প্রবীর ঘোষ

ভারতীয় বিজ্ঞানবাদী লেখক

প্রবীর ঘোষ (জন্ম ১ মার্চ, ১৯৪৫ — ৭ এপ্রিল ২০২৩) কলকাতাভিত্তিক ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রধান এবং হিউম্যানিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষ থেকে প্রবীর ঘোষ যে কোনো ধরনের অলৌকিক শক্তির প্রমাণ প্রদানকারীকে ৫০ লক্ষ ভারতীয় টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বেশকিছু জ্যোতিষবিদ ও অলৌকিক শক্তি অধিকারী বলে দাবি কৃত ব্যক্তিদের প্রচারণার অসারতা প্রমাণ করেছেন। যার মধ্যকার কয়েকটি ঘটনা নিয়ে চ্যানেল ফোর 'Guru Busters' নামে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে।

প্রকৃতিকে যাঁরা ঈশ্বর সংজ্ঞা দিতে চান, তারা প্রকৃতির নিয়মকে সর্বশক্তিমান, সর্বনিয়ন্তা ভাবলে বেজায় মুশকিল। বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যেভাবে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে, তাতে মানুষকে ঈশ্বরের নিয়ন্তা বলতে তো কোনও অসুবিধে দেখি না।
—প্রবীর ঘোষ
  • বাস্তবিকই কিছু কিছু বিজ্ঞান পেশার মানুষ বিজ্ঞান মনস্কতাকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজের বিশ্বাস-নির্ভর চিন্তাকে হাজির করতে শুরু করেছেন নতুন ভাবে, নতুন মোড়কে, বিজ্ঞানের শব্দ যুক্ত করে, বিজ্ঞানের এসেন্স মাখিয়ে। তাঁরা ভুলে যান বা ভুলে থাকতে চান—বিজ্ঞানের বেঁচে থাকার ‘অক্সিজেন’, ‘জিজ্ঞাসা’, ‘সন্দেহ’ ও ‘প্রমাণ’। বিজ্ঞানের জ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে, কার্যকারণের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ও প্রকৃতির জগতে, বস্তুজগতে নিয়মের বন্ধন।
  • প্রকৃতিকে যাঁরা ঈশ্বর সংজ্ঞা দিতে চান, তারা প্রকৃতির নিয়মকে সর্বশক্তিমান, সর্বনিয়ন্তা ভাবলে বেজায় মুশকিল। বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যেভাবে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে, তাতে মানুষকে ঈশ্বরের নিয়ন্তা বলতে তো কোনও অসুবিধে দেখি না।
    • প্রবীর ঘোষ - আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না (১৯৯৬)।
  • অভিজিৎ রায় বিজ্ঞানের কঠিন তত্ত্বগুলোকে খুব প্রাঞ্জল ভাষায় লিখেছিলেন যা অতি প্রশংসনীয়। কিন্তু উনি যখন সমকামিতার পক্ষে বই লেখেন এবং সমকামিতাকে ‘প্রোমোট’ করার চেষ্টা করেন, তখন তার প্রতিবাদ জানানো ছাড়া আমাদের কাছে উপায় থাকে না।উনি ইদে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন, এটা একজন নিরীশ্বরবাদীর কাছে খুবই বেদনাদায়ক।
    • প্রবীর ঘোষ [১]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা