গরিলা
স্তন্যপায়ীর গণ
গরিলা হলো প্রাইমেটদের মধ্যে আকৃতিতে বৃহত্তম। এরা প্রাইমেট পরিবারের এক ধরনের তৃণভোজী, মাটিতে বসবাসকারী প্রাণী। এদের বাস আফ্রিকা মহাদেশের জঙ্গলে। গরিলাদেরকে দুইটি প্রজাতিতে ভাগ করা হয়। মানুষের সাথে গরিলার ডিএনএ-র প্রায় ৯৭-৯৮% মিল রয়েছে। শিম্পাঞ্জীদের পরে এরাই মানুষের নিকটতম সমগোত্রীয় প্রাণী। গরিলারা নিরক্ষীয় বা উপনিরক্ষীয় বনাঞ্চলে বাস করে। পাহাড়ী গরিলা আফ্রিকার আলবার্টাইন রিফ পর্বতে বাস করে, সমূদ্রসমতল হতে যে এলাকার উচ্চতা প্রায় ২২২৫ হতে ৪২৬৭ মিটার। সমতলের গরিলারা ঘন জঙ্গলে বাস করে।
উক্তি
সম্পাদনা- গরিলা থাকে আফ্রিকার জঙ্গলে। গাছের ডালপালার ছায়ায় সে জঙ্গল দিনদুপুরেও অন্ধকার হয়ে থাকে; সেখানে ভাল করে বাতাস চলে না, জীবজন্তুর সাড়াশব্দ নাই। পাখির গান হয়ত ক্বচিৎ কখন শোনা যায়। তারই মধ্যে গাছের ডালে বা গাছের তলায় লতাপাতার মাচা বেধে গরিলা ফলমূল খেয়ে দিন কাটায়।
- গরিলা। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৯৩। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
- গরিলার চেহারাটা মোটেও শান্তশিষ্ট গোছের নয়-মানুষের মতো লম্বা, চওড়ায় তার দ্বিগুণ, গায়ের জোর তার দশটার মতো তার উপর সে যখন রাগের চোটে চিৎকার করে নিজের বুকে কিল মারতে মারতে এগোতে থাকে তখন তার সেই শব্দ আর মুখভঙ্গী আর রকমসকম দেখে খুব সাহসী লোক পর্যন্ত ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে যায়।
- গরিলা। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
- যতরকম বনমানুষ আছে তার মধ্যে, বুদ্ধিতে না হোক, শরীরের বলে গরিলাই সেরা। হাত-পায়ের মাংসপেশীর বাঁধন থেকে তার দাঁড়াবার ধরন আর ভ্রুকুটিভঙ্গি পর্যন্ত সবই যেন খাঁ খাঁ করে তেড়ে বলছে, "খবরদার! কাছে এস না।"
- গরিলার লড়াই। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৯৪। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় গরিলা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে গরিলা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিঅভিধানে গরিলা শব্দটি খুঁজুন।