• " আমরা তো বই বলে অভ্যস্ত ফিল্মকে। আসলে তো ফিল্ম বই না, ফিল্ম তো ফিল্মই। ছবির ব্যাপারটা একটা ভিস্যুয়াল ব্যাপার, দেখার ব্যাপার ভিস্যুয়াল আর্ট। ছবির ব্যাপারটা তো এইভাবেই দেখতে হবে। আর এই কারণেই আমরা প্রথমে ফিল্ম সোসাইটির মাধ্যমে এর চর্চাটা শুরু করেছিলাম। আমাদের মতো গরিব দেশে তো আর ফিল্ম ইনস্টিটিউট ছিল না। তাই ফিল্ম দেখার মাধ্যমে, চর্চার মাধ্যমে, দেখে শেখাটা বড় শেখা। ল্যাংলোয়া যেমনটা বলেছিলেন- ফিল্ম পঁচাত্তর ভাগ লোকই দেখে শিখেছে, তারপর ইনস্টিটিউট হয়েছে। এভাবে দুটো স্কুল হয়েছে। একট একাডেমিক আর একটা নন একাডেমিক। আমার কথা হল, আমি ফিল্ম কালচারটা করতে এসেছিলাম। এ ব্যাপারে অন্যান্য মিডিয়ার প্রতি ঝোঁক ছিল না , তা নয়। কিন্তু দেখা গেছে ,ফিল্ম এই মিডিয়াটা আমাদের দেশে কাঁচা অবস্থায় আছে, তারপর ভাল লোক কেউই চিন্তা ভাবনা করছে না, ভালো ছবিও হচ্ছেনা, তখন ভাবলাম যে কিভাবে ফিল্ম এর ব্যাপারটাকে উন্নত করা যায়। প্রথমে আমি ছবি করার উদ্দেশ্য নিয়েই ফিল্ম সোসাইটি গঠন করেছিলাম। অন্যান্য মিডিয়ার মধ্যে বরং সঙ্গীতের প্রতিই আমার ঝোঁক ছিল সব চাইতে বেশি। কিন্তু ফিল্ম একটা বিশাল মাধ্যম, অন্যান্য সব মাধ্যমের জিনিসগুলো এর মধ্যে রয়েছে। ফিল্মকে বলতে পার নাটক, অথচ নাটক না। ফিল্মকে বলতে পার সাহিত্য, অথচ সাহিত্য না। এটা সম্পূর্ণ স্বাধীন একটা মাধ্যম এবং এর আলাদা একটি ভাষাও রয়েছে। এটাকে বলা হয় ল্যাংগুয়েজ উইদাউট ভোকাবলারি- এই ভাষাটা না বুঝলে ফিল্ম এর অর্থ বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে "।
    • মুহম্মদ খসরুর সাথে মাহবুব আলমের কথাবার্তা, ধ্রুপদী, ষষ্ঠ সংকলন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ প্রকাশনা , প্রকাশকালঃ অক্টোবর ২০০৬।

মুহম্মদ খসরু সম্পর্কে উক্তি সম্পাদনা

  • " চলচ্চিত্র অনীহ দৃশ্যান্ধ বুদ্ধিজীবীর দেশে মুহম্মদ খসরু এক অন্তভের্দী চক্ষুষ্মান পুরুষ। তিনি যেন এই পোড়ার দেশে অন্ধজনে আলো দিলেন, নবীন প্রজন্মকে চক্ষুদান করলেন, তাদের প্রাণিত করলেন সৎ চলচ্চিত্রের মর্মরস আহরণে। এদেশে রুচিশীল চলচ্চিত্র দর্শক সৃজনের অগ্রনায়ক তিনি, এই-ই তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন, সবচেয়ে বড় কীর্তি"।
    • মইনুদ্দীন খালেদ, শিল্পসমালোচক।
  • " ছোটবেলা থেকেই ফিল্ম দেখার নেশাটা ছিল। ফিল্ম দেখতাম। ফিল্ম দেখার সুযোগও ছিল। আমার জন্ম হুগলীতে। আমার বাবা তখন পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায় চাকরি করতেন। আমরা যখন নৈহাটি থাকতাম, আমি আর আমার বড় ভাই, বাবা আমাদের নৈহাটি সিনেমা হলে বসিয়ে দিয়ে বাজার করতে যেতেন। কেনা-কাটা শেষ করে দুই ভাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। মানে ছোটবেলা থেকেই ফিল্মের ব্যাপারটা প্রবল ভাবেই ছিল। ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি হল ১৯৪৭ সালে, অক্টোবরে। তারপরই নৈহাটি ফিল্ম সোসাইটি। আমারতো মনে হয় তখন সেখানে থাকলে আমিই বোধ হয় নৈহাটি ফিল্ম সোসাইটির হর্তাকর্তা হয়ে যেতাম।"
    • মুহম্মদ খসরুর সাথে মাহবুব আলমের কথাবার্তা, ধ্রুপদী, ষষ্ঠ সংকলন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ প্রকাশনা, প্রকাশকালঃ অক্টোবর ২০০৬।

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা