প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই থেকে ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত স্থায়ী একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এ যাবৎকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়।
উক্তি
সম্পাদনা- যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমরা কিসের জন্য লড়াই করছি, আমি দুটি বাক্যে উত্তর দিতে পারি। প্রথমত, একটি গৌরবময় আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করা … সম্মানের একটি বাধ্যবাধকতা যা কোন আত্মমর্যাদাশীল মানুষ সম্ভবত প্রত্যাখ্যান করতে পারে না।
আমি বলি, দ্বিতীয়ত, আমরা এই নীতিকে সত্যায়িত করার জন্য লড়াই করছি যে একটি শক্তিশালী এবং অধিপতি ক্ষমতার স্বেচ্ছাচারী ইচ্ছায় আন্তর্জাতিক ভাল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলিকে পিষ্ট করা যাবে না।- হারবার্ট এস্কোইত, সংসদে ঠিকানা, (৬ আগস্ট ১৯১৪); উৎস রেকর্ডস অফ দ্য গ্রেট ওয়ার, ভলিউম ওয়ান।
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অগ্রগতির ভারাকে নাড়া দিয়েছিল কারণ এটি মারাত্মক এবং অপ্রত্যাশিতভাবে দীর্ঘ ছিল: এটি দেখিয়েছিল যে প্রযুক্তি দ্বিমুখী হতে পারে। যুদ্ধটি একটি নৈতিক প্রশ্ন উত্থাপন করে অগ্রগতির ধারণার উপর আরেকটি প্রতারণামূলক আক্রমণ করেছিল যা অগ্রগতিতে বিশ্বাসীরা মঞ্জুরি হিসাবে গ্রহণ করেছিল: 'প্রগতির' দীর্ঘ যুগে ইউরোপীয়দের নৈতিকতা কি উন্নত হয়েছিল?
- জিওফ্রে ব্লেইনি, দ্য গ্রেট সিসো: এ নিউ ভিউ অফ দ্য ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড, ১৭৫০-২০০০ (১৯৮৮)।
- আজ সকাল এগারোটায় মানবজাতিকে আঘাত করা সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। আমি আশা করি আমরা বলতে পারি যেন এইভাবে, এই ভাজ্যজনক সকালে, সমস্ত যুদ্ধের অবসান ঘটেছে।
- ডেভিড লয়েড জর্জ, হাউস অফ কমন্সে বক্তৃতা, (১১ নভেম্বর ১৯১৮)
- পৃথিবীর সমস্ত দেশের মানুষ
সম্মিলিত কণ্ঠে সোচ্চার হও,
বল,—অতীতের সেই দিনটি
যেদিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বেধেছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই ভয়ঙ্কর দিনটি
যেদিন হিরোশিমা নাগাসাকি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছিল,
পৃথিবীর ইতিহাসের, মানুষের ইতিহাসের—
সেই চরমতম কলঙ্কের দিনটি
চিরদিনের জন্য
কালাদিবস বলে ঘোষিত হোক।- শান্তির স্বপক্ষে, কালাদিবস
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধরত সৈনিকদের মধ্যে হিস্টিরিক-অন্ধত্ব ও স্মৃতিভ্রংশের অনেক ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এদের প্রতিটি অন্ধত্ব ও স্মৃতিভ্রংশ বহিরাগত কোনও কারণে হয়নি, হয়েছে মস্তিষ্ক-কোষের জন্য। ওদের অবচেতন মন রক্ত দেখতে চাইছে না। হত্যার বীভৎস স্মৃতি ধরে রাখতে চাইছে না। এই না চাওয়ার তীব্র আকুতি থেকেই দৃষ্টি হারিয়েছে, স্মৃতি হারিয়েছে।
- মহেন্দ্রনাথ গুহ - বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র (১৯৪৬)।
- বিগত বিশ্বযুদ্ধে জাপান মিত্রপক্ষে ছিল, এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শত্রুরা ছিল শুধু ইউরোপে এবং নিকট-প্রাচ্যে অর্থাৎ পশ্চিম-এশিয়ায়। গতযুদ্ধের সময় যে সব ভারতীয় বিপ্লবী ভারতের বাইরে কাজ করছিলেন এবং যাঁরা ভারতীয় স্বাধীনতা-আন্দোলনের জন্যে ভারতে সাহায্য আনার চেষ্টা করছিলেন, তাঁদের কাছে সরবরাহপথের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় সমাধানের অতীত।
- সুভাষচন্দ্র বসু - দিল্লী চলো, পূর্ব্ব-এশিয়ার অবস্থা (১৯৪৫)।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।