জায়েদ খান

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা

জায়েদ খান হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০০৬ সালে মহম্মদ হান্‌নান পরিচালিত ভালবাসা ভালবাসা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন।

উক্তি সম্পাদনা

  • উপভোগ করি। এটা সিগনেচার স্টেপ। আমি বিভিন্ন দেশে শো করতে গেছি, এত কষ্ট করে নাচছি, খুশি না। দর্শকেরা শুধু ডিগবাজির জন্য চিৎকার দিতে থাকে। একটা জায়গায় ভুল করে ডিগবাজি দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলাম। সেটা যে এত ব্র্যান্ড হয়ে যাবে, ডিগবাজি জায়েদ খান। এটা সিগনেচার হয়ে গেছে।
  • আমার খুব ইচ্ছা, একদিন তাদের একটা গরু জবাই করে রান্না করে খাওয়াই। তাঁরা আমাকে এত এত ট্রল করে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দিচ্ছেন। যাঁরা আমাকে চিনতেন না, তাঁদের চিনিয়ে দিচ্ছেন। কয়েক দিন আগের ঘটনা। আমি রামপুরা যাচ্ছিলাম, পথে আখের রস খাব। গাড়ির গ্লাস খুলেছি, এক মুরগিওয়ালা আমাকে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেন “আরে জায়েদ ভাই না। আসতেছি আসতেছি।
  • আমি দিলদারের সঙ্গে তুলনা করলে কি আর সালমান শাহর সঙ্গে তুলনা করলে কি, ওরা যা করার করবে। ওরা আমার সিরিয়াস কোনো কাজেও “হা হা” রিঅ্যাক্ট দেয়। এরা কিছু না বুঝেই এমনভাবে রিঅ্যাক্ট দেয়, ওদের কাজই এটি। ওই কোথায় অজপাড়া গ্রাম। একটা চায়নিজ মোবাইল কিনেছে। আমার ছবিতে এসে একটা উপদেশ দিয়ে দিচ্ছে। “হা হা” রিঅ্যাক্ট দিয়ে দিচ্ছে। আমাকে একজন লিখেছে, আপনার ছবিতে প্রথম ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়েছি। আমি লিখেছি, আপনাকেও প্রথম ব্লক মারলাম। যত “হা হা” রিঅ্যাক্ট আসে, ততবারই আমি ব্লক মারি। তো এসব “হা হা” রিঅ্যাক্ট দিয়ে লাভ কী।
  • এটি একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং ছিল। কিন্তু নিউজ দেখে অনেক মেয়ে মনে করেছেন তিনি সত্যই বিয়ে করেছেন। আত্মীয়স্বজনেরাও তাঁকে ফোন দিয়ে শুভকামনা জানাচ্ছেন। খবরটি দেখে অনেক মেয়ে কান্নাকাটি করেছে। মেয়েরা এসএমএস দিয়েছে, ‘আপনি হৃদয়টা ভেঙে না দিলেও পারতেন।’ কোনো মেয়ে লিখেছে, ‘কাল থেকে কিছু খাইনি।’ সব জায়গায় রটে গেছে আমার বিয়ে।
    • অনলাইনে নিজের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে প্রথম আলো
  • যেদিন আন্দোলন চলছিল, সেদিন আমি লস অ্যাঞ্জেলসে ছিলাম। হলিউডের শিল্পীরা রাস্তায়। আমি দেখলাম খারাপ দেখায়, আমি গিয়ে রাস্তায় দাঁড়ালাম। লোকাল সংবাদমাধ্যম যারা আসছিল। বলেছি, শিল্পীরা সব জায়গায় শিল্পী। শিল্পীদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছি এবং এই শিল্পীদের সঙ্গে আমি আছি।
  • জায়েদ খান ফ্রম বাংলাদেশ”, তখন ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম। মঞ্চে উঠে পুরস্কার গ্রহণ করলাম। মানুষের করতালিতে বারবার আবেগে আপ্লুত হচ্ছিলাম। অর্জনটি আমাদের দেশের জন্য গৌরবের। আমার জীবনের সেরা অর্জন। দেশকেই আমি অর্জনটি উৎসর্গ করলাম।
    • ‘দ্য হিউম্যানিটেরিয়ান প্লাটিনাম লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা গ্রহণ করে প্রথম আলো
  • না ১৫ মিনিট ইংরেজি বললে টেন্স ভুল হতেই পারে। আমি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে আসিনি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, ভাষা কেনো এসেছে? নিজের বক্তব্য অপরকে বোঝাতে পেরেছি কি না সেটাই মুখ্য।
  • অনেক মেয়ে বিয়ে করছে না, করবে না নাকি আজীবন। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না। বলেছি আগুনের পেছনে ছুটলে হাত পুড়ে যাবে। তবে আমি আগুন হয়েই থাকতে চাই। আমি সুন্দরীদের জ্বালাতে চাই।
  • গ্রামীণ পটভূমির এই গল্পের প্রয়োজনে আমাকে কখনো লুঙ্গি–গামছা নিয়ে ক্যামেরার সামনে হাজির হতে হয়েছে। সেই আমলের ড্রেসআপ ছিল। দুই বছর ধরে চুল বড় করেছি। এ লুকগুলো সামনে এলে অনেকেই ট্রল করে। বিশেষ করে একটা দৃশ্য ছিল, যেখানে কাদায় গড়াগড়ি খেতে হয়েছে। ওই দৃশ্যটির শুটিং হয়েছিল শীতের সময়। কনকনে শীতের সকাল আটটায় কাদায় গড়াগড়ি খেয়েছি, সেটাই এখন প্রশংসা পাচ্ছে। আমি জানতাম, এখানে অভিনয় ভালো করেছি। কিন্তু অনেকের স্বভাব কোনো কিছু বিচার না করে একটা মন্তব্য করে ফেলে। আপনাদের অনুরোধ করব, সিনেমাটি দেখুন।

জায়েদ খানকে নিয়ে উক্তি সম্পাদনা

  • আজ থেকে ৫৪ বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে বের হয়েছি আমি। আমরা যখন ঢাবি থেকে বের হতাম তখন আমাদেরকে সবাই সম্মান করতো। আর তুমি (জায়েদ খান) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে মেয়েদের সামনে ডিগবাজি মারছো। নাচ করলে গোবিন্দার মতো নাচো, আমি তোমাকে সম্মান করবো। কিন্তু এটা তুমি কি করছো?
  • ‘নির্বাচনের পর জায়েদ খানের একটা শাস্তি হয়েছে বলে আমি মনে করি। সে কোনো অন্যায় করে থাকলে এই শাস্তি ন্যায়। আর সে যদি অন্যায় না করে তাহলে শাস্তিটা অন্যায়। কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় সেটা বলতে আমি পারব না। আর এত আলোচনা করার মতো কেউ এখনও সে হয়ে ওঠেনি।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা