বর্ষা
বাংলা বছরের দ্বিতীয় ঋতু
বর্ষা ষড়ঋতুর দ্বিতীয় ঋতু। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। এই ঋতু আমাদের জীবনযাপনের সঙ্গেও নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। নানা সময়ে কবি ও সাহিত্যিকেরা বর্ষার রূপের বর্ণনা করেছেন। বর্ষা মানে বাহারি রঙের নানা ফুলের মেলা।
উক্তি
সম্পাদনা- আরও মনে পড়ে শ্রাবণের গভীর রাত্রি, ঘুমের ফাঁকের মধ্য দিয়া ঘনবৃষ্টির ঝমঝম শব্দ মনের ভিতরে সুপ্তির চেয়েও নিবিড়তর একটা পুলক জমাইয়া তুলিতেছে, একটু যেই ঘুম ভাঙিতেছে মনে মনে প্রার্থনা করিতেছি সকালেও যেন এই বৃষ্টির বিরাম না হয় এবং বাহিরে গিয়া যেন দেখিতে পাই, আমাদের গলিতে জল দাঁড়াইয়াছে এবং পুকুরের ঘাটের একটি ধাপও আর জাগিয়া নাই।
- বর্ষা-ঋতুটা বিশেষভাবে কবির ঋতু। কেননা কবি গীতার উপদেশকে ছাড়াইয়া গেছে। তাহার কর্ম্মে ও অধিকার নাই; ফলেও অধিকার নাই। তাহার কেবলমাত্র অধিকার ছুটিতে;–কর্ম্ম হইতে ছুটি, ফল হইতে ছুটি।
- মোরা শীতল করি পৃথিবীরে, নির্মল বরষা নীরে,
ঘোর গগনতল ছল ছল নীল জলদ ঘন ঘোরে।
নীরদ গুরু গুরু গম্ভীর গরজে, দুরু দুরু হৃদয়ে,
অবিরল বর্ষণ ঝর ঝর প্লাবিত সকল চরাচর।
- শ্রাবণ মাসে বর্ষা হয় ইহা এদেশে সত্য বিলাতে মিথ্যা।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় বর্ষা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে বর্ষা শব্দটি খুঁজুন।