ছবি

এক ধরনের চিত্রকর্ম যা সাধারণত দুই মাত্রার চিত্র হয়ে থাকে।

ছবি এক ধরনের চিত্রকর্ম যা সাধারণত দুই মাত্রার চিত্র হয়ে থাকে। ছবি মূলত কোন বস্তুর ছোট আকারের প্রতিকৃতি। ছবি কোনো বস্তু বা ব্যক্তির হতে পারে। ছবি তথা চিত্র এটা হলো এক রকমের প্রতিফলিত রশ্মির সাহায্য কামেরা বন্দী করা হয়। এটা কয়েক ধরনের হয়। কেউ চিত্র শিল্পী দিয়ে এটা অঙ্কন করায় বা করে।

  • ছবি আঁকার মানুষ ওগো পথিক চিরকেলে,
    চলছ তুমি আশেপাশে দৃষ্টির জাল ফেলে;
    পথ-চলা সেই দেখাগুলো লাইন দিয়ে এঁকে
    পাঠিয়ে দিলে দেশ-বিদেশের থেকে।
  • কোন জিনিসের ছবি তুলিতে হইলে ফটোওয়ালারা তাহার সামনে ক্যামেরা স্থাপন করিয়া কত প্রকারের কসরৎ করে তাহা সকলেই দেখিয়াছে। ক্যামেরার ভিতরে যে তখনই বা করিয়া একটা জিনিসের ছবি আঁকা হইয়া যায়, তাহা কিন্তু নহে। ক্যামেরার ভিতরে একখানা মসলা মাখান কাচে সামনের জিনিসের একটা ছবি পড়ে। সেই ছবি পড়ার দরুন সেই কাচে মাখান মসলাটাতে কেমন একটা পরিবর্তন হয়। সে পরিবর্তন তখন দেখা যায় না, কিন্তু তারপর সেই কাচখণ্ডকে আর কতকগুলি প্রক্রিয়ার অধীন করিলে তাহার পৃষ্ঠে জিনিসের একটা উল্টা ছবি (নেগেটিভ) ফুটিয়া উঠে।
  • জলে এঁকেছিলাম ছবি—
    লুকাল সে এক নিমিষে;
    নয়ন-জলে এঁকেছি যায়
    সে ছবি হায় লুকায় কিসে!
  • নাটক যখন পড়া হয় কিম্বা গ্রামোফোনের মধ্য দিয়ে শুনি তখন কান শোনে আর মন সঙ্গে সঙ্গেই নটনটীদের অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি মায় দৃশ্যপটগুলো পর্যন্ত চোখের কোন সাহায্য না নিয়েই কল্পনায় দেখে চলে, ছবির বেলায় এর বিপরীত কাণ্ড ঘটে,—চোখ দেখলে রূপের ছাপগুলো, মন শুনে চল্লো কানের শোনার অপেক্ষা না রেখে ছবি যা বলছে তা; বায়স্কোপের ধরা ছবি, চোখে দেখি শুধু তার চলা ফেরা, ছবি কিন্তু যা বল্লে সেটা মন শুনে নেয়।
  • ছবির ভাষা, কথার ভাষা, অভিনয়ের ভাষা ও সঙ্গীতের ভাষা এই রকম নানা ভাষা এ পর্যন্ত মানুষ কাযে খাটিয়ে আসছে। এর মধ্যে সঙ্গীত শুধু যা বলতে চায়, কিম্বা যখন কাঁদাতে চায় বা হাসাতে চায়, কাকুতি মিনতি জানাতে চায় তখন ছবির ভাষা ও কথার ভাষাকে অবলম্বন না করেও নিজের স্বতন্ত্র ভাষার মীড় মূৰ্ছনা ইত্যাদি দিয়ে সুব্যক্ত হয়ে উঠতে পারে।
  • বড় দূরবীণে যেখানে কয়েকটি মাত্র নক্ষত্র দেখা গিয়াছিল, দূরবীণ দিয়া সেখানকার ফোটোগ্রাফের ছবি তুলিতে গিয়া, জ্যোতিষীরা ছবিতে হাজার হাজার নূতন নক্ষত্র ফুটিয়া উঠিতে দেখিতেছেন। কাজেই হয় ত কোনো দিন আর এক রকম যন্ত্র দিয়া দেখিয়া জ্যোতিষীরা বলিবেন, নক্ষত্রদের সংখ্যা পঞ্চাশ কোটি নয়,—এক শত কোটি। নক্ষত্রদের সত্যই সংখ্যা হয় না!
  • জাদু এবং চিত্রের একই ভাষায় অনেক কথা বলার প্রবণতা আছে। তারা উভয়ই উদ্দীপনা, ব্যাকুলতা এবং মুগ্ধতা সম্পর্কে কথা বলে। আপনি যদি কোনো চরিত্রকে জাদু করার চেষ্টা করেন, তাহলে হয়তো আপনি সেই সম্মানের সাথে আচরণ করবেন যেন আপনি কোনো দানবকে জাদু করার চেষ্টা করেছেন। কারণ দেবতার মূর্তি যদি দেবতা হয়, তাহলে কোনো না কোনো অর্থে অসুরের মূর্তি অসুর।
    • অ্যালান মুর - "ডিফারেন্সেস বিটউইন ম্যাজিক এন্ড আর্ট: নান" (Differences between magic and art: None) এ উদ্ধৃত করেছেন।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা