বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি থেকে উৎপাদনমুখী শিল্পে পরিবর্তনশীল অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় একটি অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাক শিল্প। বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে গড়ে ৬.৩ শতাংশ হার ধরে রেখে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৭ম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি।

উক্তি সম্পাদনা

  • সমাজে অসৎ পথে অর্থ উপার্জনের হার বেড়ে গেলে যেসব ব্যক্তি বা তাঁদের সন্তানেরা সৎ পথে জীবন নির্বাহ করতে চান, তাঁদের জন্য সেটা কঠিন হয়ে পড়ে। সৎভাবে চলতে গেলে একজনকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়। আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড–ওই ব্র্যান্ড, এটা-সেটা, হইচই, খুব দেখানো যায়। ফলাফলটা এই দাঁড়ায়, একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্ম্যে যাঁরা সৎ জীবন যাপন করতে চান, তাঁদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে।

- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • অর্থনৈতিকভাবে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করা একমাত্র স্বল্পোন্নত দেশ হলো বাংলাদেশ।

- তোফায়েল আহমেদ

  • আমরা ভারত থেকে ডিম কিনি। যেদিন আমরা ভারতে ডিম বিক্রি করতে পারবো সেইদিন আমাদের অর্থনীতির চেহার পাল্টে যাবে।
  • আমাদের দেশে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়েই একজন শিক্ষার্থী বলছেন, আমাকে চাকরি দিন। কিন্তু এটা বলছেন না যে আমাকে ১০ হাজার ডলার দিন, আমি নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তুলব। তাঁর ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ তিনি তুলে দিচ্ছেন আরেকজনের হাতে। এটা আধুনিক দাসত্ব

- ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • ‘যারে তুমি নীচে ফেল সে তোমারে বাঁধিবে যে নীচে

পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।’ “আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার গ্যাস আছে, আমার চা আছে, আমার বনাঞ্চল আছে,আমার মাছ আছে, আমার ধন আছে। যদি উন্নতি করতে পারি, ইনশাআল্লাহ এদিন থাকবে না।” -স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ২৬ মার্চ ১৯৭৫ | আমার সংবাদ

  • সবকিছুই এড়ানো সম্ভব ছিল, যদি কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হতো। এর কোন কিছুই ইউক্রেন যুদ্ধ বা বাইরের কারণে ঘটেনি। তার সাথে যুক্ত হয়েছে অব্যবস্থাপনা এবং শৃঙ্খলাহীনতা।
  • আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় বৈদেশিক ঋণের সুদহারও বেড়ে গেছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সময় মতো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করে আসছে। এ প্রবণতা ধরে রাখতে হবে।
  • ২০১৯–২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশেরও বেশি এসেছে পোশাক রপ্তানি থেকে, যা দেশের অর্থনৈতিক ভূচিত্রে এই ক্ষেত্রের প্রধান ভূমিকার কথাই তুলে ধরে। যাই হোক, বিশ্বব্যাপী চাহিদার বর্তমান অস্থিরতা এবং শ্রমনিবিড় উৎপাদন পদ্ধতি এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। যদিও পরিষেবা ক্ষেত্র স্বল্পমেয়াদি সহায়তা প্রদান করে, দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানি মিশ্রণকে বহুমুখী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • আমরা দেখেছি মধ্য আয়ের দেশ থেকে বিপদের দিকে ধাবিত হয়েছে শ্রীলংকার মতো দেশ। তাই মধ্য আয়ের আত্মতৃপ্তি নিয়ে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। একটি অর্থনীতির নিরপেক্ষ অন্তর্নিহিত শক্তি হলো, জাতির সবারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে সমানতালে। এখানে কোনো দল, কোনো শ্রেণি কিংবা কোনো গোষ্ঠী যেন বিশেষ সুবিধা অবিরাম পেতে না পারে। তবেই আমাদের অর্থনীতি দাঁড়াবে মজবুত ভিত্তির উপর।
  • সভ্যতার গতির সাথে তাল মিলাতে না পেরেও অনেককে দরিদ্র্য হয়ে পড়তে হয়, পড়তে হয় আঞ্চলিক ভৌগোলিক বাস্তবতায়। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করতে হবে। যারা পিছিয়ে পড়েছে তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। ধনী-দরিদ্র্যের ব্যবধান কমাতে হবে। না হলে মানুষের মাঝে যদি শ্রেণি ঘৃণা উসকে উঠে তাহলে কোনো সভ্যতাই টিকে থাকতে পারবে না। কারণ সভ্যতা গড়ে তোলে মানুষ। সভ্যতা টিকিয়ে রাখেও মানুষ।
    • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি, গোলাম সারোয়ার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | আমাদের সময়.কম