মহাবীর
২৪শ জৈন তীর্থঙ্কর
মহাবীর (আনু. ৫৯৯-৫২৭ খ্রি.পূ.) জৈনধর্ম ও দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আনুমানিক ৫৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যে পাটনার নিকটস্থ ক্ষত্রিয়কুন্ডু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জৈন ধর্মবিশ্বাস অনুসারে তিনি ছিলেন এ ধর্মের ২৪তম এবং সর্বশেষ ‘তীর্থঙ্কর’ বা ধর্মগুরু।
উক্তি
সম্পাদনা- অহিংসাই পরম ধর্ম।
- আত্মা একা আসে এবং একা যায়, কেউ তাকে সমর্থন করে না বা তার বন্ধু হয় না।
- ঈশ্বরের আলাদা কোনো অস্তিত্ব নেই। সঠিক পথে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ঈশ্বরত্ব লাভ করা যায়।
- লাখো শত্রুকে জয় করার চেয়ে নিজেকে জয় করা ভালো।
মহাবীরকে নিয়ে উক্তি
সম্পাদনা- মহাবীর ভারতে মুক্তির বার্তা ঘোষণা করেছিলেন। এই বার্তাটি হল এই যে, ধর্ম একটি বাস্তবতা। তা সামাজিক প্রথা মাত্র নয়। এই বার্তাটি হল এই যে, মুক্তি আসে সত্য ধর্মের আশ্রয় গ্রহণ করলে, সমাজের বাহ্যিক অনুষ্ঠানগুলির উদযাপনের মাধ্যমে নয়। এই বার্তাটি হল এই যে, ধর্ম মানুষে মানুষে চিরন্তন বিচ্ছিন্নতার বাধা নয়। বলতে আশ্চর্য লাগে, এই শিক্ষা দ্রুত জাতির সকল বাধা অতিক্রম করে এবং সমগ্র দেশকে জয় করেছিল।
- বিশ্বের কোনও ধর্মই অহিংসার আদর্শকে এত গভীরভাগে ও এত পদ্ধতিগতভাবে আলোচনা করেনি, যতটা জৈনধর্ম প্রত্যেক মানুষের জীবনে অহিংসার প্রয়োগ সংক্রান্ত যোগ্যতার কথা আলোচনা করেছে। অহিংসার মহৎ আদর্শটি মানুষের দ্বারা কার্যকর করা হয়েছিল এই জগতে ও তার বাইরে জীবনের তাদের সমাপ্তি অর্জন করার জন্য। জৈনধর্ম অবশ্যই সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে এবং মহাবীরকে অবশ্যই অহিংসা বিষয়ে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব দিয়ে সম্মান জানানো উচিত।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় মহাবীর সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে মহাবীর সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।