তপোধীর ভট্টাচার্য

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য

তপোধীর ভট্টাচার্য (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ – বর্তমান) এ-সময়ের পুরোধা সাহিত্যিতাত্তিক ও সমালোচক এবং বাংলা সাহিত্যের যশস্বী চিন্তাবিদ। বাঙালির নিজস্ব নন্দনতত্ত্ব হিসেবে উত্তর আধুনিক চেতনার অন্যতম প্রস্তাবক তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর ১৩৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। মোট ৩২ টি কবিতা-সংকলন তাঁর রয়েছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কার্যদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এছাড়া দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাবান রবীন্দ্র অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করছেন। ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এমেরিটাস অধ্যাপকও। নিরন্তর মনন-চৰ্চা করাই তাঁর জীবনের ব্রত।

উক্তি সম্পাদনা

  • উপগ্রহ-প্রযুক্তির উপর একাধিপত্যের সুযোগে বিশ্বপুঁজিবাদের মোড়লেরা ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিগর্বী বাঙালিদের পর্যন্ত দোঁ-আশলা, তে-আঁশলা জীবে পরিণত করছে। নিকৃষ্ট সামন্তবাদী অপচেতনা ও নির্বিচার ভোগবাদী প্রতীকের ককটেল ইতিমধ্যে বাঙালির ভুবনকে অনেকখানি কলুষিত করে দিয়েছে। হাঁসজারু ও বকচ্ছপদের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের স্বাতন্ত্রের অভিজ্ঞানগুলি।
  • যে-ভাষা যত বেশি সমৃদ্ধ, উপভাষার ঐশ্বর্যে সে তত ধনী।
  • ছাত্র-ছাত্রীরা যখন ধাপে-ধাপে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে, তাদের মগজে ও অভ্যাসে বদ্ধমূল হয়ে যাচ্ছে এই সংস্কার যে বাংলা যেমন খুশি ব্যবহারযোগ্য। কেননা প্রতিটি স্তরে প্রতিটি বিষয়ে টেক্সট বইগুলিতে বাংলা ভাষাকে দুমড়ে মুচড়ে পরিকল্পনা মাফিক বিকৃত করা হচ্ছে।
  • অত্যন্ত চতুরভাবে এই প্রভুত্ববাদী শক্তি সমস্ত ধরনের গণমাধ্যমকে কজায় নিয়ে সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদী প্রক্রিয়া চালু করেছে। বাংলা ভাষার ঘোর শত্রু এরা।
  • আগুনের কাছে এত দ্রুত যাবে?
    যাও, তবে জলের করুণা
    শিখে নিয়ো।
    • আগুনের কাছে, তুমি সেই পীড়িত কুসুম, কবিতাসংগ্রহ ১, ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৩, এবং মুশায়েরা।
  • বর্ণাশ্রমবাদী সমাজে শোষকের নিরাপত্তা ও সুখভোগ নিষ্কন্টক করার জন্যে ধর্মের দার্শনিক ব্যাখ্যা নিবন্ধ রাখা হয়েছে শুধুমাত্র উচ্চতর বর্গের বিনোদন ও বৌদ্ধিক ব্যায়ামের জন্যে। আর নীচুতলার বাসিন্দার জন্যে বরাদ্দ হয়েছে প্রশ্নহীন আনুগত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত সেবাধর্ম।
    • ধর্মতন্ত্র: সাম্প্রতিক দর্পনে, ধর্মতন্ত্রের সত্য-মিথ্যা, ২০২০, অভিযান পাবলিশার্স।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

 
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: