ব্যাংক (প্রচলিত অপর বানান: ব্যাঙ্ক) হলো এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা সাধারণ মানুষের সঞ্চয় এবং প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে পুঁজি গড়ে তোলে এবং সেই পুঁজি ব্যবসায়ীদের ঋণ হিসেবে প্রদান করে। এই কর্মপ্রক্রিয়ায় ব্যাংক আমানত সরবরাহকারীকে সুদ প্রদান করে এবং ঋণ গ্রহণকারীর নিকট থেকে সুদ আদায় করে। কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাংক নিজেই ব্যাবসায়ে বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করে।

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ১৬৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

উক্তি সম্পাদনা

  • ব্যাংক কর্মীরা একদিনের বেতন দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করবেন বলে বংগীয় প্রাদেশিক ব্যাংক কর্মী এসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে বলেছেন।
    • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র , হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত,২০০৯ (পৃ.৩১৩)
  • ২৬ শে এপ্রিল রাতে প্রধান সেনাপতি আতাউল গণি ওসমানী এবং ইলিয়াস সাহেবের ওপর মৌলভীবাজার সোনালী ব্যাংকের সমস্ত টাকা নিয়ে যাবার দায়িত্ব দেন। ভারতীয় ডেমোলিশন পার্টির এক্সপ্লোসিভ দিয়ে ব্যাংকের স্ট্রং রুমের দরজা খুলতে গেলে সমস্ত রুম বিধ্বস্ত হয়। ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৫লাখ ৩ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এখান থেকে প্রায় ২কোটি টাকা আগরতলা ৯১ নং বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে বাংলাদেশের প্রতিনিধি এম আর সিদ্দিকী ও কর্নেল রবের মাধ্যমে মজিব নগর সরকারের কাছে জমা দেয়া হয়। এ অভিযানে ইলিয়াস সাহেব ছাড়াও মানিক চৌধুরী ও মেজর জামান অংশগ্রহণ করেন।
    • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র,হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ,২০০৯ (পৃ.২৩১)
  • পূর্ব পাকিস্তানকে শিম্পায়িত এবং এখানকার ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতির জন্য পূর্ব পাকিস্তানীদের কর্তৃত্বাধীন একটি বৃহদাকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রয়োজন। প্রাদেশিক সরকারের উদ্যোগেই এই শ্রেণীর একটি ব্যাংক অনতিবিলম্বে সহাপিত হওয়া দরকার।
    • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র ,হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ,২০০৯ (পৃ.৫৯৭)
  • নিরঞ্জনা বললে, মন খারাপ ক’রো না। তুমি আর আমি যাতে একসঙ্গে থাকতে পারি তার ব্যবস্থা করব। বাবা বলেছেন আমার চিকিৎসা শেষ হলেই আমাকে ইন্দোর ব্যাংকের সেক্রেটারির পোস্টে বসিয়ে দেবেন। বাবার খুব প্রতিপত্তি, আমি জেদ করলে তোমাকেও সেখানে একটা ভাল কাজ দিতে পারবেন। তত দিন তুমি বোম্বাইএ আমাদের বাড়িতেই থাকবে।
    • রাজশেখর বসু ,কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প ,১৯৫৩ (পৃ.৮৯)
  • পাকিস্তানী দূতাবাস এই অর্থ সংগ্রহ অভিযানের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালাতে থাকে এবং বহুলাংশে সফল হয়। কোন ব্যাংকই একাউণ্ট খুলতে দিতে রাজী হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত হ্যামব্রোজ ব্যাংক রাজী হয় এবং সেখানে এ্যাকাউণ্ট খোলা হয়।
    • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র ,হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ,২০০৯ (পৃ.৪৫)
  • বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের বেতন বন্ধ ছিল কারণ হাতে টাকা ছিল না এবং ব্যাংক বন্ধ ছিল। কিছু কর্মচারী ব্যাংকের দরজা ভেঙ্গে টাকা নেয়ার প্রস্তাব করে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিই এবং ব্যাংক লুট করা চলবে না বলে দিই। আমার বাসায় যে ব্যাক্তিগত টাকা ছিল সেখান থেকে চার হাজার টাকা নিয়ে নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারীদের বাড়ী যাবার ভাড়া তাৎক্ষণিকভাবে দিয়ে দিই এবং তাদের যার যার বাড়ীতে চলে যেতে বলে তাদের কাছ থেকে আমি বিদায় নিই।
    • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র ,হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ,২০০৯ (পৃ.১০)
  • গোলোক হালদার প্রশ্ন করলেন, তোমার শালা দীনেশের খবর কি জয়গোপাল, এখন একটু সামলে উঠেছে? আহা, অমন চমৎকার মানুষ, কি শোকটাই পেল! এক মাসের মধ্যে স্ত্রী আর বড় বড় দুটি ছেলে কলেরায় মারা গেল, আবার কুবের ব্যাংক ফেল হওয়ায় দীনুর গচ্ছিত টাকাটাও উবে গেল। এমন বিপদেও মানষে পড়ে!
    • রাজশেখর বসু ,চমৎকুমারী ইত্যাদি গল্প ,১৯৫৯ (পৃ. ৬০)
  • আজাদুর রহমান নামে এক তরুন ইষ্টার্ণ ব্যাংকিং বিল্ডিং-এ আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধ করছিল। শত্রুদের গুলিতে তার মাথার খুলি উড়ে যায়। আজাদ একটি প্রেস চালাত; তারই সাথে সাথে লেখাপড়াও করত। বগুড়ার মানুষ এই সমস্ত বীর শহীদের কথা ভুলে যেতে পারেনি।
    • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র ,হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ,২০০৯ (পৃ.৩৩৭)
  • ম্যানেজার থেকে আরম্ভ করে ছোট কর্মচারী পর্যন্ত বলতে লাগল, ভিসা পেলেই তো হবে না, ফিরে আসার টাকা জমা দেওয়া চাই। এটি না হলে যেন টিকিট বিক্রিই হতে পারে না। তাদের কথা শুনে ব্যাংকের জমা একশত পাউণ্ড-এর একখানা রসিদ দেখালাম জর্জিক জাহাজে প্রচুর স্থান ছিল। জাহাজের মানচিত্র দেখে জাহাজের মধ্যস্থলে আমার ক্যাবিন ঠিক করতে বললাম।
    • রামনাথ বিশ্বাস ,আজকের আমেরিকা ,১৯৪৫ (পৃ. ৪৪)
  • কেউ সারাদিনে এক টুকরা রুটি খেয়েছে, আর কেউ অভুক্ত অবস্থায়ই পথের দিকে চেয়ে বসে আছে। আমেরিকার ব্যাংকে প্রচুর স্বর্ণ আছে, বাগানে ফল আছে, মাঠে প্রচুর গম আছে, নদীতে জল আছে, দোকানে কাপড় জুতা সবই আছে কিন্তু ঐ ভিখারীদের কিছুই নাই। পরনে ছেঁড়া ট্রাউজার, গায়ে ছেঁড়া কোট, কারও গায়ে শার্ট আছে, কারও গায়ে তাও নেই! নেকটাই কিন্তু তবুও ঝুলছে।
    • রামনাথ বিশ্বাস ,আজকের আমেরিকা ,১৯৪৫ (পৃ. ৬৫)
  • আমেরিকাতেও সেরূপই চলে। আমেরিকার ধনীর দল পুলিশের সাহায্যে তাদের ব্যাংক এবং অন্যান্য ধন দৌলত পাহারা দিয়ে রাখে। বেকার মজুর সুযোগ পেলেই লুট করে। এতে নরহত্যা হয়। ক্ষুধা নীরবে কেউ সহ্য করতে পারে না। সুখের বিষয় এই তথাকথিত পাপীর দল ভুলেও কোন খাদ্য ভাণ্ডার লুট করে না, তবে অর্থাভাবে খাদ্য খেয়ে চলে গেলেও অর্থাগমে খাবারের দোকানের দেনা সর্বপ্রথমই মিটিয়ে দেয়।
    • রামনাথ বিশ্বাস ,আজকের আমেরিকা ,১৯৪৫ (পৃ. ১৬৯)
  • এ সময়ে ঢাকাতে আমাদের কমাণ্ডো ছেলেরা নয়টি সরকারী অফিসে আক্রমণ চালিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেগুলো ছিল সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং, হাবিব ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, সদরঘাট টার্মিনাল, পাকিস্তান অবজারভার অফিস প্রভৃতি। এসব আক্রমণে চারজন পাক সেনা অফিসার এবং দুজন সৈনিক নিহত হয়।
    • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র ,হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ,২০০৯ (পৃ.১০৯)
  • বিজয়াদশমী, সন্ধ্যা সাতটা। পেনশনভোগী বৃদ্ধ রামতারণ মুখুজ্যে, স্কুল মাষ্টার কপিল গুপ্ত, ব্যাংকের কেরানী বীরেশ্বর সিংগি, কাগজের রিপোর্টার অতুল হালদার প্রভৃতি নিয়মিত আড্ডাধারীরা সকলেই সমবেত হয়েছেন। বিজয়ার নমস্কার আর আলিঙ্গন যথারীতি সম্পন্ন হয়েছে, এখন জলযোগ চলছে। কালীবাবু আজ বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন—চায়ের সঙ্গে চিঁড়ে ভাজা ফুলুরি নিমকি আর গজা।
    • রাজশেখর বসু ,চমৎকুমারী ইত্যাদি গল্প ,১৯৫৯ (পৃ. ১৩)
  • এর পর পরেশবাবু ধীরে ধীরে অগ্রসর হ’তে লাগলেন, তাড়াতাড়ি করলে বিপদ হ’তে পারে। কিছু সোনা বেচে নোট পেয়ে ব্যাংকে জমা দিলেন, কম্পানির কাগজ আর নানারকম শেয়ারও কিনলেন। বালিগঞ্জে কুড়ি বিঘা জমির উপর প্রকাণ্ড বাড়ি আর কারখানা করলেন, ইট সিমেণ্ট লোহা কিছুরই অভাব হ’ল না, কারণ, কর্তাদের বশ করা তাঁর পক্ষে অতি সহজ।
    • রাজশেখর বসু ,গল্পকল্প ,১৯৫০ (পৃ. ৪৬)

ব্যাংক সম্পর্কে উক্তি সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা