পদার্থবিদ্যা
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের শাখা যা পদার্থের ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা করে
পদার্থবিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা বা ভৌতবিজ্ঞান হল পদার্থ ও তার গতির বিজ্ঞান। বাংলায় "পদার্থবিজ্ঞান" শব্দটি একটি সমাসবদ্ধ পদ। পদার্থবিজ্ঞান বলতে বলা যেতে পারে এটা হলো গণিতের বাস্তব রূপ। এখানে বিভিন্ন গাণিতিক হিসাব নিকাশ দ্বারা প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনাকে বর্ণনা করা হয়। অত্যন্ত বিমূর্তভাবে বলতে গেলে, পদার্থবিজ্ঞান হল সেই বিজ্ঞান যার লক্ষ্য আমাদের চারপাশের বিশ্বকে বোঝার চেষ্টা করা।
উক্তি
সম্পাদনা- আমরা ইস্কুলে তখন ছাত্রবৃত্তি ক্লাসের এক ক্লাস নিচে বাংলা পড়িতেছি। বাড়িতে আমরা সে ক্লাসের বাংলা পাঠ্য ছাড়াইয়া অনেকদূর অগ্রসর হইয়া গিয়াছি। বাড়িতে আমরা অক্ষয়কুমার দত্তের পদার্থবিদ্যা শেষ করিয়াছি, মেঘনাদবধও পড়া হইয়া গিয়াছে। পদার্থবিদ্যা পড়িয়াছিলাম, কিন্তু পদার্থের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না, কেবল পুঁথির পড়া—বিদ্যাও তদনুরূপ হইয়াছিল।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - জীবন-স্মৃতি, বাংলাশিক্ষার অবসান ১৯৪১ (পৃ. ৬০-৭২)।
- পাটীগণিত, জ্যামিতি, পদার্থবিদ্যা এবং নীতিবিজ্ঞান সম্বন্ধীয় গ্রন্থাবলী রচিত হইতেছে। ভূগোল, রাষ্ট্রনীতি, শারীরতত্ত্ব, ঐতিহাসিক গ্রন্থসমূহ এবং কতকগুলি ধারাবাহিক জীবনচরিত এখনও রচনা করিতে হইবে। বর্তমানে ভারতবর্ষ, গ্রীস, রোম এবং ইংলণ্ডের ইতিহাস হইলেই চলিবে।
- বিদ্যাসাগরের দ্বারা মন্তব্য, যেমনটা বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ, বাংলা-শিক্ষা প্রচলনে বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টা -এ উদ্ধৃত - ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত।
- কতকগুলি বিদ্যা আধুনিক, অর্থাৎ পূর্বে এদেশে অল্পাধিক চর্চিত হলেও এখন একবারে নূতন রূপ পেয়েছে, যথা-পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, মণিকবিদ্যা, জীববিদ্যা। এইসকল বিদ্যার জন্য অসংখ্য পরিভাষা আবশ্যক। যে শব্দ আমাদের আছে তা রাখতে হবে, বহু সংস্কৃত শব্দ নূতন করে গড়তে হবে।
- রাজশেখর বসু - লঘুগুরু প্রবন্ধাবলী, বাংলা পরিভাষা ১৯৩৯ (পৃ. ৯০-১০৯)।
- যে সকল অনুসন্ধান আমার পরীক্ষাগারে গত তেইশ বৎসর ধরিয়া পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত হইয়াছে ইহা তাহারই অতি সংক্ষিপ্ত ও অপরিপূর্ণ ইতিহাস। যে সকল অনুসন্ধানের কথা বলিলাম তাহাতে নানাপথ দিয়া পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, এমন কি মনস্তত্ত্বও এক কেন্দ্রে আসিয়া মিলিত হইয়াছে। বিধাতা যদি বিজ্ঞানের কোনো বিশেষ তীর্থ ভারতীয় সাধকের জন্য নির্দ্দেশ করিয়া থাকেন তবে এই চতুর্বেণী-সঙ্গমেই সেই মহাতীর্থ।
- জগদীশচন্দ্র বসু - অব্যক্ত ১৯২১ (পৃ. ১৫১-১৬৮)।
- সূক্ষ্মগণনায় জ্যোতিঃশাস্ত্র কত উন্নত হইয়াছে এবং মানবের জ্ঞানও ইহাতে কত বৃদ্ধি পাইয়াছে, বর্ত্তমান প্রবন্ধে তাহার অতি অল্পই পরিচয় প্রদান করা হইল। দূর জ্যোতিষ্কদিগের ক্ষীণ আলোকরশ্মি বিশ্লেষণ করিয়া আজকাল নক্ষত্রলোকের যে সকল সংবাদ পাওয়া যাইতেছে, সেগুলির কথাও আলোচনা করিলে দেখা যায়, বৈজ্ঞানিকদিগের সূক্ষ্মগণনাই এখানে জয়যুক্ত হইয়াছে। কেবল জ্যোতিঃশাস্ত্রের নয়, রসায়নীবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, ভূ-তত্ত্ব প্রভৃতি সকল শাস্ত্রেরই ইতিহাস অনুসন্ধান করিলে, প্রাচীন ও আধুনিক বৈজ্ঞানিকদিগের চুল-চেরা সূক্ষ্মগণনাকেই সেগুলির উন্নতির মূলকারণস্বরূপ দেখা গিয়া থাকে।
- জগদানন্দ রায় - প্রাকৃতিকী, বিজ্ঞানে সূক্ষ্মগণনা ১৯১৪ (পৃ. ২৬৩-২৭২)।
- পদার্থবিজ্ঞানীর সর্বোচ্চ কাজ হল সবচেয়ে সাধারণ প্রাথমিক নিয়মগুলি আবিষ্কার করা যা থেকে বিশ্ব-চিত্রকে যুক্তিযুক্তভাবে অনুমান করা যায়। কিন্তু এই মৌলিক আইন আবিষ্কারের কোন যৌক্তিক উপায় নেই। কেবলমাত্র অন্তর্দৃষ্টির উপায় আছে, যাকে চেহারার পিছনে থাকা আদেশের একটি অনুভূতি দ্বারা সাহায্য করা হয় এবং এই অনুভূতি অভিজ্ঞতা দ্বারা বিকশিত হয়।
- অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, 'প্রিফেজ টু ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, হোয়ের সাইন্স ইজ গোইং?' (Preface to Max Planck's Where is Science Going) - ১৯৩৩।
- পদার্থবিদ্যা এবং দর্শন প্রায় কয়েক হাজার বছরের পুরানো, তবে সম্ভবত তাদের সামনে হাজার হাজার মিলিয়ন বছরের জীবন রয়েছে। তারা সবেমাত্র পথ পেতে শুরু করেছে।
- জেমস জিন্স (১৯৪২) পদার্থবিদ্যা এবং দর্শন, পৃষ্ঠা ২১৭।
- আমি বহু ডজন পদার্থবিদ্যার পাঠ্যপুস্তকগুলির মধ্যে দিয়ে আমার পথকে অলসভাবে কাটিয়েছি, যেগুলি সর্বোত্তম শিক্ষাগত পরিকল্পনার সাথে যত্ন সহকারে লেখা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোতে কিছু একটা যেন অনুপস্থিত ছিল। পদার্থবিদ্যা বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় কারণ এটি বিশ্ব কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আলোচনা করে, এবং তবুও পাঠ্যপুস্তকগুলি বাস্তব জগতের সাথে কোনও সংযোগের জন্য পুরোপুরি বিকৃত ছিল। সেগুলো হতে মজা অনুপস্থিত ছিল।
- জার্ল ওয়াকার, ডেভিড হ্যালিডে এবং রবার্ট রেসনিক, ফান্ডামেন্টালস অফ ফিজিক্স (১০ তম সংস্করণ, ২০১৪), ভূমিকা।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে পদার্থবিদ্যা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
উইকিপিডিয়ায় পদার্থবিদ্যা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে পদার্থবিদ্যা শব্দটি খুঁজুন।