কমলাকান্ত ভট্টাচার্য
বাংলা শাক্ত কবি এবং ভারতের যোগী
কমলাকান্ত ভট্টাচার্য (১৭৭২ - ১৮২০) ছিলেন শাক্ত পদাবলী তথা শ্যামা সংগীতের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি সাধক কমলাকান্ত নামে বেশি পরিচিত। তিনি বর্ধমান মহারাজ তেজচাঁদের গুরু ও সভাসদ ছিলেন। তিনি শতাধিক ভক্তিগীতি রচনা করেন। আগমনী ও বিজয়া পদে তিনি শ্রেষ্ঠ ছিলেন বলে অনেকেই মনে করেন। টপ্পার আঙ্গিকে তার শ্যামাসঙ্গীত বাংলার সঙ্গীত-ক্ষেত্রে প্রচলিত আছে। শাক্ত পদাবলীতে রামপ্রসাদ সেনের পরেই কমলাকান্তের নাম বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
উক্তি সম্পাদনা
- আপনারে আপনি দেখ, যেওনা মন! কারু ঘরে।
যা চাবে এই খানে পাবে, খোঁজ নিজ অন্তঃপুরে।৷
পরম ধন পরশ মণি, যে অসংখ্য ধন দিতে পারে।
এমন কত মণি পড়ে আছে, চিন্তামণির নাচ দুয়ারে।৷- কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৩
- মজিল মন-ভ্রমরা, কালীপদ নীল-কমলে।
যত বিষয়-মধু তুচ্ছ হৈল, কামাদি কুসুম সকলে॥
চরণ কালো ভ্রমর কালো, কালো কালোয় মিশে গ্যালো;
দ্যাখো সুখদুখ সমান হোলো, আনন্দসাগর উথলে॥- কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৭
- দ্বি সপ্ত গেহ নাড়ী শরীরের মাঝে।
তার মধ্যে দশ নাড়ী প্রধান বিরাজে।৷
তিন নাড়ী শুন তাহে প্রধান রচনা।
ইড়া আর পিঙ্গলা কহিব সুষুমনা।৷- সাধক-রঞ্জন, কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, সম্পাদনা- বসন্তরঞ্জন রায় ও অটলবিহারী ঘোষ, প্রকাশক- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৯
- আদি ভূতা সনাতনী, শূন্যরূপা শশী ভালী।
যখন ব্ৰহ্মাণ্ড নাছিল, হে মা! মুণ্ডমালা কোথায় পেলী।৷
সবে মাত্র তুমি যন্ত্রী, যন্ত্র আমরা তন্ত্রে চলি।
তুমি যেমন্ রাখ তেম্নি থাকি, যেমন্ বলাও তেম্নি ৰলি।৷- কমলাকান্ত-পদাবলি- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ (১২৯২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৭
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
উইকিপিডিয়ায় কমলাকান্ত ভট্টাচার্য সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।