চট্টগ্রাম

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্যিক রাজধানী

চট্টগ্রাম (চাটগাঁইয়া: চাটগাঁও) বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর ও বাণিজ্যিক রাজধানী। শহরটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী কর্ণফুলী নদীর তীরে চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম বিভাগ এবং জেলার প্রশাসনিক আসন। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত পাহাড়, সমুদ্র এবং উপত্যকায় ঘেরা চট্টগ্রাম শহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে বিখ্যাত। এটি বঙ্গোপসাগরের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর। ২০২২ সালে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনসংখ্যা ছিল ৫২ লাখেরও বেশি। শহরটি অনেক বড় স্থানীয় ব্যবসার আবাসস্থল, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সূর্যাস্তে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
  • বিন্ধ্য পর্বতমারভ্য বিন্ধ্যাচলাবধি প্রিয়ে,
    অশ্বাক্রান্তেতি বিখ্যাতং বিষ্ণুলোকেষু দুর্লভং,
    বিন্দু পর্বত মারভ্য যাবৎ চট্টল বাসিনী।
    • দেবী পুরাণ চন্ডিকা খন্ডে প্রকাশিত
  • সিঙ্গাপুর পোর্ট যেমন পুরো দেশটাকে পাল্টে দিয়েছে, তেমনি আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে যত সমস্যা আছে সব সমস্যার সমাধান করা যাবে।
  • বাংলাদেশের যে শহরে আমরা প্রবেশ করলাম তা হল সোদকাওয়াঙ (চট্টগ্রাম)। এটি মহাসমূদ্রের তীরে অবস্থিত একটি বিরাট শহর, এরই কাছে গঙ্গা নদী- যেখানে হিন্দুরা তীর্থ করেন এবং যমুনা নদী একসঙ্গে মিলেছে এবং সেখান থেকে প্রবাহিত হয়ে তারা সমুদ্রে পড়েছে। গঙ্গা নদীর তীরে অসংখ্য জাহাজ ছিল, সেইগুলি দিয়ে তারা লখনৌতির লোকেদের সঙ্গে যুদ্ধ করে। ...আমি সোদওয়াঙ ত্যাগ করে কামরু (কামরূপ) পর্বতমালার দিকে রওনা হলাম।
    • ১৩৪৬ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম আসেন বিখ্যাত মুর পরিব্রাজক ইবনে বতুতা।
  • বাতাস অনুকূল থাকলে সুমাত্রা থেকে এই দেশে কুড়ি দিনে পৌঁছানো যায়। এ দেশ (চীনের) পশ্চিমে অবস্থিত ভারতবর্ষ নামে দেশটির অন্তর্গত। সম্রাট যুং-লোর রাজত্বের ত্রয়োদশ বর্ষে (১৪১৫ খ্রি.) সম্রাট দুইবার আদেশ জারি করার পরে প্রতিনিধি হৌ-শিয়েনএক বিরাট নৌবহর আর এবং অনেক লোকজন নিয়ে (বাংলার) রাজা, রানি এবং অমাত্যদের কাছে তাঁর (চীন সম্রাটের) উপহার পৌঁছে দেওয়ার জন্য রওনা হলেন। এই দেশটির উপসাগরের কূলে একটি সামুদ্রিক বন্দর আছে তার নাম চা-টি-কিয়াং। এখানে কোন কোন শুল্ক আদায় করা হয়। রাজা যখন শুনলেন আমাদের জাহাজ সেখানে পৌছেছে, তিনি পতাকা ও অন্যান্য উপহার সমেত উচ্চ পদস্থ রাজকর্মচারীদের সেখানে পাঠালেন। হাজারেরও বেশি ঘোড়া ও মানুষ বন্দরে এসেহাজির হল। ষোলটি পর্ব অতিক্রম করে আমরা সুও‌-না-উল-কিয়াং (সোনারগাঁও)-তে পৌঁছলাম। এই জায়গাটি দেওয়াল দিয়ে ঘেরা; এখানে পুকুর, রাস্তাঘাট ও বাজার আছে, সেখানে সবরকম জিনিসের বেচাকেনা চলে। এখানে রাজার লোকেরা হাতি, ঘোড়া, প্রভৃতি নিয়ে আমাদের সঙ্গে দেখা করলো।
    • হাজার বছরের চট্টগ্রাম। দৈনিক আজাদীর ৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেষ সংখ্যা। সম্পাদক মোহাম্মদ খালেদ। নভেম্বর ১৯৯৫; পৃ. ২৬
  • চট্টলে দক্ষ বাহুর্যে ভৈরবচন্দ্র শেখরঃ,
    ব্যক্ত রূপা ভগবতী ভবানীতন্ত্র দেবতা।
    • চুড়ামণি তন্ত্রে

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা