বাংলাদেশের পতাকা
পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রংটি বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক এবং বৃত্তের লাল রংটি উদীয়মান সূর্য ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে গৃহীত হয়।
উক্তি
সম্পাদনা- আজ সারা দুনিয়ায় আমার বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে। আজ দুনিয়ার মাঝে আমার বাংলাদেশের স্থান হয়েছে।
- শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ , পৃষ্ঠা ২২২ [১]
- তাই তো দৈত্যের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে খুব সহজ ভঙ্গিতে নিজ হাতে আঁকা তার বুকের ওপর জাপটে ধরে বলেছিল বাংলাদেশের পতাকা।
- আবুল হাসনাত, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা , পৃষ্ঠা ৩৪১ [২]
- বহু আশা আকাঙ্ক্ষার নূতন পতাকা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা।
- কৃত্তিবাস ওঝা, আমি মুজিব বলছি [৩]
- ২৩শে মার্চ প্রদেশব্যাপী ছাত্র ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় প্রত্যেক বাঙালীর ঘরে ঘরে বাংলাদেশের পতাকা ও কালোপতাকা উত্তোলিত হয় এবং...
- মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি, ঢাকায় সশস্ত্র প্রতিরোধ , পৃষ্ঠা ২৩ [৪]
- ...আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে পিলখানার প্যারেড গ্রাউণ্ডের বটবৃক্ষের শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবং সে পতাকায় উর্দুতে লেখা ছিল "পশ্চিমারা আবি বাংলা ছোড়কে ভাগ যাও, নেহিত এধারই তোমলোগ কো কবর বানায়েগা”।
- মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি, ঢাকায় সশস্ত্র প্রতিরোধ , পৃষ্ঠা ৩৭ [৫]
- ..এরপর তিনজন গৃহভৃত্য এবং একজন সঙ্গী ও দেহরক্ষীসহ তাঁকে নিয়ে চলে যায়। তাকে নিয়ে যাবার পর পাকিস্তানী সৈন্যরা আবার বাড়িতে প্রবেশ করে সমস্ত কাগজপত্র ইত্যাদি নিয়ে যায়। যাবার আগে তারা সেই বাড়িতে উড্ডীন বাংলাদেশের পতাকা লক্ষ্য করে গুলী চালায়। সেই রাতেই ঢাকা শহরের সর্বত্র আগুন জ্বলতে দেখা যায়।..
- প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি, আবু সাইদা চৌধুরী [৬]
- ..যে স্বল্পসংখ্যক বাঙালী আছেন তাঁরা এপ্রিলের মাঝামাঝি নিউইয়র্কস্থিত পাকিস্তান কনসাল জেনারেলের অফিসটি দখল করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং তাঁরা সেই অফিসে অবস্হান করতে থাকেন।..[৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় বাংলাদেশের পতাকা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে বাংলাদেশের পতাকা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।