মোম
বিবিধ শ্রেণির জৈব যৌগ নিয়ে গঠিত সাধারণ তাপমাত্রায় নমনীয় কঠিন পদার্থ
মোম হলো বিবিধ শ্রেণির জৈব যৌগের সমষ্টি। এটি সাধারণ তাপমাত্রায় নমনীয় কঠিন পদার্থ। বিভিন্ন চর্বি, তেল, জৈব দ্রাবকে মোম দ্রবীভূত হয়। এদের গলনাঙ্ক সাধারণত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪° ফারেনহাইট) এর উপরে হয়ে থাকে। মোম জলে অদ্রবণীয় কিন্তু জৈব দ্রাবকে দ্রবণীয়। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক মোম উদ্ভিদ এবং প্রাণী দ্বারা উৎপাদিত হয়। তবে কৃত্রিম মোম পেট্রোলিয়াম থেকে পাওয়া যায়।
উক্তি
সম্পাদনা- যেজন দিবসে, মনের হরষে
জ্বালায় মোমের বাতি;
আশু গৃহে তার দখিবে না আর,
নিশিতে প্রদীপ ভাতি।- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার, সদ্ভাব শতক - অপব্যয়ের ফল
- মোমের পুতুল ঘুমিয়ে থাকুক দাঁত মেলে আর চুল খুলে,
টিনের পুতুল চীনের পুতুল, কেউ কি এমন তুলতুলে?- সুকুমার রায়, আদুরে পুতুল, সুকুমার সমগ্র রচনাবলী- প্রথম খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী, কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ),পৃষ্ঠা ১৬৬
- ময়লা এবং বিষের পরিবর্তে আমরা বরং মধু এবং মোম দিয়ে আমাদের শীতপিত্ত ভরাট করতে বেছে নিয়েছি; এইভাবে মানবজাতিকে দুটি মহৎ জিনিস দিয়ে সজ্জিত করা, যা মিষ্টি এবং হালকা।
- জোনাথন সুইফট, দ্য ব্যাটল অব বুকস, প্রিফেস(১৭০৪)
- চাকের জায়গা ঠিক হইলেই কর্ম্মী মাছির দল চাক গড়িতে লাগিয়া যায়। বোল্তারা কি-রকমে দাঁতে কাঠ গুঁড়া করিয়া কাগজের মত জিনিসে চাক তৈয়ারি করে, তাহা তোমরা শুনিয়াছ। মৌমাছিরা সে-রকম জিনিস চাকে ব্যবহার করে না। ইহাদের চাক মোম দিয়া প্রস্তুত। কিন্তু এই মোম তাহারা অন্য জায়গা হইতে সংগ্রহ করিয়া আনে না; কর্ম্মী মাছিরা নিজেদের দেহেই উহা প্রস্তুত করে। ইহাদের পেটের তলায় যে আংটির মত কঠিন আবরণ থাকে, তাহারি পাশে পাশে মোম জড় হয়। আমাদের গা হইতে যেমন ঘাম বাহির হয়, কর্ম্মী মাছিদের শরীর হইতে সেই রকমে মোম বাহির হয়। মধু খাইয়া হজম করিলেই পাত্লা আঁইসের মত উহা পেটের তলায় জমে। মাছিরা তাহাই সম্মুখের পা দিয়া খুঁটিয়া খুঁটিয়া মুখে পূরিয়া দেয় এবং দাঁতে চিবাইয়া ও লালার সঙ্গে মিশাইয়া জিনিসটাকে কাদার মত করিয়া ফেলে। ইহা দিয়াই চাকের ভিত পত্তন হয়। যে কর্ম্মীরা ভিত পত্তন করে, তাহারা ঠিক জায়গায় মুখের মোম রাখিয়া উড়িয়া অন্য কাজে চলিয়া যায়। মোম জমা হইয়াছে দেখিলেই আর এক দল কর্ম্মী মাছি দাঁত, মুখ ও পা দিয়া তাহা ছড়াইয়া চাক গড়িতে সুরু করে।
- জগদানন্দ রায়, কর্ম্মী মৌমাছি, পোকা-মাকড়- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, এলাহাবাদ, প্রকাশসাল- ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২০৪-২০৫
- জালাল, এইডা (গলায় ফাঁস দেওয়ার দড়ি) আমার বালিশের নিচে রাখবি। এই, মোম কই? অহ, দড়িতে মোম লাগা। ফাঁসির দড়িতে মোম লাগে ক্যান? হুম? মোম ক্যান লাগায়? ফাঁসির দড়ি মাক্করের মতন তেলতেলা না হইলে গলার চামড়া কাইট্টা রক্তারক্তি হয়ে যাইতে পারে–মাথাটা খুইলাও পইড়া যাইতে পারে। মইরা যখন যাইবো এত কষ্ট দিয়া কি লাভ!
- কারাগার (ওয়েব ধারাবাহিক), পর্ব ১: রেজারেকশন (পুনরুত্থান), ফাঁসির মঞ্চে মহব্বত আলীর উক্তি
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় মোম সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে মোম শব্দটি খুঁজুন।