বে-নজীর আহমদ
একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি
বে-নজীর আহমদ (২৯ অক্টোবর ১৯০৩ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি, লেখক, সাংবাদিক ও বিপ্লবী। তিনি আজাদ সংঘ গঠন করে ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি নওরোজ, দৈনিক আজাদ, কৃষক, নবযুগ ইত্যাদি পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মূলত নজরুল ঘরানার লেখক ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন।
উক্তি
সম্পাদনা- ওঠো আজি, পথে চলো জীবনের গাহি' জয় গান।―
হের তুমি চারিভিতে, খোলো আঁখি বিস্ময় বিমূঢ়,
বিশ্বে তব অধিকার যুগে যুগে কালে কালে অনাদি নির্বাঢ―
আজি হ'তে বুঝি' লও। জীবনের তুমি অধিরাজ,
তব তরে নাহি আর মৃত্যু-ব্যথা শোক-ভয় পরাজয়-লাজ―- বে-নজীর আহমদ (১৯৩২)। "জাগো ওরে জাগো মোর প্রাণ"। বন্দীর বাঁশী।
- জন্ম-মৃত্যু নিত্য খেলা
বিশ্ব জগতের,
জন্ম হলো যাত্রা শুরু
মৃত্যু তারি জের।
সত্য লাগি জীবন দেয়া
মৃত্যু সেত নয়;
ভয়ের দেশে ভয় বিনাশী
সেই তো বরাভয়।- বে-নজীর আহমদ। "এলো ত্যাগের ঈদ"। জিন্দগী।
বে-নজীর সম্পর্কে উক্তি
সম্পাদনা- শ্রীমান বেনজীর আহ্মদকে আমি জানিতাম তাহাদেরি একজন রূপে―যাহারা মৃত্যুর মুঠায় জীবনের সঞ্চয় খুঁজিয়া ফেরে। এদিক দিয়া সে সত্যই মুসলিম তরুণদের মাঝে বে-নজীর। এরূপ আর একটা খুঁজিয়া পাওয়া যায় না।
- বে-নজীরের বন্দীর বাঁশি গ্রন্থের মুখবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম
- সম্ভবত তিনিই বাংলা সাহিত্যে ব্রিটিশ রাজত্বের একমাত্র কবি যিনি প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ ছিলেন এবং সেই সঙ্গে কাব্যরচনা করেছেন।
- শাহাবুদ্দীন আহ্মদ (২০০৭)। "ভূমিকা"। বে-নজীর আহমদ রচনাবলী। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা এগার। আইএসবিএন 984-07-4551-4।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় বে-নজীর আহমদ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।