ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে
জার্মান লেখক, চিত্রশিল্পী ও রাজনীতিবিদ
ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে (ইংরেজি: Johann Wolfgang von Goethe; জন্ম ২৮ আগস্ট ১৭৪৯ – ২২ মার্চ ১৮৩২) হচ্ছেন একজন জার্মান ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, কবি, মানবতাবাদী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক। তিনি দশ বছর ধরে ওয়েমার রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
উক্তি
সম্পাদনা- মানুষ হোকো মহৎ,সাহায্যকারী ও ভালো এবং এই গুণগুলিই শুধু পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্টিকুল থেকে তাকে আলাদা করে।
- Das Göttliche (ঐশ্বরিক) (১৭৮৩)
- মহৎ ও চিরস্থায়ী, অটল নিয়মাবলির মাধ্যমে আমাদের সকলকেই আমাদের অস্তিত্বের চক্রগুলি পূর্ণ করতে হবে।
- Das Göttliche (ঐশ্বরিক) (১৭৮৩)
- মহৎ মানুষ হোক সদয় ও ভালো,ক্লান্তিহীনভাবে অর্জন করুক যা ন্যায্য ও উপকারী।
- Das Göttliche (ঐশ্বরিক) (১৭৮৩)
- আমি ক্রমেই আরও বেশি করে নিশ্চিত হচ্ছি যে কবিতা হল মানবজাতির সর্বজনীন সম্পত্তি, যেটি সর্বত্র এবং সর্বকালে শত শত মানুষের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করে।... তাই আমি বিদেশী জাতিগুলোর দিকে তাকাতে পছন্দ করি এবং সকলকে একই কাজ করার জন্য পরামর্শ দিই। জাতীয় সাহিত্য এখন বরং অর্থহীন শব্দ; বিশ্ব সাহিত্যের যুগ এসে গেছে, এবং সকলকেই এর আগমন ত্বরান্বিত করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।
- একারমানের সাথে কথোপকথন (জানুয়ারি ৩১, ১৮২৭)
- জ্ঞান অর্জন ও ত্রুটি সংশোধনের মধ্যে হয়তো কোনোটিই মানব আত্মার এত গভীর রেখাপাত করতে পারেনি যতটা করেছে কোপারনিকাসের মহাকাশ দর্শন। মানবজাতিকে সম্ভবত কখনো এত ব্যাপক পরিবর্তনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়নি। এই নতুন উপলব্ধির ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেল একটি দ্বিতীয় স্বর্গের কল্পনা, নির্দোষতার স্বপ্ন, কবিতার রোমন্থন ও ধর্মীয় বিশ্বাসের গভীরতা। ইন্দ্রিয়ের সাক্ষ্য, কাব্যিক ও ধর্মীয় আবেগের দৃঢ় বিশ্বাস সবই যেন ধসে পড়ল। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে কোপারনিকাসের সমসাময়িকরা এই পরিবর্তন সহজে মেনে নিতে পারেননি। তারা যতদূর সম্ভব এই নতুন মতবাদকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ, কোপারনিকাসের মতবাদ গ্রহণকারীদের জন্য তুলে ধরেছিল একেবারেই অজানা, স্বপ্নেও কল্পনা করা যায়নি এমন চিন্তাধারার দিগন্ত। এটি ছিল মত ও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে এতদিন অভাবিত স্বাধীনতা এবং চিন্তার গভীরতার দায়িত্ব।
- ফ্রাঙ্কফুর্ট অ্যাম মেইন, ১৯৯১
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।