মিঠুন চক্রবর্তী

ভারতীয় অভিনেতা

মিঠুন চক্রবর্তী (জন্ম গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী; ১৬ জুন ১৯৫০) একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক এবং রাজনীতিবিদ যিনি প্রধানত হিন্দি এবং বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তিনি একজন প্রাক্তন রাজ্যসভার সংসদ সদস্য। তিনি তার অভিনয়ের জন্য তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের প্রাপক।

আমি জলঢোরা নই, বেলেবরা নই, আমি জাত কোবরা গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।
  • আমি জলঢোরা নই, বেলেবরা নই, আমি জাত কোবরা গোখরো, এক ছোবলেই ছবি।
  • মহামারীর সময় যখন আমার বাবা মারা যান, আমি আসতে পারিনি। আমি তাকে এভাবে দেখতে চাইনি। আমরা কেমন ছিলাম, সে জন্য আমি তাকে স্মরণ করতে চেয়েছিলাম। একইভাবে আমি বাপ্পিদাকে স্মরণ করতে চাই আমরা কীভাবে বসতাম। একসঙ্গে গান বানাই, গান শুনি। আমি শুধু তার সঙ্গে ভাল দিনগুলো মনে রাখতে চাই।
  • সকলকেই লড়াই করতে হয়। কিন্তু আমাকে একটু বেশিই করতে হয়েছিল। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, আমি বোধহয় আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব না। নানা কারণে কলকাতাতেও ফিরতে পারছিলাম না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল, আমি এমনকী আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু আমার সকলের প্রতি উপদেশ, কখনও লড়াই বন্ধ করে জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা ভাববেন না। আমি জন্মগত ভাবে একজন লড়াকু মানুষ। আমি হারতে শিখিনি। দেখুন, আজ আমি কোথায় পৌঁছেছি।
  • আমি কখনও চাইব না, আমি যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, তা অন্য কেউ ভোগ করুক। নিজের গায়ের রঙের জন্য পদে পদে হেনস্থা হতে হয়েছে আমাকে। চূড়ান্ত অসম্মানের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এমন দিন গিয়েছে যে, খালিপেটে ঘুমোতে হয়েছে। একা একাই কেঁদেছি। এমন অনেক দিন হয়েছে, যখন ফুটপাথই ছিল আমার আশ্রয়। আমি চাই না, আমি যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, অন্য কেউ সেই কষ্টের মুখোমুখি হোক। সেই কারণে চাই না, আমার উপর বায়োপিক তৈরি হোক।

তার সম্পর্কে

সম্পাদনা
  • তুমি সফল হলে আমি অভিনয় ছেড়ে দেব
  • বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘অবিচার’ করার আগে খুব ভয়ে ছিলাম। বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষাতেই শুটিং করতে হবে, আমি তো হিন্দি জানি না! হাসান ভাই অভয় দিয়ে বললেন, তুই পারবি, কোনো সমস্যা হবে না। মিঠুন চক্রবর্তী যে বাঙালি, বাংলা বলতে পারেন—আমি সেটা জানতামই না। প্রথম দেখা হওয়ার আগে তাই ভয়েই ছিলাম, কিভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলব। ঘটনা ঘটল উল্টোটা। আমাকে দূর থেকে ডাকতে ডাকতেই কাছে এলেন, ‘এই রোজিনা, কেমন আছো! তুমি নাকি এখানকার সুপারস্টার!’ তাঁর মুখে বাংলা শুনে আশ্বস্ত হলাম, অবাকও হলাম। পরে জানলাম, মিঠুন বাঙালি।
    • জাগো এফএমের রাতাড্ডা অনুষ্ঠানে রোজিনা, উদ্ধৃত: "নির্বাচিত উক্তি"কালের কণ্ঠ। ১২ মার্চ ২০২০। 
  • আমার গান অক্ষয় কুমারকে তারকা বানিয়েছে। তিনি যখন সিনেমা শুরু করেন তখন তারকা ছিলেন না। অক্ষয় আগে গরীবের মিঠুন চক্রবর্তী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে, মিঠুন ছিলেন গরীবের অমিতাভ।
  • ব্যক্তি মিঠুন চক্রবর্তীকে শ্রদ্ধা জানাই। লোকে দেখে শেখে, ঠেকে শেখে। কিন্তু মিঠুনদা তো দেখেও শিখছেন না, ঠেকেও শিখছেন না। মিঠুনদার রাজনৈতিক ভূমিকাকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা