পাবলো পিকাসো

স্পেনীয় চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, প্রিন্টমেকার, মৃৎশিল্পী, মঞ্চ নকশাকারী, কবি ও নাট্যকার

পাবলো পিকাসো (২৫ অক্টোবর ১৮৮১ – ৮ এপ্রিল ১৯৭৩) ছিলেন একজন স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর। এছাড়া প্রিন্টমেকার, মৃৎশিল্পী, মঞ্চ নকশাকারী, কবি এবং নাট্যকার হিসাবেও পরিচিতি ছিল। তার পুরো নাম ছিলো পাবলো রুইজ ই পিকাসো। তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী শিল্পী ছিলেন। গঠনকৃত ভাস্কর্যের উদ্ভাবন, কোলাজের সহ-উদ্ভাবন এবং চিত্রশৈলীর বিস্তৃত ভিন্নতার কারণে পিকাসো অধিক পরিচিতি লাভ করেন। তার বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে প্রোটো-কিউবিস্ট লেই দেমোয়াজেল দে'ভিনিয়োঁ (১৯০৭) এবং স্পেনের গৃহ যুদ্ধের বিরুদ্ধে আঁকা গের্নিকা (১৯৩৭)।

পাবলো পিকাসো
  • আমাদের আত্মা থেকে দৈনন্দিন জীবনের ধুলা দূর করাই হলো শিল্পকলার উদ্দেশ্য।
  • ঘর সাজানোর জন্যে ছবি আঁকা হয় না। শত্রুকে আক্রমণ করার জন্যে বা শত্রুর কবল থেকে আত্মরক্ষার জন্যে ছবি আসলে যুদ্ধের হাতিয়ার।
  • ক্লান্ত করলে তো অনেক আগেই মারা যেতাম। ক্লান্তি নেই বলেই তো একজন শিল্পী এতদিন বেঁচে থাকে।
  • সৃজনশীলতার প্রধান শত্রু হচ্ছে অতিপ্রশংসা।
  • যা কিছু বাস্তব, তার সবই আপনি কল্পনা করতে পারেন।
  • অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে বাদ দেয়াই শিল্প।
  • শিল্পীকে কী ভাব তোমরা? নিছক জরদগব—যদি চিত্রকর হয়, শুধু চোখ আছে? যদি গাইয়ে হয় শুধু কান কিংবা যদি কবি হয়, তাহলে মনের প্রতিটি স্তরে একটা বীণা? কিংবা ধরো, মুষ্টিযোদ্ধা হলে নেহাত কিছু পেশি? একেবারে উল্টো। একই সঙ্গে শিল্পী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-হৃদয় বিদারক, উত্তেজক বা সুখপ্রদ ঘটনার প্রতি যে সবসময় সজাগ—সমস্ত রকম ভাবে সে এদের ডাকে সাড়া দেয়। এটা কী করে সম্ভব যে অন্য কোনো মানুষ সম্পর্কে সে কোনো আগ্রহ বোধ করবে না? জীবনকে যে এত আন্তরিকতা দিয়ে তোমাদের সামনে তুলে ধরছে—কী করেই বা সে জীবন থেকে নিজেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রাখবে? না, ঘর সাজানোর জন্যে ছবি আঁকা হয় না। শত্রুকে আক্রমণ করার জন্যে বা শত্রুর কবল থেকে আত্মরক্ষার জন্যে ছবি আসলে যুদ্ধের হাতিয়ার।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা