাওরাত ইঞ্জিল আর তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তার নিয়ম-বিধান প্রতিষ্ঠিত করত, তাহলে তাদের উপর থেকে আর তাদের পায়ের নীচ থেকে আহার্য পেত। তাদের মধ্যে একটি সত্যপন্থী দল আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই যা করে তা খারাপ।

  • তাইসির আল কুরআন:
    69যারা ঈমান এনেছে আর যারা ইয়াহূদী হয়েছে আর সাবিয়ী সম্প্রদায় আর নাসারা, যে কেউ আল্লাহ আর আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে, তাদের জন্য কোন ভয় নেই, চিন্তা-ভাবনা নেই।

  • তাইসির আল কুরআন:
    ৭০আমি বানী ইসরাঈলের নিকট হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম আর তাদের কাছে রসূলগণকে পাঠিয়েছিলাম। যখনই কোন রসূল তাদের কাছে এমন কিছু নিয়ে এসেছে যা তাদের মনঃপুত নয়, তখন কতককে তারা অমান্য করেছে আর কতককে হত্যা করেছে।
    ৭১তারা ভেবেছিল তাদের কোন বিপর্যয় হবে না এজন্য তারা অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমা দৃষ্টি করলেন। তারপর তাদের অনেকেই পুনরায় অন্ধ ও বধির হয়ে গেল। তারা যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।

  • তাইসির আল কুরআন:
    ৭২তারা অবশ্যই কুফরী করেছে যারা বলে, মারইয়াম পুত্র মাসীহই হচ্ছেন আল্লাহ। মাসীহ তো বলেছিল, হে বানী ইসরাঈল! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীস্থাপন করে তার জন্য আল্লাহ অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন আর তার আবাস হল জাহান্নাম। যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
    ৭৩তারা অবশ্যই কুফরী করেছে যারা বলে আল্লাহ তিন জনের মধ্যে একজন, কারণ এক ইলাহ ছাড়া আর কোন সত্যিকার ইলাহ নেই। তারা যা বলছে তা থেকে তারা যদি নিবৃত্ত না হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব গ্রাস করবেই।

  • তাইসির আল কুরআন:
    77বল, হে কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের দ্বীন সম্বন্ধে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করো না, আর সেই সম্প্রদায়ের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না যারা ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে আর সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
    78বানী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তাদেরকে দাঊদ ও মারইয়াম পুত্র ঈসার মুখে (উচ্চারিত কথার দ্বারা) অভিশাপ দেয়া হয়েছে। এটা এই কারণে যে তারা অমান্য করেছিল আর তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী।

  • তাইসির আল কুরআন:
    82যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইয়াহূদ ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে, আর যারা বলে ‘‘আমরা নাসারা’’ তাদেরকে তুমি যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য বন্ধুত্বে নিকটতর দেখতে পাবে, কেননা তাদের মধ্যে ‘ইবাদাতকারী ‘আলিম ও সংসার বিরাগী আছে আর তারা অহংকারও করে না।
    83রসূলের প্রতি যা অবতীর্ণ হয় তারা যখন তা শুনে, তুমি দেখবে, সত্যকে চিনতে পারার কারণে তখন তাদের চক্ষু অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।
    84আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহ্তে এবং যে সত্যবিধান আমাদের নিকট এসেছে তাতে ঈমান আনব না, আর আমরা প্রত্যাশা করি যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।

