বুদ্ধদেব গুহ

ভারতীয় লেখক

বুদ্ধদেব গুহ (জন্ম ২৯ জুন, ১৯৩৬ ―২৯ আগস্ট, ২০২১) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি মূলত বন, অরণ্য এবং প্রকৃতি বিষয়ক লেখার জন্য পরিচিত। বহু বিচিত্রতায় ভরপুর এবং অভিজ্ঞতাময় তার জীবন। ইংল্যান্ড, ইউরোপের প্রায় সমস্ত দেশ, কানাডা, আমেরিকা, হাওয়াই, জাপান, থাইল্যান্ড ও পূর্বআফ্রিকা তার দেখা। পূর্বভারতের বন-জঙ্গল, পশুপাখি ও বনের মানুষের সঙ্গেও তার সুদীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরংগ পরিচয়।

  • প্রেমে পড়লে সব লোকই বোকা হয়ে যায় এবং সবচেয়ে মজার কথা এই যে, সে-যে বোকাবোকা ভাব করে তা সে নিজেও তখন বুঝতে পারে এবং বুঝতে পেরে যতই নিজেকে চালাক প্রতিপন্ন করতে যায়, ততই সেই চেষ্টার বোকামিটা বেশি করে চোখে পড়ে।
    • অববাহিকা
  • ধীরে ধীরে রাত বাড়তে লাগলো। চাঁদ হেলে পড়লো পশ্চিমে। উঠোনের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। পরীর দীঘির পারে একটা রাতজাগা পাখির পাখা ঝাপটানোর আওয়াজ শোনা গেলো। রাত বাড়ছে। হাজার বছরের পুরনো সেই রাত
    • একটু উষ্ণতার জন্য
  • ভালবাসা বড় দায়, বড় ঝুঁকি, বড় ব্যথা।
    ভালবাসার সমুদ্রে ভীষণ ঝড় ওঠে।
    সে ঝড়ে হারিয়ে যায় কত লোক।
    কূল খুঁজে পায় না।
    নৌকা ডুবে যায়।
    কিন্তু তবু, সোজা, সমস্ত জোড়ের সঙ্গে দাঁড় বেয়ে তাকে চলতে হয়।
    • হলুদ বসন্ত
  • আমরা, এই আধুনিক মানুষেরা, বিজ্ঞানমনস্করা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সত্যিই উন্নত হয়েছি ? বেশি সুখে আছি ? এই তথাকথিত জীবনযুদ্ধে আমরা কি প্রত্যেকেই অবসাদগ্রস্ত ছিন্নভিন্ন নই?

যা আমরা পেয়েছি, আমাদের সভ্যতার, আধুনিকতার পরিবর্তে শুধুমাত্র এই কি প্রার্থিত ছিলো ? যে গন্তব্যে আমরা এসে পৌঁছেছি এবং অদূর ভবিষ্যতে পৌঁছবো তাই কি আমাদের প্রার্থিত ছিলো ? মানুষ হিসেবে, মনুষ্যত্বর বিচারে, ভালোত্বর বিচারে, আমরা কি অনেকই ছোট, লোভী, স্বার্থপর, বিবেকরহিত, অপরিণামদর্শী হয়ে যাইনি ? ঈশ্বর আমাদের কাছে উপহাসের বস্তুও। কেন? তা তলিয়ে ভাবার সময়, অবকাশ এবং গভীরতা আমাদের বেশীরভাগেরই নেই। ঈশ্বরবোধ যে আমাদের ভেতরের শুভ, সত্য এবং শাশ্বত বোধগুলিকে জাগরূকই করে, আমাদের পাশববৃত্তিগুলিকে শাসন করতে উদ্বুদ্ধ করে, আমাদের এক সুন্দর প্রার্থিত নিষ্কলুষ জীবনের দিকে ধাবিত করায়, তা কি আমরা মনে রেখেছি ?

    • ইলমোরাণ্‌দের দেশে

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা