পার্থ প্রতিম মজুমদার

মূকাভিনয় শিল্পী

পার্থ প্রতিম মজুমদার (জন্ম: ১৮ জানুয়ারি, ১৯৫৪) বাংলাদেশের মূকাভিনয় শিল্পের পথিকৃৎ। ফ্রান্স প্রবাসী এই মূকাভিনয় শিল্পী মূকাভিনয়ের বিচারে বিশ্বে দ্বিতীয়। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফ্রান্স সরকারের শেভালিয়র উপাধি পান তিনি। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এ পদক পান। এছাড়াও ২০১০ সালে শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মান "একুশে পদক" পান।

  • বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আমার বাড়ি প্যারিসে এসে থাকছেন। তাদের এই বসবাসরত অবস্থায় কেউ কল ভাঙছে, কেউ মিটার ঘর ভাঙছে। কিন্তু তারপরেও তাদের থাকতে দিই যাতে এদেশে তারা যে কাজটা করতে এসেছেন সেটা যদি তারা সফলভাবে করেন তাহলে বাংলাদেশ তো এগিয়ে চলেছেই কিন্তু এতে করে আরো দ্রুতগতিতে এগোবে। [
  • বাংলাদেশের মানুষ যখন বিদেশে সম্মান অর্জন করে তখন বুঝবেন ওই দেশের মানুষের থেকে ১০ গুণ ভালো কাজ করেছে তবেই সে সম্মানটা পেয়েছে। বিদেশে গিয়ে ১০-১৫ জন সাদা চামড়ার লোকেদের সাথে প্রতিযোগিতা করে স্থানটা দখল করে বিধায় সে সম্মানটা পায়। [
  • আমি মনে করি যে, যে ক্ষেত্রেই যে চর্চায় করুক না কেন সে যেন সঠিকভাবে ও সৎভাবে করে। কারণ দুনিয়াতে ফাঁকিবাজের কোন জায়গা নেই। ফাঁকিবাজি করে কেউ কখনো বিশ্ব জয় করতে পারে না।
  • বিদেশে একজন শিল্পী যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানটা পায় আমার মনে হয় সেই সম্মান আমাদের দেশ তাকে কোনদিন দেয় না কারণ তারা মনে করে এই ধরনের সম্মান তারা জানালে তারা নিজেরা ছোট হয়ে যাবে।
  • আমার দেশের মানুষ একটা ভালো কাজ করছে সেটা আমি বলে নয় সেটা একটা বাচ্চাও যদি একটা ভালো কাজ করে তো তাদের যদি আমরা সম্মান না দেই, আমার সন্তানকে বা আপনার সন্তানকে যদি সম্মানিত না করি আপনি কিভাবে বড় করবেন নিজের দেশকে?[
  • অনেকেই আমাকে বলেন আমি নাকি মূকাভিনয় শিল্প টিল্প বলে কিছু করি না আসলে আমি হোটেলের ব্যবসা করি। তাহলে তো আমি রাজাধিরাজ হয়ে থাকতাম। সৌরভ গাঙ্গুলী ক্রিকেটার হয়ে যদি হোটেলের ব্যবসা করতে পারেন, শাহরুখ খান যদি অভিনয়শিল্পী হয়ে হোটেলে ব্যবসা খুলতে পারেন তাহলে আমি করলে ক্ষতি কি? শিল্প আমার কাছে পূজার জিনিস, প্রার্থনার জিনিস। প্যারিস-এ সপরিবারে কষ্ট করে থাকলেও আমি আজ অব্দি একমাত্র মূকাভিনয় শিল্প ছাড়া আমি কোনো চাকরি করি নি, কোনো ব্যবসা করিনি।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা