কুমিল্লা

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি জেলা

কুমিল্লা জেলা (আদিনাম কমলাঙ্ক এর অপভ্রংশ, যার অর্থ পদ্মফুলের দীঘি) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি খাদি কাপড় ও রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত। উপজেলার সংখ্যানুসারে কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণিভুক্ত একটি জেলা।

  • রসমালাই খাওয়া ছাড়া কুমিল্লা ভ্রমণ সম্পূর্ণ হয় না। আমি খুব ভাগ্যবান, কুমিল্লার প্রাচীনতম ও সর্বাধিক জনপ্রিয় রসমালাইয়ের দোকান মাতৃ ভান্ডারের মিষ্টির স্বাদ গ্রহণ করেছি।
  • রামায়ণে উল্লিখিত লঙ্কা বর্তমানের শ্রীলঙ্কা নয়। তাই সমুদ্রবন্ধনের অতিরঞ্জিত গল্পটিও ধোঁপে টেকে না। কোনো ইতিহাসবিদ কিন্তু কখনোই এই তত্ত্বে বিশ্বাস করে না। কারণ শ্রীলঙ্কা বা ‘লঙ্কা’ নামটি আধুনিক, ১৯৩৫ সালে সিংহলের নামকরণ করা হয় শ্রীলঙ্কা। এর আগে শ্রীলঙ্কার নাম ছিল ‘সিংহল’... বাংলাদেশের ইতিহাসবেত্তারা বলেন, বাংলাদেশের কুমিল্লাই রামায়ণের লঙ্কা। এই কুমিল্লা’ শব্দটি এসেছে। ‘কমলঙ্কা’ শব্দ থেকে। শ্রী শ্রী ভঙ্গাল মৃগাঙ্কস্য পট্টিকেরা রণবঙ্কমল্ল দেবের তাম্রশাসনে এটিকে ‘কমলঙ্কা’ নামেই আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিন্তু এই কমলঙ্কা আধুনিক কুমিল্লা শহর ছিল না। বরং এর অবস্থান লালমাই ময়নামতি পাহাড়ের অদূরেই এর দুর্গপ্রাচীরের ধ্বংসাবশেষের দৈর্ঘ্যই ১ মাইল। নলীনকান্ত ভট্টশালী ও আয়েশা বেগমের মতে এটিই প্রাচীন কমলঙ্কা, আর রাবণের রাজধানী লঙ্কাই বিবর্তনের মাধ্যমে কমলঙ্কায় রূপান্তরিত হয়। সম্প্রতি মেহেরকুল দুর্গের ধ্বংসাবশেষে বড়ো দাঁত ও চোখের গর্তের চারিপাশের লাল রঙের চিহ্নবিশিষ্ট ‘রাক্ষস মুখোস’ এই কথাকেই সমর্থন দেয়। সে যুগে প্রত্যেক দুর্গের চারিপাশে গভীর ও চওড়া পরিখা খনন করা হত, পরিখাগুলি এত গভীর করে খনন করা হত যে ১২ মাস তাতে জল থাকত। আর সেকারণেই এগুলিকে দ্বীপ বলেই মনে হত। কমলঙ্কা দুর্গনগরীর তিনদিকে পরিখার চিহ্ন আজও দেখা যায়।
    • "যুক্তিবাদীর চোখে রাম ও রামায়ণ"- অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পৃষ্ঠা: ৩৮৫,৩৮৮ [১]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা