দিল্লি

ভারতের মহানগর

দিল্লি, (হিন্দি: दिल्ली দিল্লী) সরকারি নাম দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল, ভারতের সবচেয়ে জনবহুল শহর, যেখানে দেশের জাতীয় রাজধানী নতুন দিল্লি অবস্থিত। গঙ্গার উপনদী যমুনার তীরে অবস্থিত এই শহরটি একদা দিল্লি সালতানাত ও মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী প্রথমে কলকাতা হলেও ১৯১১ সালে একে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

বন্ধুগণ! আমার সৈন্যগণ! “দিল্লী চলো, দিল্লী চলো” ইহাই তোমাদের যুদ্ধধ্বনি হউক। আমি নিশ্চিন্ত জানি যে, শেষ পর্যন্ত আমরা জয়লাভ করিবই। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের মৃতাবশিষ্ট বীরেরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যতম সমাধিক্ষেত্র প্রাচীন দিল্লীর লালকেল্লায় সশস্ত্র শোভাযাত্রা করিতে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্ত্তব্য শেষ হইবে না। ~ সুভাষচন্দ্র বসু

উদ্ধৃতি

সম্পাদনা
  • আজ আমার জীবনের সর্ব্বাপেক্ষা গৌরবের দিন। আজ বিধাতা সদয় হইয়া আমাকে অদ্বিতীয় সম্মানে ভূষিত করিলেন। আমি সমস্ত জগতের কাছে ভারতের মুক্তিফৌজের অস্তিত্বের কথা নিবেদন করিবার গৌরব লাভ করিলাম। সিঙাপুরের সমরক্ষেত্রে এই ফৌজ আজ সামরিক শ্রেণীবদ্ধতায় সজ্জিত হইয়াছে, সেই সিঙাপুর যাহা একদা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দুর্ভেদ্য দুর্গ ছিল। এই ফৌজ ব্রিটিশের বন্ধন জোয়াল হইতে ভারতবর্ষকে মুক্ত করিবে। সমস্ত ভারতবাসীর ইহা গর্ব্বের বিষয় যে, এই ভারতীয় ফৌজ সম্পূর্ণ ভারতীয় নেতৃত্বে সংগঠিত হইয়াছে এবং সেই ঐতিহাসিক মূহুর্ত্ত যখন আসিবে ভারতীয় নেতৃত্বেই ইহা সমরাভিযান করিবে। বন্ধুগণ! আমার সৈন্যগণ! “দিল্লী চলো, দিল্লী চলো” ইহাই তোমাদের যুদ্ধধ্বনি হউক। আমি নিশ্চিন্ত জানি যে, শেষ পর্যন্ত আমরা জয়লাভ করিবই। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের মৃতাবশিষ্ট বীরেরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যতম সমাধিক্ষেত্র প্রাচীন দিল্লীর লালকেল্লায় সশস্ত্র শোভাযাত্রা করিতে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্ত্তব্য শেষ হইবে না। এই কথা বিশ্বাস কর যে অন্ধকারে এবং রৌদ্রালোকে সুখে দুঃখে চরমতম দুর্দ্দশায় ও বিজয়ের আনন্দে আমি তোমাদের সঙ্গে থাকিব। আপাততঃ তোমাদিগকে ক্ষুধা তৃষ্ণা, যন্ত্রনা [সিক], সুদীর্ঘ পথ এবং মৃত্যু ছাড়া আমার কিছুই দিবার নাই।
  • দিল্লি শহরের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক অতীত রয়েছে এবং সেই ইতিহাসের প্রতিটি স্তর এর গল্পের একটি অধ্যায়।
  • দিল্লির মোহনীয়তা পুরানোকে নতুনের সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মিশ্রিত করার ক্ষমতার মধ্যে নিহিত, ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার একটি অনন্য মিশ্রণ তৈরি করে।
  • এটা দিল্লি। যখন জীবন আপনার জন্য অনেক বেশি হয়ে যায় তখন আপনাকে যা করতে হবে তা হল নিগমবোধ ঘাটে এক ঘন্টা কাটানো, মৃতদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া দেখুন এবং তাদের জন্য তাদের আত্মীয়দের আর্তনাদ শুনুন। তারপর বাসায় এসে কয়েক পেগ হুইস্কি নামিয়ে নিন। দিল্লিতে, মরণ এবং পান জীবনকে বাঁচিয়ে তোলে,
    • খুশবন্ত সিংহ, দিল্লি, ০১ জানুয়ারি, ১৯৯০।

আরও দেখুন

সম্পাদনা