  • তাইসির আল কুরআন:
    ৮৫তাদের এ কথার কারণে আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত দান করবেন, যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে, আর এটাই হল সৎকর্মশীলদের পুরস্কার।
    ৮৬আর যারা আমার আয়াতগুলোকে প্রত্যাখ্যান করবে ও মিথ্যা জানবে, তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী।
  • স্মরণ কর, যখন আল্লাহ ঈসা ইবনু মারইয়ামকে বললেন, তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে আর আমার মাতাকে ইলাহ বানিয়ে নাও।’ (উত্তরে) সে বলেছিল, ‘পবিত্র মহান তুমি, এমন কথা বলা আমার শোভা পায় না যে কথা বলার কোন অধিকার আমার নেই, আমি যদি তা বলতাম, সেটা তো তুমি জানতেই; আমার অন্তরে কী আছে তা তুমি জান কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে তা আমি জানি না, তুমি অবশ্যই যাবতীয় গোপনীয় তত্ত্ব সম্পর্কে পূর্ণরূপে ওয়াকেফহাল।তুমি আমাকে যে ব্যাপারে নির্দেশ করেছ তা ছাড়া আমি তাদেরকে অন্য কিছুই বলিনি, (তা এই) যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, আর তাদের কাজ কর্মের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম যদ্দিন আমি তাদের মাঝে ছিলাম, অতঃপর যখন তুমি আমাকে উঠিয়ে নিলে, তখন তুমিই ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক, আর তুমি হলে প্রত্যেক ব্যাপারে সাক্ষী।তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দাহ আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তুমি তো মহাপরাক্রান্ত মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী।’আল্লাহ বলবেন, আজকের দিনে সত্যপন্থীদের সত্যপন্থা উপকার দিবে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা স্থায়ী হয়ে চিরকাল থাকবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এটাই হল মহা সাফল্য।
  • তাইসির আল কুরআন:
    ২৯যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না, আর শেষ দিনের প্রতিও না, আর আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম গণ্য করে না, আর সত্য দ্বীনকে নিজেদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে না তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যে পর্যন্ত না তারা বশ্যতা সহকারে স্বেচ্ছায় ট্যাক্স দেয়।
  • তাইসির আল কুরআন:
    ১৭যারা ঈমান এনেছে আর যারা ইয়াহূদী হয়েছে, আর যারা সাবিয়ী, নাসারা, অগ্নিপূজক ও মুশরিক, আল্লাহ কিয়ামাতের দিন এদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন (যে কারা সঠিক পথে আছে), কারণ আল্লাহ সব কিছুর প্রত্যক্ষদর্শী।
  • স্মরণ কর, যখন মারইয়ামের পুত্র ‘ঈসা বলেছিল, ‘হে বানী ইসরাঈল! আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর রসূল, আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি একজন রসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমাদ।’ অতঃপর সে [অর্থাৎ ‘ঈসা (আঃ) যাঁর সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়ে ছিলেন সেই নবী] যখন তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আসল, তখন তারা বলল, ‘এটা তো স্পষ্ট যাদু।’

তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যে রচনা করে- অথচ তাকে ইসলামের পথ অবলম্বন করার জন্য আহবান জানানো হয়। (এ রকম) যালিম সম্প্রদায়কে আল্লাহ সঠিক পথে চালিত করেন না। ৮.তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ করবেনই যদিও কাফিররা (তা) অপছন্দ করে। ৯.তিনিই তাঁর রসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন তাকে সকল দীনের উপর বিজয়ী করার জন্য- যদিও মুশরিকরা (তা) অপছন্দ করে।

  • কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কাফির ছিল তারা আর মুশরিকরা (তাদের ভ্রান্ত মত ও পথ হতে) সরে আসত না যতক্ষণ না তাদের কাছে আসত সুস্পষ্ট প্রমাণ।,
    অর্থাৎ) আল্লাহর নিকট হতে একজন রসূল, যে পাঠ করে পবিত্র গ্রন্থ।
    যাতে আছে সঠিক বিধান।.
    যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের মাঝে বিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছিল তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর।
    5তাদেরকে এ ছাড়া অন্য কোন হুকুমই দেয়া হয়নি যে, তারা আল্লাহর ‘ইবাদাত করবে খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে। আর তারা নামায প্রতিষ্ঠা করবে আর যাকাত দিবে। আর এটাই সঠিক সুদৃঢ় দ্বীন।
    কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কুফুরী করে তারা আর মুশরিকরা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। এরাই সৃষ্টির অধম।
    তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদের প্রতিদান আছে স্থায়ী জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদ-নদী প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল স্থায়ীভাবে থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এ সব কিছু তার জন্য যে তার প্রতিপালককে ভয় করে।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা