ইবাদত
ইসলামে উপাসনা
ইবাদাত আরবি আবদ শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো আনুগত্য, দাসত্ব, গোলামী, বন্দেগি ইত্যাদি। সুতরাং ইবাদাত মানে হচ্ছে বন্দেগি বা গোলামী করা। ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ-কর্মে আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয়।
উক্তি সম্পাদনা
- 'আমি জিন ও মানবজাতিকে কেবল আমারই ইবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি।
- সূরা যারিয়াত : আয়াত ৫৬
- যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। সে যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার প্রতিপালকের ইবাদতের মধ্যে।
- বুখারি, হাদিস: ৬৬০
- রাসুল (সা.) বলেন, ‘উদাসীন ও অমনোযোগী ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না। ’
- তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৪৭৯
- দোয়াই ইবাদতের মগজ।
- তিরমিজি, হাদিস নং: ৩২৯৩
- দোয়াই ইবাদত।
- তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৩৭০
- আল্লাহর নিকট বান্দার দোয়া অপেক্ষা অধিক মূল্যবান জিনিস আর কিছু নেই। ’
- ইবাদত একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। দোয়া যে ইবাদত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দোয়া সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন তিরমিজি, হাদিস নং: ৩২৯২
- যার জন্য দোয়ার দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে (অর্থাৎ যাকে দোয়া করার তাওফিক দান করা হয়েছে) তার জন্য রহমতের দরজা খুলে দেয়া হয়েছে। ’
- অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৫৪৮)
ইবাদত সম্পর্কে সম্পাদনা
- তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো।
- সুরা মু'মিন-৬০
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
উইকিপিডিয়ায় ইবাদত সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।