মুসা

একজন সম্মানিত নবী

মুসা বিন ʿইমরান (আঃ) ( যিনি যিহূদীয়-খ্রীষ্টীয় ঐতিহ্যে মোশি নামে পরিচিত, হলেন ইসলাম অনুসারে আল্লাহর একজন নবী ও রসুল যিনি পবিত্র কুরআনে সর্বাধিকবার আলোচিত হয়েছেন এবং তার নাম ১৩৬ বার উদ্ধৃত হয়েছে।

ইসলামি চারুলিপিতে লেখা
মুসা (আ), তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক

কুরআন মুসা (আলাইহিস সালাম) নাম অন্য নবীদের তুলনায় বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে মুসা (আলাইহিস সালাম) ১২০ বছর বেচে ছিলেন। হযরত মুসা আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের নাম ছিল বনী ইসরাঈল। বলা হয় তার মোজেজাসমূহ বিগত অন্যান্য নবী-রসূলগণের তুলনায় সংখ্যায় বেশি, প্রকাশের বলিষ্ঠতার দিক দিয়েও ছিল অধিক।

  • আমি মুসাকে প্রেরণ করি আমার নিদর্শন ও সুস্পষ্ট সনদসহ। পাঠিয়েছিলাম ফেরাউন ও তার পারিষদবর্গের কাছে। তবু তারা ফেরাউনের জাতি ফেরাউনের নির্দেশমতো চলতে থাকে। অথচ ফেরাউনের কোনো কথা ন্যায়সংগত ছিল না তার কার্যকলাপ ভালো ছিল না।
    • সুরা : হুদ, আয়াত : ৯৬-৯৭
  • আমি তাকে ডেকেছিলাম [মুসা (আ.)] তুর পাহাড়ের ডান দিক থেকে এবং অন্তরঙ্গ আলাপে তাকে নৈকট্য দান করেছি।
    • সূরা মারিয়াম, আয়াত, ৫২

মুসা নিয়ে উক্তি

সম্পাদনা
  • যখন সে আগুনের কাছে আসল তখন তাকে আহবান করা হল, ‘হে মূসা’।নিশ্চয় আমি তোমার রব; সুতরাং তোমার জুতা জোড়া খুলে ফেল, নিশ্চয় তুমি পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রয়েছ’। ‘আর আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, সুতরাং যা ওহীরূপে পাঠানো হচ্ছে তা মনোযোগ দিয়ে শুন’। ‘নিশ্চয় আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং আমার ইবাদাত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর’। ‘নিশ্চয় কিয়ামত আসবে; আমি তা গোপন রাখতে চাই যাতে প্রত্যেককে স্বীয় চেষ্টা-সাধনা অনুযায়ী প্রতিদান দেয়া যায়’। অতএব যে ব্যক্তি তার প্রতি ঈমান রাখে না এবং স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে সে যেন কিছুতেই তাতে ঈমান আনয়নে তোমাকে বাধা দিতে না পারে; অন্যথায় তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। আর ‘হে মূসা, তোমার ডান হাতে ওটা কি’?
    • সূরা ত্বহা, আয়াত, ১১-১৭)

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা