কূটনীতি

গোষ্ঠী বা রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা পরিচালনার শিল্প ও অনুশীলন

কূটনীতি বলতে বোঝায় দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন, বজায় রাখা এবং উন্নত করার জন্য আলোচনা এবং কথোপকথনের প্রক্রিয়া। এটি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরোধ বা সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এবং নিজ রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করতে সহায়তা করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিদ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে, কূটনীতি জ্ঞানের একটি শাখা যেখানে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক চুক্তি বা আলোচনা সম্পর্কিত কলা কৌশল অধ্যয়ন করা হয়। আধুনিক বিশ্বে কূটনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন ও বজায় রাখার জন্য কূটনীতি অপরিহার্য। বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কূটনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


লেখক বা উৎস অনুযায়ী বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো:
· · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · · ড় · ঢ় · য় · আরও দেখুন · বহিঃসংযোগ

  • কূটনীতি হলো সবচেয়ে জঘন্য জিনিস সবচেয়ে সুন্দর উপায়ে বলা না করা।
    • আইজ্যাক গোল্ডবার্গ, দ্য রিফ্লেক্স, অক্টোবর ১৯২৭।
  • কূটনীতিকদের কলম যেন এত পরিশ্রম করে জনগণ যা অর্জন করেছে তা আবার নষ্ট না করে।
    • গেবহার্ড লেবেরেচ ভন ব্লুছার, ওয়াটার লু (১৮১৫) যুদ্ধের পরে।
  • "তুমি এখন আমেরিকাতে আছো," আমি বললাম। "আমাদের কাছে কূটনীতি হলো এক হাতে বন্দুক আর আরেক হাতে স্যান্ডউইচ নিয়ে হাজির হওয়া আর জিজ্ঞেস করা তুমি কোনটা চাও।"
    • জিম বুচারের উপন্যাস টার্ন কোট-এর চরিত্র হ্যারি ড্রেসডেন।
  • আমাদের অবস্থান আরও জটিল হয়ে পড়েছে কারণ টেরানদের সাধারণ ধারণা হলো রাষ্ট্রদূত সেই ব্যক্তি যে মিথ্যা কথা বলে, যে জানে যে সে মিথ্যা বলছে, যে আরও জানে যে আপনি জানেন যে সে মিথ্যা বলছে— তবুও হাসিমুখে মিথ্যা বলা চালিয়ে যায়।
    • জর্জ স্মিথ, ভোকেশন (১৯৪৫)।
  • কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে আমি উপলব্ধি করেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে, শক্তিই তাদের কাছে যথেষ্ট। কেবল দুর্বলরা কূটনীতির উপরে নির্ভর করে। এই কারণেই দুর্বলরা রাষ্ট্রের সার্বভৌম সাম্য হিসেবে পরিচিত গণতান্ত্রিক নীতির উপরে এত গুরুত্ব দেয় যাতে বাস্তবে যা সমান না সেটাতে কিছুটা সমতা আনা যায়। একটি উন্নয়নশীল দেশে জন্ম নেওয়ায় আমি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতি বিষয়ে বিস্তারিত পড়াশোনা করেছি এবং ভুলবশত মনে করেছি অন্যান্য পরাশক্তি, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাদের প্রতিনিধিদের কূটনীতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এবং কূটনীতির মূল্যবোধ ধারণ করেছে। কিন্তু রোমান সাম্রাজ্যের কূটনীতির প্রয়োজন ছিল না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও নেই। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কূটনীতিকে সময়ের ও সম্মানের অপচয় এবং দুর্বলতার লক্ষণ বলে মনে করে।
    • বুট্রোস বুট্রোস-ঘালি, আনভ্যানকুইশড— এ ইউএস - ইউএন সাগা, ১৯৯৯, পৃ. ১৯৮।
  • সত্যতা, নির্ভুলতা, ধৈর্য, ভালো মেজাজ, বিনয় ও আনুগত্য এসব হলো ভালো কূটনীতিকদের গুণ। এগুলো আদর্শ কূটনীতিরও বৈশিষ্ট্য। পাঠক আপত্তি করতে পারেন যে আমি বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান, দূরদর্শীতা, আতিথেয়তা, পরিশ্রম, সাহস ও বিচক্ষণতার কথা ভুলে গিয়েছি। আমি সেগুলো ভুলিনি। আমার কাছে সেগুলোর গুরুত্ব অতটা নয়।
    • স্যার হ্যারল্ড জর্জ নিকলসন, ডিপ্লোমেসি, (১৯৩৯), অধ্যায় ৩, পৃষ্ঠা ১২৬।
  • রাষ্ট্রদূত হলেন একজন সৎ মানুষ যাকে বিদেশে পাঠানো হয় নিজ দেশের ভালোর জন্য মিথ্যাচার করার উদ্দেশ্যে।
    • হেনরি ওটন, ক্রিস্টোফার ফ্লেকমোরের অ্যালবামে লিখিত (১৬০৪)।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা