বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
বাঙালি লেখক
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (১৯ জুলাই ১৮৯৯ – ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯) ছিলেন একজন বাঙালি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও কবি। তিনি বনফুল ছদ্মনামেই অধিক পরিচিত। অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিহার রাজ্যের মণিহারীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।[১] তাঁদের আদি নিবাস অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার শিয়াখালা গ্রাম। তাঁদের পরিবার "কাঁটাবুনে মুখুজ্জ্যে" নামে পরিচিত ছিল৷[২] তিনি মূলত পেশায় চিকিৎসক ছিলেন৷
উক্তি
সম্পাদনা- ব্রহ্মার বাসা হইতে ভালো সরিষার তৈল আসিল।বিধাতা তৎক্ষণাৎ তাহা নাকে দিয়া গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত হইয়া পড়িলেন। আজও ঘুম ভাঙ্গে নাই।
- বিধাতা, শ্রেষ্ঠ গল্প, বনফুল (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, তৃতীয় সংস্করণ (ষষ্ঠ মুদ্রণ),পৃষ্ঠা ২০-২১
- নারীর মন বিচিত্র। তাহাদের মনস্তত্ত্বও অদ্ভুত। সে সম্বন্ধে চট করিয়া কোনো মন্তব্য করা উচিত মনে করি না। বস্তুত স্ত্রীজাতির সম্বন্ধে কোনো কিছু মন্তব্য করাই দুঃসাহসের কর্ম।
- সুলেখার ক্রন্দন, শ্রেষ্ঠ গল্প, বনফুল (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, তৃতীয় সংস্করণ (ষষ্ঠ মুদ্রণ),পৃষ্ঠা ২৫-২৭
- মানুষের মন সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ বাহিরের অন্য ভাগ ভিতরের। মনের যেদিকটা বাহিরের তাহা ভদ্র, তাহা সামাজিক এবং সভ্য। ভিতরের মনটা কিন্তু সবসময় সভ্য ও সামাজিক নয় তাহার চালচলন চিন্তাপ্রণালী বিচিত্র। বাহিরের মনের কার্যকলাপ দেখিয়া ভিতরের মন কখনও হাসে, কখনও কাঁদে এবং ক্বচিৎ সায় দেয়। দুইভাগের কলহও নিত্যনৈমিত্তিক।
- ভিতর ও বাহির, শ্রেষ্ঠ গল্প, বনফুল (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, তৃতীয় সংস্করণ (ষষ্ঠ মুদ্রণ),পৃষ্ঠা ২৭-২৯
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে উক্তি
সম্পাদনা- রবীন্দ্রনাথকে একবার খোঁচা দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন বনফুল। পরবর্তী সাক্ষাতে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘তোমার নাম বনফুল কে দিয়েছিল? তোমার নাম হওয়া উচিত ছিল “বিছুটি”। যা দুয়েক ঘা দিয়েছ, তার জ্বলুনি এখনো কমেনি।’
- উক্তিকারি:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সংগৃহীত:প্রথম আলো
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় subst:বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।