দুখাই মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত একটি বাংলাদেশী বিপর্যয়-নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র। এটি ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর শতাব্দির প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদশের উপকূলীয় এলাকায় দশ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এই মর্মান্তিক কাহিনী নিয়ে মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন চলচ্চিত্রটি। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-সংগ্রাম দেখানো হয়েছে। অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।

  • সর্বনাশা পদ্মার হাত থেইকা বাড়িডা তো বেশি রাখন গেলো নারে বাবা। এতগুলা মানুষ লইয়া অহন আমি কই গিয়া খাঁড়ামু?
    • দুখাইয়ের বাবা লোকমান
  • দেখসোনি, আমার বাচ্চাটা দেখসোনি! দেখসোনি তুমি। আমার সোয়ামীরে ফিরা পাইলাম, কিন্তু বাচ্চাডারে তো পাইলাম না অহনো। সেই রাইতে তুমি তো দেখসো, আমার বুকের মইধ্যেই তো আসিলো আমার মানিক। কখন ছুইটা গেলো তুমি দেখো নাই! দেখো নাই ওরে!!
  • অন্যহানে বিয়া বইলে আইজ কত আদর পাইতা, কত হৈ-হুল্লাড় হইতো। আমার তো সাতজনমে কেউ নাই। বাপ নাই, মাও নাই, ভাই-বোন নাই। ছোডো একটা বইন আসিলো, আনু, আমার খুউব রাজ্ঞা। আনু থাকলে আজ কি মজাটাই না করতো। কিন্তু আমার যে কেউ নাই জগতে।
    • বুলিকে বাসর রাতে দুখাই
  • আমার নিজের রক্ত। আমার নিজের বংশ। ওরে... ওরে আমি সারাজীবন আগলায়া রাখমু। কোনদিন হাতছাড়া করবা না। আমার কইলজার টুকরা। ওর নাম রাহুম আমি সুখাই। হো, সুখাই। যাতে ও সারাজীবন সুখে থাকতে পারে। আমার মতন দুখী যাতে না হইতে হয়। হো, দুখাইয়ের মাইয়্যা সুখাই। আমার সুখাই।
    • সুখাই জন্মের পর দুখাই

শ্রেষ্ঠাংশে

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা