করিমগঞ্জ জেলা

আসাম রাজ্যের একটি জেলা

করিমগঞ্জ জেলা হচ্ছে ভারতের আসাম রাজ্যের একটি প্রশাসনিক জেলা। জেলার সদর দফতর করিমগঞ্জে অবস্থিত। এটি ১৯৪৭ সালের আগে অধুনা বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের সাথে যুক্ত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় বিতর্কিত গণভোটে অংশটি সিলেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

  • এদিকে সিলেটে গণভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ করিমগঞ্জ মহকুমা ভারতবর্ষকে দিয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম, আসামের কাছাড় জেলা ও সিলেট জেলা পাকিস্তানের ভাগে না দিয়ে পারবে না। আমার বেশি দুঃখ হয়েছিল করিমগঞ্জ নিয়ে। কারণ, করিমগঞ্জে আমি কাজ করেছিলাম গণভোটের সময়।
  • আনুষ্ঠানিকভাবে করিমগঞ্জ মহকুমা হয় ১৮৭৮ সালে। এই অঞ্চলে একজন মিরাসদার বা ছোট জমিদার ছিলেন মুহম্মদ করিম চৌধুরী নামে। তার নাম থেকেই এলাকার নাম করিমগঞ্জ হয়েছে।
    • ইতিহাস গবেষক "বিবেকানন্দ মহন্ত"। [১]
  • ১৯১৯ সালে সিলেট বা শ্রীহট্ট যাওয়ার পথে রবীন্দ্রনাথ একবারই করিমগঞ্জে এসেছিলেন। তখন সেটা ছিল সুরমা ভ্যালি ডিভিশন। ট্রেনে আসার পথে সুরমা ভ্যালির সৌন্দর্য দেখে এবং মূল বাংলা থেকে ‘নির্বাসিত’, অর্থাৎ বাংলা থেকে সিলেট এবং কাছাড়কে বার করে নিয়ে আসামের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ‘কষ্ট’ দেখেই রবীন্দ্রনাথ ওই পঙক্তিটি লেখেন। করিমগঞ্জ স্টেশনে তিনি কিছুক্ষণ ছিলেন ঠিকই, তবে সেখানে বসেও কবিতাটি তিনি লেখেন নি। তাই করিমগঞ্জ জেলাকে রবীন্দ্রনাথ শ্রীভূমি হিসাবে বর্ণনা করেছেন বা তার স্বপ্ন ছিল শ্রীভূমি নামটি, এই আখ্যানের কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।
    • জয়ন্ত ভূষণ ভট্টাচার্য। করিমগঞ্জকে শ্রীভূমি নামকরণের প্রসঙ্গে। [২]
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সম্মান জানাতে রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে শ্রীভূমি করা হচ্ছে।
    • আসামের মুখ্যমন্ত্রী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা। [৩]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা